শেষ করলাম শ্রীপান্থর ঠগী। বেশ ঝরঝরে লেখা , সুখপাঠ্য ।
কামান রাইফেল ঢাল তলোয়ার বা বন্দুক না। ভয়ানক কোন অতিকার মারনাস্ত্রও না। উপকরণ অতি সামান্য। শুধুমাত্র একফালি হলুদ কাপড়। ৩০ ইঞ্চি কাপড়ের ১৮ ইঞ্চিতে একটা গিট আর গিটের পাশেই একটা রুপোর টাকা। টাকায় আবার সিঁদুরের ছাপ। এই ‘নির্দোষ’ কোমরবন্ধনী কাপড়টিই হাজার হাজার লোকের নির্মম মৃত্যুর কারন !
সারা ভারতবর্ষে এই নিপুণ হত্যাশিল্পিরা ছড়িয়ে ছিল, এমনকি এই ঢাকায়, এই বাংলাদেশে, যেখানে আজকে আমরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশে জলের ঠগী 'পাঙ্গু'রা কিভাবে ঢাকা, ফরিদপুর, নারায়নগঞ্জ, মইমনসিং, রংপুরে অপারেশান করে বেড়িয়েছে তার বর্ণনা যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ।
পুরোপুরি ইতিহাস নির্ভর সত্য এই বইয়ের বিষয়বস্তু অতিনাটকীয়তায় ডেক্সটার বা শারলক সহ যে কোন সফল চিত্রায়িত সাইকো থ্রিলার কেও হার মানাবে- সন্দেহ নেই।
ঠগী নির্ভর গল্প লিখেছেন মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। দিলিপ কুমার, সঞ্জিব কুমার, বালরাজ সাহানি অভিনীত ' সংঘর্ষ ’। এছাড়াও আইভরি মার্চেন্ট প্রডাকশনের 'দি ডিসিভারস' চলচ্চিত্রের কাহিনী ঠগীদের নিয়ে। পিয়ারস ব্রসনান, শশী কাপুর এবং সৈয়দ জাফরি উক্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর সত্যজিত ঠগীদের নিয়ে লিখেছেন ‘ গোঁসাইপুর সরগরম । ’ পরে তা অবশ্য চিত্রায়ন করেন সন্দীপন রায়।
' ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়' কথাটার প্রচলন বোধয় এই ঠগীদের প্রসঙ্গেই ...'
আগ্রহী পাঠকদের জন্য ;
ঠগী
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



