
১৯৯৬ সাল আমি তখন ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। বন্ধুদের সাথে বেড লাগলাম আজ ক্লাস রুমে সিগারেট খেতে হবে। আমি তখন অপশন খুঝতে লাগলাম কোন স্যার এর ক্লাসে এ কাজ করা যায়। মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। আমাদের একটা মজার স্যার ছিল। নাম ভবেশ স্যার খুব ভালো স্যার কিন্তু সে চশমা ছাড়া চোখে দেখেনা। আমি সেই স্যার এর ক্লাসে চাঞ্চ নিলাম। কিন্তু মাথায় এটা এলোনা যে দেখতে না পেলেও গন্ধ যাবে স্যার এর নাকে। যা কথা সেই কাজ স্যার ক্লাসে আসলেন ক্লাস শুরু করলেন। একটু পরে চশমা খুলে কথা বলতে লাগলেন। সে ফাকে সিগারেট জ্বালায়ে দিলাম। বাস বান্ধবী গুলো হাঁসতে লাগলো। স্যার কিছুখন পরে টের পেয়ে গেলো। তার নাকে গন্ধ চলে গেছে।
একটা বান্ধবী আমার খুব শত্রু ছিল সে আমারে সহ্য করতে পারেনা। তখন আমারা সবাই এক সাথে ক্লাস করতাম মেয়ে ছেলে এক সাথে ক্লাস শেষে তারা কমন রুমে চলে যেত। স্যার চিল্লায়ে বলতে লাগলো কে, কে রে, কে সিগারেট খায় কেউ কিছু বলে না স্যার রেগে বম। এর ফাঁকে সে বান্ধবী বলে বসলো স্যার ছয়ফুল আর কই যাই সাথে সাথে স্যার বাসের বেত বলি সেটা নিয়ে মার শুরু করলো আর বলতে লাগলো ছয়ফুল না সাত ফুল আমার সাথে বেদবি ক্লাসে সিগারেট খাস। কিন্তু একটা ব্যাপার অবাক হলাম মার আমার উপর পরে না আমার পাশে একরামুল নামে একটা বন্ধু ছিল তাকে মারছে আমি মার দেখে পিছনে দরজা দিয়ে সেই দৌড়। তখন আমাদের ইস্কুল খোলা ছিল কোন বাউন্ডারী দেওয়াল ছিল না। স্যার কে সবাই বলতে লাগলো স্যার কাকে মারছেন সে পাইলছে। ও একরামুল তার পরে স্যার ক্লাস তেগ করে আমায় খুঁজতে লাগলো আমি ত পগার পাড় সাত দিন আর ইস্কুলে আসিনাই। তার পরে আমারে না পেয়ে বাড়িতে জানালো কি আর করার পরে স্যার এর কাছে মাফ চেয়ে আবার ইস্কুলে আসতে লাগলাম, স্যার কে বললাম সার বন্ধুদের সাথে বাজি লেগে কাজ টা করেছি।
যদিও দুষ্টমি করে কাজ টা করেছি তার পরে বুঝতে পারলাম আমার কাজ টা করা ঠিক হয়নি।
বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। লেখায় ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



