সময়টা ১৯৭১ এর ১৬-ই ডিসেম্বরের পরপর। দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা যারা সীমান্তে যুদ্ধ করত তারা দেশে ফিরছে।এমন একটা ছোট দল পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে দেশে ঢুকছে। পথে মিজোরামবাসীর সাথে বেঁধে যায় যুদ্ধ, মিজোরাও তাদের দেশে ফিরছিলো। ভারতের পার্বত্য অঞ্চলের এই মিজোরা রাজনৈতিক কারনে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে বা ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে।
এমন হঠাৎ যুদ্ধের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা মুক্তিযোদ্ধারা। পাহাড়ী অঞ্চলে মিজোরা খুবই ভয়ংকর। ফলে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। কিছু মিজোও আহত বা নিহত হয় (সঠিক হিসেব জানা যায়নি)। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধের মাধ্যমে মিজোদেরকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
যুদ্ধেরপর মুক্তিযোদ্ধারা হতাহতের সন্ধান করতে গিয়ে আহত এবং নিহতের বাহিরে একজনকে কিছুতেই খুজে পায়নি।সমস্যা হলো সেই হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির নিকট তাদের সব টাকা পয়সা গচ্ছিত থাকে, এক প্রকার কোষাদক্ষ। কি আর করা! তারা ধরে নিলেন হয়তো তিনি শহীদ হয়েছেন এবং লাশ পাহাড়ে খাদে কোথায়ও হারিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধারা অবশেষে শহরে ফিরে এলো।
শহরে এসে তারা তাদের হারিয়ে যাওয়া কোষাদক্ষকে সুস্থ শরীরে বহাল অবস্থায় পেয়েছেন। তিনি যুদ্ধ দেখেই নিরাপদে সরে এসেছেন (বা পালিয়ে এসেছেন)।
এবার পাঠক বলুনতো এই কোষাদক্ষ সাহেব কে?
তিনি হলেন আমাদের প্রাক্তন CCC মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী। ঘটনাটা উনারই এক সহযোদ্ধার কাছ থেকে শুনেছি। মহিউদ্দীন চৌধুরীকে ঐদিনের কথা মনে করিয়ে দিলে বলেন "ন কছ অডা। তোঁরা আইজও শরম দিবি না"।
১৭ বছর দাপটের সাথে মেয়র থাকার পর এবার তিনি শরম পেলেন। সন্মানের সাথে চলে যাওহার সুযোগ প্রধানমন্ত্রী তাকে দিয়েছিলেন। তিনি শরম পেতেই পছন্দ করলেন। আসুন আমরা তার জন্য দোয়া করি।
ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




