নারী মুক্তি আন্দোলনের দোহারগণ!
অফ গেলে ভালো লাগে। পুরুষের খেলায় আপনারা চিরদিনই দুধভাত ছিলেন আজও দুধভাতই আছেন, এখন নারীমুক্তি নারীমুক্তি খেলা বন্ধ করলে ভালো লাগে। একজন নারী যখন মাঝরাতে পুরুষের লাথি খেয়ে আর্তনাদ করে আপনারা ‘ব্যাক্তিগত’ তুলোর বালিশ কানে চেপে পাশ বদলান। এই দেশে এই সমাজে নারীমুক্তি আন্দোলনের আওতা ততটুকুই যতটুকু পুরুষ চায়। নারীর যন্ত্রণা নারীর আর্তনাদ যতক্ষণ সে লাশ না হচ্ছে ততক্ষণ ব্যাক্তিগত, পুরুষের দেয়া যন্ত্রণার ক্ষত যতক্ষণ পেকে রক্তপুঁজে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে নৈব্যাক্তিক হয়ে না উঠছে ততক্ষণ এই ‘ব্যাক্তিগত’ বিষয়ে কানপাতা মানা। এর পরের কাজটুকু মিউনিসিপ্যালিটির ময়লার গাড়ীর মতো কিছু মানবাধিকার সংস্থার, যাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য এই পুরুষ তাবেদার সময় এবং রাষ্ট্র সাজিয়ে রেখেছে কিছু কসমেটিক আইন, তার আবার বাহারী নাম- শিশু ও নারী নির্যাতন আইন, যখন প্রয়োজন পড়ে তখন এই আইন নির্যাতনকারী পুরুষকেই দেয় সুরক্ষা। এর আবার আছে তাৎক্ষণিক এক চমক ছয়মাসের জেল, এই চমক ধারে কাটে শুধু বিত্তহীন পুরুষদের। অন্যদের পুলিশ খুঁজেও পায় না। এই আইন নির্যাতিত নারীটির শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসে না। সংস্থাগুলো তাৎক্ষণিক হাউকাউ করে সংস্থাগুলো পায় কিছু ক্রেস্ট হাততালি, নারী আবার যে ব্যাক্তিগত সেই ব্যাক্তিগত। পুরুষ তার ব্যাক্তিগতকে ঘরের ভেতর পিটিয়ে চলে গেলো কোনো নারীমুক্তি আন্দোলন নিয়ে গলাবাজি করতে, নারীটি কোনো মতে উঠে থানায় গেলো মামলা করলো আইন বলবে তোমারে যে তোমার স্বামী মারছে কে কে দেখছে? কেউ না দেখলেতো সেইটা প্রকৃত মাইর হবে না।
যদি বেঁচে থাকি চলবে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




