ঢাকায় চীনের একটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় ৮ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে গুরুতর শফিক ও বাবুকে গুলশানের কিউর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে গুলশানে এ ঘটনা ঘটে। গুলশানের যে বাড়িতে হামলা হয়েছে তাতে চীনের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয় টেকনলজিসের মালাশাল থাকে। ওপরের তলায় তাকেন চীন থেকে বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে গুলশান ২৪ নম্বর রোড়ের ওপর বেঙ্গলের একটি স্টাফ গাড়ি রাস্তা বন্ধ করে দাঁড়ানো ছিল। এতে হুয়াওয়ের গাড়ি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার শফিক প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে বেঙ্গলের ড্রাইভারের সাথে তার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে বেঙ্গলের কয়েকজন ড্রাইভার শফিককে ধরে অফিসের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের হাত থেকে ছুটে শফিক হুয়াওয়ের ৩০ নম্বর রোড়ের ১২ নম্বর বাড়ির ওয়্যার হাউসের দিকে ছুটে যান।
এ সময় তাকে পেছন থেকে বেঙ্গলের ড্রাইভাররা ধাওয়া করে। শফিক ওয়্যার হাউসে আশ্রয় নিলে বেঙ্গলের কর্মকর্তা ও ড্রাইভাররা সেখানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তারা বাড়ির গ্লাস, রিসিপশন ও নিচ তলায় রাখা ৫ টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় বেঙ্গলের কর্মকর্তা-ড্রাইভারদের বাধা দিতে গেলে হুয়াওয়ের ওয়্যার হাউসের ম্যানেজার ইউনূস, ড্রাইভার শফিক, বাবু, আমির,আকবর,মান্নান, মহি ও লিটন আহত হন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার পর বেঙ্গল তাদের মালিকাধীন টিভি চ্যানেল আরটিভির একজন রিপোর্টার ও ভিডিওগ্রাফারকে ডেকে আনে। ওই রিপোর্টারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ সময় তিনি পুলিশের এডিসি সহ কয়েকজনকে ফোন করেন। ওই রিপোর্টার প্রভাব খাটিয়ে সেখানে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন।
এ সময় আরটিভির একজন সহকারি পরিচালক পরিচয় দিয়ে বলেন যদি এ নিউজ ব্রডকাস্ট বন্ধ করতে হয়, তাহলে বেঙ্গলের একজন পরিচালকের কাছে গিয়ে হুয়াওয়ের কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলতে হবে, এটা হুয়াওয়ের ড্রাইভারদের অপরাধ এবং তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। তাহলেই কেবল ক্ষমা করা যাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




