somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম সমাপ্ত

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেম সমাপ্ত
মোঃমেহেদী হাসান মেহেদী

প্রেম এক অসীম সমাপনী আজ,
দেখেছি তার অপলক সাজ।
চিরপর হয়েছে সে চিরতরে।
নিয়েছ তুমি বিধাতা তাকে চিরপরে,
অন্যের হাত ধরে হয়েছে সে অন্যের,
তোমার কোরআন হাদীছ জ্ঞানে,
নিয়েছে সব জালীম খবিশ দল।

প্রেম এসেছিল বহুবার জীবনে,
ভালবাসার পারাবারে বহুবার তরী হয়ে
তোমার ইচ্ছায় বহু প্রহর;
হবেনা কাব্যেও শেষ বারে বারে।
ছেলেবেলা থেকেই চলেছিল প্রেম,
চলেছিল নির্ভূল যন্ত্রের মতই।
ভালবেসে হঠাৎ যখন বিয়ে হল।

সবই তো ছিল শুধূ ছিলনা আধুনিক,
খুৎবা ছিটানো সবই তো ছিল,
তবে কেন এক ট্রেনের হুসেইল দূর করে দিল,
দেখছিল সে ব্যাথায় চোখ তুলে মৃদু মৃদু,
ছোবে কখন সে আবার আমাকে।
বলেছিলাম -আমি আবার কখন যাব আমি ওর বাড়ি?

বলল বাপে 'নিয়ে যাবনি'
তবু কি তাকে ভুলেছিলাম।
শুধু মনে হত বুকের গহীনে,
শুধু সে তার অঙ্গে অঙ্গে মাখামাখি।
ভালবাসা ভালবাস কি দারুন,
হঠাৎ হুঁশে আসতেই সে নেই ;
কষনও পাবনা আমি।
ছোট তাই ভুলে গেছি ঠিকানা,
জানিনা কোতথা সে থাকে।

বলে জিতে গড়াগড়ি দিয়েছিলাম
যাব শুধূ তার কাছে বলেছিলাম,
হায়রে কি মার চুলে মুঠো ধরে।
বল ভুলবি তুই ভুলবি
আরে বাপ বিয়ে না এমনি;
দেখ বেকুবের একই ধেন।

যে ভয় তাই হল,স্কীন ডিজিজের
অধর সম্মান বাঁচানেরা চিন্তায় রোগ পুষা।

তার হাত শরীরের গন্ধ,
লেগেছিল নাকে মোর বহুদিন।
যদি সে আসে হাত ধরে বলে,
ও আমার স্বামী ভালবাস মোরে।
যদি সে আসে পুতুলের মতন।

তাকে ছাড়া আর কিছু ভাল লাগেনা,
মনে পড়েছিল তবু বার বার,
হল এক স্কীনে অসুখের দাগ
থেকে যাক অসুখ ,যদি সে আসে,
যদি আমি মরি যদি তা রটে।


হয়ত বা সে কখনও জানবে
কভু বা খুঁজে হয়তবা আসবে,
না আসেনি বহুকাল পরও।
হেঁটে হেঁটে হঠাৎ দেখা মেলে তার,
বাতাস ছোয়া দিয়ে যায় দোলা,
সুন্দর এক স্টেশনে।

প্রকৃতি হাসে খুশির ক্ষণে,
স্বামী স্ত্রী বুঝি আজ এক হবে,
হঠাৎ আল্লাহর কৃপার পর।
না হলনা,এল সে হঠাৎ কী এক আকর্ষণে,
দাঁড়াল সে আমার বেগের পর।
দাঁড়াল সে হঠাৎ ই পার্শ্বে আমার,
দেখি মনে ছোঁয়া লেগে আছে।
অনেক আপন, অনেকদিন পর।

দেখি সব বুঝেছে অচেতনে ঠিকই,
কারও চুমু ছোঁয়া প্রতীক্ষা প্রহর।
অভিসঞ্চালনে বুঝে বুঝে দেখি।
না সেই সে ধড় বড় আপন তার,দেখছে সে মাঝে ভয়ে ভয়ে।
কুরআন হাদীছ জানা ভন্ড বলেছে
যদি হাসিল করতেও পারি নিজ বুদ্ধিতে চুদতে।

বুঝলাম সে নয়, পাঠিয়েছে চালাকি করে,
সে ঐসব মনে করিয়ে অন্য এক মেয়েকে- এভাবে দাড়াতে।
যদি কখনও ভুল হয়ে যায় আমার।
বাঁচবে সে চিরতরে নিজ ব্যভীচার ঢাকা দিয়ে।

ছোঁয়া তার কাপড়ের পরশে
যাবে সে একই ট্রেনে একই স্থান,
এল ট্রেন উঠলাম অণ্য বগি তার;
ছঁফটে অটো আমি তার দেখা পর।
পর স্টেশনে গেলাম বগি তার।
খুঁজে খুঁজে হঠাৎই হাত দিয়েছি,
তার জানালা ছোয়ায় তার।

বসলাম অধশা মেলে ভালবাসি তার,
হাসি দেখা সবকিছু তার
না সে তো নেই আর আগের মতন,
বসে আছে বুঝছে সে সব,
অটোমেটিক অচেতনে।

আমার চুমুগুলো লেগে আছে,
তার ঠোটে তার চোখে,তার হাত বুকে,
বুঝছে সে ব্যাথা হঠাৎই গভীর ভালবাসা আমার।
বুঝছে সে সকল কিছু অটোমেটিক,
ক্ষুধা তৃষ্ঞা সব বুঝছে সে ভালমত,
অন্য এক আত্নীয়র সাথ।
যে ছিল কিনা আমার না যাওয়ায় দুঃখের সাথী।

বুঝল সে সব,শুধূ বুঝলোনা,
আমি তার স্বামী তাই সে এভাবে ,
সবকিছু বুঝে।

বুঝলনা সে, আমি সেই জন,
যে কিনা দুঃখে শুধু কেঁদে মরে,
আমি সেই জন যার বিরহে
বহুবার খুঁজি,বহু খুঁজে ফিরি,
কবে তার দেখা পাব আমি,
বসে সেই দুই হাত দূরে,
মাঝে মাঝে চায় চোখ দুটো তুলে,
খেলা সে করে অন্যের সাথে
দুঃখ ভাগাভাগি করে।

বলবে কি ভাবে চেনেই নি যে,
যাকে খুঁজেছি অশ্রু নিয়ে,
বহু প্রান্তর বহু গগন জিজ্ঞাসে,
যাকে দিয়েছি হৃদয় দিয়ে;
ভালবাসার অধিকারে।
বেশ তো আছে অন্যের হয়ে।
ব্রেইন হিটার করে যেন ভুলেছে সে পূর্বেই
বলেছে হাদীছ কুরআন সব,
জুলুমে হাদীছ কুরআন সব।

আল্লাহ তুমি হাসিয়ে থাক কাঁদিয়েও থাক,
সবকিছু তো ,তোমার ইচ্ছাতে হয়।
কিয়ৎকাল পর মনে হল হায়!
বিয়ে আর ভালবাসা হা! হা!
এল গন্তব্য নেমে গেল সে চাইলোনা পিছু ফিরেও।
আরও বহু স্মৃতিতে থেকে যায় অনুক্ষণ।
দেখী খুনী চেয়ে আছে অপলক ভাবে।
সুন্দরী ছিল সে বেশী,আলতো আলতা রং এ
ছিল সে যেন স্বপ্নের কেউ!

নিয়ে গেল বলে পাগল সব,
ওসব বিয়ে শুধূ ফালতু।
চল চল ও কেউ না কিছুনা।
চল তবে আছে হাফেজ পাত্র,
কিছু না সে এক পাগলা।
ভালবাসে শুধূ মাত্র,
স্কীনের চামারটা।

চল তবে হবে বিয়ে আজকের রাতটা,
বিয়ে তো পূর্বেই হয়নি।
কিনতে তোর অলিমা চল বাজারটা,
তোর বোকে সাজাতে নিব তবে পার্লার,
রাজশাহী নিয়ে যাব আজকের রাতটা।
কিছুনা পাশের বাড়ি হবে রুপচর্চা।
সবতো পড়া ছিল পূর্বে।
তবু পাগল পাগলীরা কিডনেপ কের নিল তাকে।
কুরআন হাদীছ জানে বেশী যে,
চুদবে তাকে আগে সে।

ধর্ষন করিয়ে দিল জিনা অন্যে,
হারাম করে দি।
ডইছে গেল তাকে লুটেরারা।
এতই মজলুম আমি ছিলাম যে
বাঁচাতে পারলাম না কিছুতেই।
ভুলে গেল চলে গেল সেও ভুল বুঝল বলে পাগলা।

হয়ে গেল অন্যের বিবাহিতা,
হয়ে গেল চির ধর্ষিতা।
পাগল বলে আমায় হয়েনারা নিল,
খুনে দেখল বহু টাকা।

হায় সেই মেয়েও মৃত্যু পূর্ব এসে বলল,
না হলে পুলিশ খুনি বলবে;চালুকর-
শয়তানের ডায়লকটা,
বাঁচাতে এসেছি তোমাকে আমি জানতা,
খুনী তাকায় নির্ভয়ে বিস্ময়ে,
মেহেদী তো মরেছে বহু পূর্বে।
এ কেন তবে তার মত দেখতে!
আমিও তো বেঁচে আছি খুনী মারেনি।
চুদে ভুলে যেন অবিবাহিতা।
ভালবাসা প্রেম তবু বহুবার আছে।
বহুবার সবকিছু নিয়ে।

তবু শয়তান গুলো হোলে শান দিয়ে দয়ে,
নেয় নতুন গুলো চুদিয়ে,
দেয় তারা অন্যের বউ বিয়েতে জুলুমে।
দেয় তারা ফাঁকেতে মহা ধর্ষসুখে,
পূর্বেকি এমনি বুনেছে
চুদতে হবে জন্মানো গুলোকেনইলে কী ভাবে হবে যুগ শ্রেষ্ঠ?
কিভাবে বলবে নেতিয়ে থাকা অযোগ্য।

তারপরও বহু কিছু ঘটে,
খুন করতে পেরে দিয়ে হাসি,
অপরুপ সুন্দর হাসে সে।
তাই আজ সুকরুন আবেদন-

আল্লাহ তুমি মহা শক্তিধর
নিতে বাকী কিছুই রাখনি আমার,
নিয়েছ প্রেম বাসা পূর্বে।
নিয়েছ লিখেছ নিঃসঙ্গতা ধ্যানে,
নিতে কিছুই বাকী আছে কি?

আমি শুধূ তোমার সৃষ্টি,
তবুও দুর্বল গঠনের মানব সৃষ্টি;
আমি তোমার বিরুদ্ধে যেতেই পারিনা,
সবকিছুতো শুধূ তোমারই ইচ্ছা।
আমাকে তো বেশী কিছু দাওনি,
তাও বা যা দিয়েছ শুকরিয়;
নিকটে থাক দোয়া কবুল কারী।

তাই আমি জিবীত থাকতে চাই
দেখতে চাই জীবন বৈচিত্র।
উত্থান পতনের দৃশ্য!


শীতের ভাললাগা
মোঃমেহেদীহাসান মেহেদী

শীত,একপশলা অনিলের দোলা,
কুয়াশা ঘেরা সকালে।
দারুন মিষ্টি রৌদ্রের ছটা,
দোলায় দোলায় ছটায় ছটায়,
চিরচেনা সে পথে দারুন আমেজে!

দারুনভাবে অনাবিল এক আনন্দে।
দারুন এক আলোর ঝিমিয়ে থাকা,
দারুন রং এর কুয়াশা ঘেরা সকালে।
জেগে যাওয়া কোন চরের প্রান্তে,
দারুন ভাবে এক অনাবিল ভাললাগায়।

আলতো চুলে হেঁটে হেঁটে দারুন এক!
আকাশ পানে আমি তাকায়,
পাতার ঝরা দারুন ভাবেই,
ঝর্ মর্ ঝর্ ধ্বণিতে এক-
অদ্ভূত ভাললাগা আনন্দ ক্ষণ।
পায়ের নিচে পড়তেই মচ,
দারুন ছোয়া গায়ে দিয়ে!
পড়ছে তারা অঝর ধারায়।

হেঁটে হেঁটে অনেক দূরে,
যেতে লাগে দারুন মতন।
যেতে যেতে ঠান্ডাও আজ
জড়িয়ে জোরে ধরেছে আমায়।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×