খা খা রোদে গলে যাওয়া পিচের সড়কটা পার হয়ে আমরা হাঁটতাম মাটির পথে, প্রতিদিন। তুলনার মাপকাঠি তখনো অতটা বিস্তৃত হয়নি, তাই কষ্ট নাই, কষ্ট বলতে রোগের পীড়া বা ভ্রমনের ক্লান্তি। আমাদের ধারনা ছিল- চেনা ওইটুকু পথের বাইরের সবকিছু অন্যদের মালিকানায়, আমাদের পথ ছিল আমাদের সম্পত্তি। বাহন বিহীন পথের ধুলায় খালি পায়ে হাঁটা, তিন জোড়া পা এক ছন্দে, এক সমতলে সর্পিল পথটা ঠিক টের পেত অবুঝ সন্তানের আনাগোনা। দিবালোকে আমাদের পা খালি থাকত। জুতো পরা কোন একজন যে প্রশ্নটা প্রথমেই শুনত- ”তোমার কি অসুখ?
এখনো পায়ের মধ্যে সেই মেঠো পথের অভিশাপ লেগে আছে। ছন্দে ছন্দে হাঁটার বাধ্যবাধকতা খর্ব করেছে বিকাশের বহু শাখা প্রশাখা। তবু যেন কিসের শাসন-সুতায় আমাদের বেঁধে রাখে, টান পড়ে প্রায়শঃ নাড়ীর মত। শহুরে কোলাহলে মাঝে মাঝে হয়ে ধরা দেয় প্রশান্ত নদী হয়ে।
বাড়ি ফেরার পথে এখনো বাড়ি ফিরি, ক্লান্ত দেহে, কিছুটা জেনে, কিছুটা না জেনেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




