somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ধান্দায় আছে ইসকন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নামাজের সময় বাদ্য বাজানো ও কীর্তন গাওয়া নিয়ে সিলেটে ইসকনভক্ত ও মুসল্লিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের গেট বন্ধ থাকায় এবং পুলিশের উপস্থিতির কারণে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর কাজল শাহ এলাকায় শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউ ইসকন মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেট ইসকন মন্দিরের ইয়ুথ ফোরামের সমন্বয়ক দেবর্ষি শ্রীবাস জানান, মন্দিরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও কীর্তন চলছিল। হঠাৎ বাইরে থেকে ঢিল ছোড়া হলে তাঁরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

যেহেতু মন্দিরের লোক নিজেই বলেছে, তারা কীর্তন গাচ্ছিল সেহেতু মুসলিমদের অভিযোগ ঠিক আছে এটাই সত্য। কয়েকজন এলাকাবাসী দাবি করেন, নামাজের সময় গান বা কীর্তন বন্ধ রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ সে অনুরোধ শোনেনি। আজও নামাজ শেষে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মন্দিরের লোকজন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সুত্রঃ http://goo.gl/9k2s9e
--------------------------------------------------

সুতরাং এই ঘটনার জন্য দায়ী কে ? আজ যদি কোন রক্তারক্তি কান্ড ঘটত তাহলে এর দায়ভার কে নিত ?

তাদের অনুরোধ করার পরও তারা কীর্তন বন্ধ করে নি, স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমরা উত্তেজিত হবেই। এই ঘটনাই প্রমান করে গায়ে পড়ে কারা ঝগড়া করতে চায়। এর আগেও ২০১৪ সালে ঢাকার স্বামীবাগে ও তারা তারাবীহ নামাজের সময় এমন করেছিল। এর আগে ২০১১/১২ সালের দিকে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গীবাজারে এক মসজিদের সামনে ইচ্ছেকরে গিয়ে গান বাজানো শুরু করে, পরে এক মুসল্লী বের হয়ে ধাক্কা মারলে পুরো এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে যায়।

বস্তুত, এরা আসলে চাচ্ছে এই দেশে একটা দাঙ্গা হোক। কারন, এরা ভালো করেই জানে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে ভারতের পুলিশের মত এই দেশের প্রশাসন ও তাদের পক্ষ নিবে। কারনটা আর কিছুই না, ট্যাঙ্ক ইনু নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া আর সংখ্যালঘু তত্ব।

--------------------------------------------------

তবে প্রশাসনের উচিত আগে মন্দিরের লোকজন থেকে জিজ্ঞেস করা কেন তারা জুমার নামাজের সময় গান বাজনা চালু রেখেছিল ? কেউ মানাই বা করবে কেন ? এরা জানে না ইসলাম ধর্মের সাথে গান/বাজনা সাংঘর্ষিক ?

এখন কি এদের কেউ সাম্প্রদায়িক বলবে ?

সরকারের এইসব বিষয়ে এক পক্ষ নী্তি এই দেশের পরিস্থিতিকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে ? আর সিলেট বাসীর এটা প্রাপ্য ছিল। রাগীব আলীর থেকে আজীবন সুযোগ সুবিধা নিয়ে এসেছেন কিন্তু তার ন্যায্য জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে কিছুই তো করেননি ?

এই খবর দেখেও অনেকে "উটকো" ঝামেলা বলে এড়িয়ে যাবেন, তারা একদিন তার প্রাপ্য পাবেন। অপেক্ষা করুন, আরো অনেক কিছু অপেক্ষা করছে। আপনারা সকল সংগঠন মিলে যদি হুংকার ছাড়েন "কোন ধরনের ধর্ম অবমাননা সহ্য করা হবে না" এরা লেজ তুলে পালাতো !
সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে উস্কানি ছড়িয়ে দাঙ্গার আয়োজন করা হয়েছিল, তবে শুধু মুসলিমদের সাথে নয়, মূলধারার হিন্দু দাবীদারদের সাথেও ইস্কনের বিরোধ অনেক। এই ইসকনিরা মূল ধারার হিন্দুদের মানুষ ও মনে করে না অনেক ক্ষেত্রে।

কি এই ইসকন ?
- ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) বা হরেকৃষ্ণ আন্দোলন একটি হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ ব্যক্তি কোন হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে নাই। লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টান মিশনারীতে। পেশায় সে ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। খ্রিস্টান মিশনারি থেকে পড়ালেখা করে এসে সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত বনে যাওয়াটা কেউ অনুধাবন করতে পেরেছেন কি ?

উদ্দেশ্য হোলও মূলধারার যারা হিন্দু তাদের কে "উসকে" দিয়ে মুসলিমদের সাথে বিরোধ তৈরী করা যার নেপথ্যে আছে সেই টেকনিক্যাল ব্রেইন! যাদেরকে বলা হয়ে থাকে বনি ইসরাইল। তাই যখন সে এই ইসকন প্রতিষ্ঠা করে গোঁড়া হিন্দুরা এর প্রতিবাদ করলেও তার পাশে তখন এসে দাঁড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স প্রমুখ জিউ ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ তাঁকে স্বাগত জানান।

এই হারভে কক্স ছিলেন একজন খ্রিস্টিয়ান গবেষক, যে কিনা সোশ্যাল খ্রিস্টিনারি নিয়ে গবেষণা করতেন। যার মূল ছিল দরিদ্র জনগণ। ধারনা করা হয় প্রভুপাদ এই বিশয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে দরিদ্র শ্রেনীকে টার্গেট করে তার মিশন নিয়ে এগিয়ে যায়।
সুত্রঃ
https://goo.gl/vf9wyi
http://archive.is/ZsL5v
http://archive.is/0vq6c
http://archive.is/rmcrI
http://archive.is/Dw7nQ
https://en.wikipedia.org/wiki/Larry_Shinn

--------------------------------------------------------------

আপনারা দেখে থাকবেন ইসকনের ওয়েবসাইটে শুধু মাত্র সাদা চামড়া ধারীদের ছবি ! এটা হচ্ছে এদের কাভার। এই কাভার দেখিয়ে সাধারনত মানুষকে দলে ভেড়ানো অনেক সহজ। এদের সাথে মূল ধারার হিন্দুদের অনেক বিরোধ রয়েছে ।

যেমন,

১ । ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে সনাতনী মন্দির দখল করে নেওয়ায় ইস্কনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সুত্রঃ http://archive.is/JbP92

২। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায় ইসকন পরিচালিত বাসুদেব মুকুন্দ ধাম মন্দির দখল করার জন্য পার্শ্ববর্তী সুজন শেখর দত্তের হামলা, যা ইতিপুর্বে ইস্কন দখল করেছিল ।
সুত্রঃhttp://archive.is/svfYW

এছাড়া আপনি যদি ইস্কন ভার্সাস হিন্দুজম লিখে অনলাইনে সার্চ দেন হাজার হাজার লিংক পাবেন।

বাংলাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জগতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছে এই ইসকন। ‘বাংলাদেশে র’ নামক বইটির ১৭১ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লেখা আছে- ‘ইকসন হচ্ছে একটি ইহুদী সংগঠন’।

আমার মতামত হোলও, সরকার যেমন ইহুদীবাদীদের ব্যাপারে কঠোর তেমনি "ইসকন" এর বিরুদ্ধে ও সরকারের উচিত শক্ত পদক্ষেপ নেয়া। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই সরকার খোজ খবর নিক, নিয়ে দেখুক কারা এদের নেপথ্যে। সরকার এই ব্যাপারে আমার চেয়ে অনেক দক্ষ ভাবেই খোজ নিতে পারবে।

লেখা -- অনিমেষ রায় (ফেসবুক হতে প্রাপ্ত )
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×