এটাকে কি বলব ? গল্পটা কি সিরাজের নাকি দিলিপের ? গল্পটাতো আমার , গল্পটা আমাদের সবার। এটা মানুষের গল্প , মনুষত্বের জয়ের গল্প। শুধুই কান্না আর হাহাকার নয় , আশাপূর্ণ অপেক্ষা বা হতাশার অমানিশা নয় , কালের বিবর্তনে হারিয়ে না গিয়ে তীব্রভাবে নিজের অস্তিত্তের সাথে মিশে থাকা কিছু বৈশিষ্ট্যই অনন্য সাধারণ মানবসত্ত্বার পরিচায়ক- এ উপলব্ধিই উপন্যাসটি থেকে প্রাপ্ত অর্জন।
সূর্যের অনবরত প্রদক্ষিণ আমাদের শিহরিত করেনা ,মহাবিশ্বের ক্রমাগত প্রসারণ আমাদের আলোড়িত করেনা - আমরা যেন বড্ড অভ্যস্ত সবকিছুতেই! প্রকৃতির অনিবার্য অংশগুলো আমাদের সয়ে যায় সহজেই। কিন্তু অনাকাঙ্খিত মৃত্যু বা লাশের স্তুপও স্বাভাবিক লাগে যাদের কাছে তাদেরকে কি বলা যায়? উদ্ভ্রান্ত নাকি নিরুপায় ? ?
ভেতরের আবেগী মনটাকে শক্তকরে নাড়া দেবার মতো উপাদানে সমৃদ্ধ ছোট পরিসরের এ উপন্যাসটির পরিশীলিত ভাষা ও সুলীখন সত্যই আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে। সব্যসাচী গুণী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এ উপন্যাসটির সেলুলয়েডে রূপান্তর ‘গেরিলা’ চলচিত্রটি। পরিচালকের সফলতা – ব্যর্থতা নির্ণয় করবেন এ বইটির পাঠক তার কল্পনায় ফুটে ওঠা দৃশ্যপটের ধারাবাহিকতা আর সৃজনশীল সম্ভাবনার বিচারের সাথে চলচিত্রটির তুলানামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
আমার হিসেবে ৫ এ ৩ দশমিক ৫। হ্যাপি রিডিং!
আগ্রহী পাঠকদের জন্য ;
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



