somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিসিবির দীর্ঘ লাইনে হা-হুতাশ

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাস্তাঘাটে কতিপয় ভিক্ষুককে দেখলেই মনে হয় এরা আসলে অনেক অর্থ কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে। আবার কিছু কিছু ভিক্ষার নামে ভং ধরেছে এর সংখ্যা পাঁচ শতাংশ,বাদবাকী পঁচানব্বই শতাংশ ভিক্ষুক কিংবা নিম্নবিত্তদের চেহারা দেখলে সত্যিকার অর্থেই তাদের জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে রিক্সা চাকল, ভ্যান চালক, চায়ের দোকানদার, ফেরিওয়লারা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে তাদের আয়-রোজগারে লাগিয়েছে কিন্তু কিস্তির যন্ত্রনায় তারাও দিশেহারা। টিসিবির লাইনে রোদ/বৃষ্টিতে দাড়িয়ে কষ্টকরা মানুষগুলোকে দেখলে মনে হয় তারা কি অবস্থায় আছেন!

বর্তমান সমাজের এই দশার জন্য দায়ী কে? জনগণ না সরকার? অন্যদিকে মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে মানুষের উপকারের জন্য কিন্তু কাজ দীর্ঘ হওয়ায় গত ১৫ বছর মানুষের যে ভোগান্তি পোহালো লাগলো আরও সামনে পোহাতে হবে এই মর্ম জ্বালা কে বুঝবে। আমি সরকারের সমালোচনা করছি না কিন্তু জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমার মত আম জনতার কষ্ট গুলো অনুধাবন করতে পাচ্ছি। দেশের সব টাকা মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের নিকট। বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষ আজ দিশেহারা। সেদিন আমার মহল্লার পাশের মহল্লায় একজন নারী গলা ফাসি নিয়ে মারা গেল কিস্তি পরিশোধ না করতে পারার কারনে!

অন্যদিকে, বর্তমান এই সুদের রমরমা ব্যবসার দরুন কোন মানুষ কাউকে কোন ধার দেয় না। কারও প্রতি কোন বিশ্বাস নেই। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। নিম্ন বিত্ত মানুষের আজ নাভিশ্বাস বেরোয়! এর থেকে কি কোন মুক্তির উপায় নেই। তবে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এই যে,
ক) সুদ/ঘুস বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।
খ) দফায় দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাজানো যাবে না।
গ) যারা নিতান্তই গরীব তাদেরকে বিনা শর্তে ধার দিতে হবে যাতে তারা কিছূ করে খেতে পারে।
ঘ) সঠিক অর্থনৈতিক বন্টন নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ) সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

আমার মনে হয় উপরোক্ত বিষয়গুলি সরকার যদি আমলে নেয় তবে হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলবে। অন্যথায়, বাংলাদেশে ভূভূক্ষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে তাতে সামাজিক নৈরাজ্য শুরু হবে বলে আমি মনে করি।

ধন্যবাদ সকলকে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×