এই তোমাকে ছাড়বো না ,, আরিয়াম্মা ,,
পুচকে বলো না কাকা, শিবা আমি হলাম শিবা,,
ছিপাইচকা ছিপাইচকা ভুম চিকচিক ভুম,,
এই ডায়লগগুলো আপনি নিজের অজান্তেই বিড়বিড় করছেন। আর আপনার ছোট্ট শিশুসন্তানের মাথায় তা গেথে যাচ্ছে। এই কার্টুন সিরিজ গুলো তারা দিনের বেশিরভাগ সময়গুলোতে দেখছে। অন্যদিকে তাদের মায়ের মোবাইলের ইউটিউব। সেগুলোতে শিক্ষনীয় বিষয়গুলোর চেয়ে কুশিক্ষাই বেশি শেখানো হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। আর নিকলোডিয়ামের উপরের তিনটি সিরিজের কার্টুনগুলোতে কি কি শিক্ষনীয় বিষয় আছে তা কমবেশি সবার জানা।
এখন কথা হচ্ছে, ছোট বেলায় আমরা আমাদের বাবা মাকে সকালে ফজর নামাজ পড়ে কুরআন তেলোয়াত করতে দেখতাম। সেটা দেখে আমরাও কুরআন শরীফ নিয়ে না পারলেও বিড়বিড় করতাম। এটাও পড়তাম সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি আদেশ করেন যাহা মোর গুরু জনে আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে। এগুলো আমাদের মনে একটি তৃপ্ত ও পুত অনুভূতির জন্ম দিত।
কিন্তু এখন তারা সকাল আটটা অবধি ঘুমাচ্ছে, ঘুম থকে উঠেই সিপাইচকা সিপাইচকা বুমচিকচিক বুম। আর না হলে আরিআম্মা কেই চে সিংগাম স্যার। তাতে মারামারি ছাড়া আর কোন মৌলিক জিনিষ কি তারা শিখতে পারছে? তাই চিন্তা করছি, আগামী প্রজন্ম কিভাবে বেড়ে উঠছে? তারা কি আদৌ কোন নীতি নৈতিকতা শিখছে নাকি নৈতিকতা বিবর্জিত পশু-প্রানীর মতো করে বেড়ে উঠছে?
একদিকে মা তার মোবই্ল নিয়ে জি ৫ এ সিরিয়াল দেখায় ব্যাস্ত আর বাবা ফেসবুকে চালাচালি না হয় হোয়াটএপএ ব্যবসার কাজে নিমগ্ন। আর অন্যদিকে বাচ্চাকাচ্চা মোবইল কিংবা নিকলোডিয়াম। আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের শহরের এইটা খুব একটা কমন চিত্র। হয়তো গ্রামেও তাই কিন্তু গ্রামে একটু কম মনে হয়।
সর্বপূরি, আমরা তাদের কে ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় বেচে থাকার জন্য কি নৈতিকতা শিখাতে পারলাম এইটা এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:১৩