পাঠ প্রতিক্রিয়া :
রবির ফ্রেন্ড ফিলোসফার এন্ড গাইড ,সাহিত্য অনুসন্ধিৎসুদের বারমুডা ত্রায়াঙ্গেল,জীবন যুদ্ধ থেকে স্বেচ্ছায় পরাজয় বরণকারী বৌঠান কাদম্বরী দেবী কে নিয়ে কৌতূহল অশেষ। রহস্যে ঘেরা এ চরিত্রের অস্তিত্ব বহণকারী সকল চিহ্নই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সচেতন ভাবে নির্মূল করা হয় ঠাকুর বাড়ী থেকে। এমনকি রবির সৃষ্টিশীল চেতনার উদ্ভাবনকারী, সত্যের পূজারী, সুন্দরের ভক্ত , আপাদমস্তক সৃষ্টিশীল , অনুপ্রেরণাদাত্রী এ চরিত্রের সরাসরি উপস্থাপণ আমরা রবি ঠাকুরের নিজের রচনাতেও সেভাবে পাইনা। রঞ্জন ব্যানারজীর “কাদম্বরী দেবির সুইসাইড নোট” কাদম্বরী দেবীকে কাছ থেকে জানার একটা প্রয়াসমাত্র।
ভুমিকা না পড়ে বা না বুঝে রবীন্দ্রপ্রেমিরা শুধুমাত্র নামকরনের উপর ভরসা রেখে এটাকে একটা মাস্তার পিস ভেবে আশাহত হবেন – সন্দেহ নেই। বোধকরি রবীন্দ্র বাণিজ্যই এরকম লোভনীয় অথচ প্রবঞ্চনাময় নামকরনের প্রেরণাদায়ক। লেখকের কল্পণা প্রসুত এ উপন্যাসের ভাষাবিন্যাস ও বাক্যগঠনে রঞ্জন ব্যানারজীর সাংবাদিক পরিচয় প্রকটভাবে উপস্থিত।
কিছু সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হয়, ছুঁয়ে দেখতে নেই- এ অনিবার্য সত্যটি লেখক বাণিজ্যিক স্বার্থে অস্বীকার করেছেন বলে মনেহয়। কাদম্বরী দেবীর সাথে কিশোর রবির সম্পর্ককে লেখক মোটাদাগে শারীরিক গন্ডিতে আবদ্ধ করেছেন। শুধু তাই না ; আদর সোহাগ চুম্বনের প্রাচুর্যতায় রবিকে শেষমেশ এম্রান হাসমি বানিয়ে ছেড়েছেন!
আমার হিসেবে ৫ এ ২ দশমিক ৫। হ্যাপি রিডিং!
আগ্রহী পাঠকদের জন্য ;
http://www.putlocker.com/file/F9D73E36E6DBABA1
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



