সাহিত্যের নামে অনেক আবর্জনা পড়তে পড়তে আমার শুধু মনে পড়ে লেখকদের এই সময়টা দুর্বিক্ষের কাল। গল্প পড়ি, দেখি গল্পের ভেতর গল্প নাই। কবিতা পড়ি ধ্বনি খোজেঁ পাই না। প্রবন্ধ পড়ি, হয় প্রসঙ্গের ভেতর প্যাচাল চলতে থাকে, নাহলে প্রসঙ্গ ছেড়ে বহুদূর গিয়ে নৌকা বাইছ চলতে থাকে। বাঙলায় কটা অক্ষর শিখে বড় মুছিবতে আছি।
বন্ধুদের আড্ডায় বসি, দেখি বন্ধু নাই। সবাই মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই কথা ফুরিয়ে যায়। শব্দকে ঘনবদ্ধ করে কান গরম করে তুলতে প্রয়াসী হলে - বন্ধুদের পাঠ করে শিউরে উঠি।
শিউলি আমার ছোট বোন। মাত্র ক্লাশ সেভেন পার করেছে। একদিন দৌঁড়ে এসে বলল, ঐ যে তোমার বন্ধু কেবল ডেব ডেব করে চায় সে সুযোগ পেলেই খালি নুয়ে আসে। লাগাই এক ধমক। মানুষের চরিত্র হরণে এখনই শেয়ানা হয়ে উঠছিস। তসলিমা নাসরিন হতে চাস নাকি।
পুরো এক সাপ্তাহ সে আমার সঙ্গে কথা বলেনি। আমিও পাত্তা দেইনি। তারপর এভাবে কেটে গেছে কতদিন মনেও নেই। কথাটথা একটু আধটু হতো, শিউলির ভেতর যে অভিমানটা দানাবাধা রয়ে গেছে সেটা বুঝতে মোটেই ভুল হয়নি। তবু ভাবি, থাকুক। একটু শিক্ষা হওয়া চাই। বন্ধুদের প্রতি আত্মবিশ্বাস আমার এমনই। আজও শিউলির কথা বিশ্বাস করতে পারলাম না।
একদিন বিশ্বাস ভাঙলো। তখন আমি নিজেও আক্রান্ত হয়ে গেছি বেশ কয়েকবার। শিউলি মুখ কালো করে থাকে। সে আমারটাও বুঝে গেছে। কিন্তু সে আমার মতো নিষ্ঠুর ছিল না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাঁদল। এর থেকে আমার কোনো বন্ধু নাই, কেবল শিউলিই আমার বন্ধু।
- চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





