কোন এক জঙ্গলে এক ব্যক্তকিে একটি বাঘ তাড়া করছিল। বাঘ মানুষরে চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পা্রে,আর তারা মানুষ খায়। বাঘটি যেহেতু ক্ষুধার্ত ছিল, তাই লোকটি বেশ বিপদে পড়ে গেল। বাঘটি তাকে প্রায় ধরে ফেলেছে,এসময় সে দেখল পথরে পাশে একটা কুয়ো। সাত পাঁচ না ভেবে সে দিল কুয়াতে লাফ। কিন্তু লাফ দেয়ার আর্গমুহুর্তে্ দেখল কত বড় ভুল করল সে। কুয়োটি ছিল শুকনো, আর তার তলায় কুন্ডলী পাকিয়ে ছিল বিশাল এক কালো সাপ।
নিজের অজান্তেই সে হাত দিয়ে কুয়োর দেয়াল ধরে পতন রোধের চেষ্টা করল। এসময় তার হাতে ঠেকল একটা গাছের শেকড়। শেকড়টা ধরে সে কোনমতে কুয়োর তলায় পড়ে যাওয়াটা রোধ করল। একটু পরে ধাতস্থ হয়ে নিছে তাকিয়ে দেখল, সাপটি তার ফণা তুলে তার পায়ে ছোবল দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্ত একটুর জন্য নাগাল পাচ্ছে না।
উপরে তাকিয়ে দেখল বাঘটি কুয়োর ভেতরে ঝুঁকে থাবা চালিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করছে কিন্ত একটুর জন্য নাগাল পাচ্ছে না। এই চরম বিপদের মুহুতে সে দেখলো একটা গর্ত থেকে একটা কালো ও একটা সাদা রঙরে ইঁদুর বের হয়ে শেকড়টাকে কামড়ানো শুরু করেছে।
বাঘটি যখন কুয়োর ভেতর থাবা চালিয়ে লোকটিকে ধরার চেষ্টা করছিল, তখন তার শরীরটা ঘষা খাচ্ছিল কুয়োর পাড়ের একটা ছোট গাছের সাথে। ফলে গাছটি ঝাঁকুনি খাচ্ছিল একটু একটু। সেই গাছের একটা ডাল কুয়োর উপরে ঝুলে ছিল, যাতে ছিল একটা মৌচাক।ঝাঁকুনির ফলে বিন্দু বিন্দু মধু পড়ছিল কুয়োর মধ্যে। লোকটি জিহ্বা বের করে কয়েক ফোটাঁ চেখে দেখল।;উমম! দারুণ স্বাদ তো! সে মনে মনে ভাবল এবং হাসল।
লোকটা যখন মধুর স্বাদ আস্বাদনে ব্যস্ত, ইঁদুরগুলো দাঁত দিয়ে কেটে কেটে শেকড়টাকে আরো পাতলা করছে, সাপটি ফণা উচিয়ে লোকটির পায়ের আরো কাছাকাছি চলে আসছে, বাঘটি আরো ঝুঁকে পড়ছে, আরেকটু হলেই লোকটির নাগাল পেয়ে যাবে। কিন্ত বাঘটা একটু বেশিই ঝুঁকল, ফলে এটি কুয়োর মধ্যে পড়ে গেল। লোকটাকে নাগালে না পেয়ে সে সোজা সাপটির উপর পড়ে গিয়ে নিজেও মরল, সাপটিকেও মেরে ফেলল।
জ্বি হ্যাঁ, এমনটা ঘটতেই পারে! সাধারণত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে জীবনে। আমাদের জীবনটা এমনই। তাই মধুর ক্ষণগুলোকে কেন নষ্ট করা, এমনকি দিশেহারা কোন বিপদের সময়েও? ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎই। আমরা কখনোই নিশ্চিত নই, এরপরে কী আসছে।
######সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫