গতকাল বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার সময় জেনেছিলাম আজ সকালের শিফটে ডিউটি নেই।
তাই সকালটা কেটেছে আলসেমির ভেলায় চেপে। কখনো অলস ভাবে বই এর পাতায় চোখ বুলিয়েছি, কখনো অমনোযোগি চোখে টিভির পর্দায় তাকিয়েছি আবার কখনো অর্থহীন ভাবে জানালা দিয়ে আকাশ দেখেছি। যেদিন কাজ কম থাকে সেদিন যেন আমার কাজ না করার নেশায় পেয়ে বসে। আলসেমির ভুতটাকে জোর করে ঘার থেকে নামাতেই দেখি বেলা বারটা। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। দুপুর দুটো থেকে পরীক্ষা শুরু, সময়মত পৌঁছতে না পারলে হেডস্যারের ঝাল ঝাল ঝাড়ি শুনতে হবে। কথাটা মনে হতেই তড়িঘরি করে হাতের কাজ সেরে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি। দশ মিনিটের রাস্তাটা পাঁচ মিনিটে শেষ করে স্কুলের গন্ডিতে পা রেখেই হেডস্যারের অফিসটা খেয়াল করতেই একটা স্বস্তির নিঃস্বাস বেরিয়ে এল। উফ যাক বাঁচা গেল, অফিসে কেউ নাই।
দুটো থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। মেয়েরা একমনে লিখে চলে। হলে পিনপতন নীরবতা। ফ্যানের শব্দ আর খাতা উল্টানোর শব্দ ছাড়া অর কোন শব্দ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০