জাতি হিসেবে আমরা তেমন খারাপ না কিন্তু দিনকে দিন তথাকথিত ভালত্বের সূচক নিম্নে নামছে। মানব সন্তান বলে কথা হিপোক্রেচি থাকবেই কিন্তু এটারও একটা সীমা থাকা উচিত।
বর্তমানে দেশে বিদেশে অসংখ্য বাংলাদেশীর মধ্যে ভাদা এবং পাদার উর্ধ্বমুখী হার আমাকে ঝারপনাই ভাবিয়ে তুলছে।
একটাই প্রশ্ন আমার, মানুষ কত নিচে নামলে নিজের পরিচয় ভুলে পরগাছার মত অন্যের পরিচয়ে বাচতে চায়। যেখানে তথাকথিত অন্যরা শুধু আমাদের অত্যাচার, শোষন করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন আমাদের মা, বোন, ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করছে। আর আমরা হয়ত কয়েক মিনিটের মৌনতা পালন করে আবার ইন্ডিয়ান ফিল্ম, গান, পন্য নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পরি। আমি ইন্দো-পাকদের দোষব না, দোষ দেবনা আমাদের
বৃহত্তর স্বল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কিন্তু দোষ আমাদের যাদের শিক্ষা লাভ করার সুযোগ হয়েছে কিন্তু ইহার প্রয়োগিক ব্যবহারে ব্যর্থ। উচ্চপদে আশীন হয়ে যারা দুর্নীতিতে ব্যস্ত। যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং এখন দেশ ও জাতির পরিচয় বিক্রি করতে ব্যস্ত।
বিদেশে থাকার সুবাধে কিছু সচিব এবং মন্ত্রীর বাল বাচ্ছাদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। যতই দেখেছি ততই মুগ্দ্ধ হয়েছি। হায় বাংলার ভবিষ্যৎ'র একি অবস্হা! ইনারা, বিদেশী সংস্কৃতি এবং নিজেদের স্ট্যাটাস ক্যু নিয়ে এতই ব্যস্ত যে জনগনের সেবা ইনাদের দ্বারা আদোও স্বাদিত হইবে কিনা ইহা সন্দেহজনক। এদের প্রায়ই কিন্তু ব্যারিস্টারি পরিতে ব্যস্ত! উদ্দেশ্য একটাই!
প্রশ্ন একটাই, আমাদের হিপোক্রেচি আমাদেরই ছিরেকুটে খাবে। আমি সংকিত এইভেবে যে আমরা কি আমাদের পরিচয় হারাতে বসেছি। আমাদের সমাজের তথা দেশের এইসব অসংগতি কিভাবেই বা নতুন প্রজন্মকে বোঝাব। ওরা কি আমাদের হিপোক্রিট বলবে না!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




