1.
আমি একটা মেয়েকে ভালবাসতাম। মেয়েটা আমাকে খালি কষ্ট দিত।
আমি একটা ঘরের মধ্যে সারাদিন -ঘুলঘুলি দিয়ে একটা সরু আলো ঘরের মধ্যে পড়ে। টেপরেকর্ডারে খালি সুবিনয় রায়ের দুইটা গান বাজে.. বিছানার উপর বালিশে স্বপ্নতাড়িতের মতো মুখ গুজে পড়ে থাকি। সারাদিন একই দুইটা গান ঘটর ঘটর... আমার মধ্যে আমার জন্য কেমন একটা মায়া জন্মায় ... এই মায়াটা আমার ভাল লাগে .. মেয়েটার মুখ মনে পড়ে .. আমাকে মনে পড়ে... শুয়ে শুয়ে আমি হেটে যাই ওর কাছে।
2.
বাড়তে বাড়তে পুরো ঘরটাতেই অর্ধেক জল। টের পাই ছোট ছোট মাছ আসছে। একটা বড় মাছ পাশ দিয়ে চলে গেল। জল বাড়ছে। একটা কালো বিড়াল কোথা থেকে আসে। ঘরের কোনে কাফকার বইটার ঠিক উপরে বসে আছে। হটাৎ শুনি কিচির মিচির শব্দ। ঘুলঘুলি দিয়ে অনেক পাখি আসছে। হাজার হাজার পাখি। পুরো ঘর পাখিতে ভরে গেছে।একট বই কি ভাবে পানির নিচে ডুবে গেছে অক্ষরগুলো ভাসতে ভাসতে ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে।
আমার ঘুম ভেঙে যায়। যাক দারুন একটা স্বপ্ন দেখা হলো। আমি অফিসে যাই। বড় কর্তা আমাকে জিজ্ঞাসা রেন আমি কালকে আসি নি কেন? কিন্তু আমিতো কালকে এসেছি। না - কালকে আসেন নি ... আমি মনে করতে পারি না একদিনে কি হয়েছিল? আমিতো কেবল একটা স্বপ্ন দেখছিলাম।এর পরেই অফিস। হটাৎ দেখি বড় কর্তার পকেট থেকে একটা একটা করে পাখি বেরুচ্ছে। আমি ভাবতে থাকি তাহলে স্বপ্নটি কি সত্যি?
3.
একটা প্লেন উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে। ছোট্ট একটা প্লেন। একটা বালক দুহাতে প্লেনটাকে জড়িয়ে ধরে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে সে মিষ্টি করে হাসে। আমি ওকে হাত নাড়ি। পেছনের আমগাছটার আড়ালে সে উড়ে চলে যায়। আমগাছটায় সোনালী মুকুল এসেছে। একটা কাক এসে বসে ওর ডালে। একটা কাচা আমের গন্ধ পুরো শহর জুড়ে। আমি গিয়ে ওকে বলি সেই বালকটা আমার দিকে চেয়ে হেসেছিল। ও কেমন চোখে আমার দিকে তাকায়। এ শহরর মানুষগলো কেমন। সবকিছুতেই শুরুতে অবিশ্বাস করে।
4.
চিন্তাগুলো পাখির মতো। আমি ভাবছিলাম কাল অফিস শেষে একটা প্যান্ট কিনব। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে একটা মাঠ পাড়ি দিতে হয়েছিল। কুয়াশার মধ্যে কারা জানি আগুন জ্বালিয়ে ওম নিচ্ছিল। আমিও গেলাম ওদের কাছে। আগুনের আচে সবার লালমুখ। আমাকে দেখে ওরা জায়গা করে দেয়। পট পট আগুন জ্বলতে থাকে। আর শীত লাগে না। একটু সময় পর আগুন নিভে যেতে থাকে। চারপাশে খুজে আর কোন ছেড়া কাগজ, ঝরা পাতা খুজে পাওয়া যায় না। নিভু নিভু আগুনটা থেকেও ফুলকি ওড়ে। আমার কাছে বাবার শেষ দিনগুলোর কথা মন পড়ে। একটু বাতাস শরীরে নেবার চেষ্টায় তার রগগুলো ফুলে ফুলে উঠতো। কেমন একটা ঘড় ঘড় শব্দ। আমি মানিব্যাগ থেকে টাকাগুলো বের করে এক এক ছড়িয়ে দেই। আগুনটা আর একটু জ্বলে ওঠে। আমাদের মুখ লালচে হয়ে ওঠে।
*ফুটনোট
শিবু বাড়ি গেছে। ভুলে লাল চামড়ায় মোড়া ডায়েরীটা ফেলে গেছে। ও চুপচাপ বসে থাকে আর কি জানি টুকটুক করে লেখে। ও কি লেখে? জিজ্ঞেস করলে হেসেছে। কিছু বলেনি। আমি ডায়েরীটা হাতে নিয়ে ভাবছি পড়াকি ঠিক হবে? না ... কিন্তু মুশকিল হলো ও আগামী এক সপ্তাহ এখানে আসবে না। আর আমি পড়লেও ওর অক্ষরগুলো ঠিক অবিকল রয়ে যাবে।
ডায়েরীটা পাল্টে যাবে না। এই ভেবে পড়াটা শুরু করেছিলাম...
আমি পড়ছি আর ভাবছি ... শিবুটা কে? শিবুর সংজ্ঞা কি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



