জায়গাটা স্বর্গের কাছাকাছি...চারদিকে সবুজ বন তার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা ঝিরি পানির ছড়া...বর্ষায় তেজ দেখালেও এখন একেবারে শান্ত কোমল....পায়ে চলা পথ থেকে ঢালু জমি পেরিয়ে ছড়ার পাশে এসে দাঁড়ালাম...
সঙ্গী বলল চলো ছড়ার পানিতে পা ডুবিয়ে হাঁটা যাক...স্বচ্ছ ঝকঝকে পানি...দেখলেই মন চায় অাঁজলা তুলে খাই...ছড়ার পানিতে পা রাখতেই পায়ের নীচের আলগা পাথর সরে যায়...টাল সামলাতে হাত দুটো নাচের ভঙ্গিতে একটু উপরে তুলি...শরীরের ভারে পানির নীচে লাল পাথুরে বালুতে খানিকটা পা দেবে যায়...
আমার সঙ্গী হালকা পাতলা গড়ন...ভেজার ভয়ে পরনের ট্রাউজার গুটিয়ে নিয়েছে হাঁটু অবধি...পুরো পা জুড়েই যত্নের ছাপ...ভয়ানক ফর্সা পা আরো সাদা মনে হয় ছড়ার জলে...আমরা হাঁটতে থাকি...
কোথাও কোন শব্দ নেই...পুরো বাগান জুড়ে শুধু আমরা দুটো প্রাণী...ঢালুর ওপরের চা-গাছগুলােকে বিকেলের মরা আলােয় ভীষন বুড়োটে দেখায়...আমরা একে অপরের হাত ধরে হাঁটতে থাকি...
হাঁটতে হাঁটতে আমরা দুজনেই বুঝে ফেলি এভাবে হাঁটার কোন মানে হয় না...কোনই মানে নেই এভাবে পা ফেলার...তাই হাত ছেড়ে দেই...আবারো হাঁটতে থাকি একা এবং একজন...