গণতন্ত্রের চর্চা
নেমে পড়ো, নেমে পড়ো রাস্তার পাশে,
থামাও রাষ্ট্রের পতাকাবাহী ঐ চলন্ত চারচাকার গাড়ি,-
প্রতিনিধি, নেমে এসো।
আমরা তোমার নির্বাচকেরা, পথচারী,
আমাদের সম্মানে নেমে এসো রাস্তার পাশে।
গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকুক।
আমাদের তেলের কতটুকু অপচয় হবে
তা’ নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।
ব্যস্ত তোমাকে আজ আমরা আটকে রাখবো না।
আমাদেরকে শুধু শ্রদ্ধা জানিয়ে
সসম্মানে ঐ গাড়িতে চড়েই
আবার চ’লে যেয়ো, যেখানে যাচ্ছিলে।
এভাবেও যদি আমাদের আত্মসম্মানবোধ
জেগে ওঠে তো,-আমাদের কিছু হোক বা না-হোক,
তুমি লাভবান হবে, এটা নিশ্চিত।
আমার ভোট, আমার রায়,
নিজেকে নিজে বেচে দিতে পারি
মাঝারি মাপের একটা দেশি মুরগির দামে।
এই তো সেদিন জাতীয় নির্বাচনে
প্রতিনিধির পদবীটা কিনে নিতে পেরেছো ভেবে
গর্বের হাসি হেসেছিলে।
আমাকে কিনে নিতে পারার গৌরবের হাসিতে
তোমাকে বেশ মানায় হে, আমাদেরই উপযুক্ত প্রতিনিধি,
নিজেকে বেচি কার কাছে, জানি না এখানে।
আত্মসম্মান কাকে বলে, সেটাও বুঝি না যখন,
নিজেকেই যে-জন একটা মুরগির সমমূল্যে বেচতে পারে
এমন মালিকের কাছে তার প্রতিনিধির দাম, মনে রেখো,
প্রচলিত বাজারে একটা ডিমের সমান, তবে
নির্বাচকেরা আহাম্মক থেকে গেলে ডিমটাও যেন বেশি,
ডিমের খোসার সমতুল্য মূল্যটা পেলেই
যেকোনো ক্রেতার কাছে তোমাকে বেচে দিতে পারে।
প্রতিনিধি, তোমাকে সতর্ক রাখার জন্যে আমরা গাড়ি থামিয়ে
রাষ্ট্রের তেল-মবিল আর ইঞ্জিনের যেটুকু ক্ষয় করলাম
আগামীতে আমাদেরকেই ক্ষয়পূরণের ধকল সইতে হবে জানি।
গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকতে থাকতেই উঠে বসো গাড়িতে,
যাও, যেখানে যাচ্ছিলে যাও, কার তেল কোথায় কিভাবে পোড়ে
ভেবে দুঃখ পেয়ো না, নিজেকে কষ্ট দিয়ো না, ভালো থেকো,
যেখানেই তুমি যাও, সাথে রেখো আমাদের সতর্কবাণী।
............. করণিক

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




