ভেবে দেখলাম
আমি কখনো একটা আনন্দের কবিতা লিখতে পারি নি।
কিন্তু দুঃখবাদী আমি- এমনটা কখনোই মনে হয় না।
আমার চারপাশের মানুষ আমার সুখের অন্তু খুঁজে পায় না প্রায়শই।
অথচ কবিতার বেলায় সব উধাও কোথায় যেন।
একটা আনন্দের কবিতা লিখবো এবার। কি নিয়ে লেখা যায়?
আচ্ছা একটা কাল্পনিক প্রেম হোক।
"..... দেখো দেখো তো ফুলগুলো কী সুন্দর! আর ঘাষগুলো কী নির্মল সবুজ, দেখো। ওখানে বসি চলো"।
আচ্ছা চলো।
বলে বসে পড়লাম পাশের কাঠের বেঞ্চিতে আমরা।
তোমার শুভ্র হাত আমার মুঠোয়, চুলে বিকেলের বুড়িয়ে যাওয়া অতেজ রোদ
আর তার সোনালী আভা মুখে তোমার ।
আমার চেহারা আমি দেখতে পারছি না বটে।
তবে সেখানে যে ভীষণ সুখের একটা দীপ্তি আছে তা বুঝতে পারছি।
দূরে কোথাও দুটো অচেনা পাখি কী নিয়ে যে খুনসুটিতে মেতেছে কে জানে!
পালকের মতো হালকা করে বাতাস ছুয়ে যায় তোমাকে- আমাকে।
..... আচ্ছা থাক এ পর্যন্তই।
অন্য কিছু নিয়ে একটা আনন্দের কবিতা লিখি।
একটা নদী নিয়ে লিখি।
শরতের সন্ধ্যার নদী হোক এটা।
একটু পরেই স্বচ্ছ কাঁচের মতো আকাশে উঠবে দুদিনের পুরনো পূর্নিমার চাঁদ।
মাত্রই বর্ষার পানি থেকে জেগে ওঠা আধা শুকনো পাড়।
সেখানে কাশের শুভ্রফুল কিলবিলিয়ে খেলছে বাতাসের সাথে।
পানিতে মাছেদের উল্লাস। অদূরে কোসা নৌকা বেয়ে আসে কর্মঠ কিশোর।
গলায় তার সুখের গান, সখী-রে নিয়ে।
এই তো,
এখন সুখ আর সুখ প্রকৃতি ও মানুষের মনে।
তাহলে এটা একটা আনন্দের কবিতা হলো বটে।
হলো তো!
৮ উইনচেস্টার রোড
অক্সফোর্ড।