ফয়সল নোই এর রাহেলাকে নিয়ে লেখাটা পড়ছিলাম। সেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়'এর মশাররফ হোসেন হলের জঙ্গল থেকে শুরু করে চানমিয়ার সাথে কথোপকথন পর্যন্ত। কেমন যেন বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছি লেখাটা পড়ে। ঘটনাটা আমাদের সবারই জানা। আমাদের প্রশাসন কি আদৌ ঠিক হবে ফয়সল ভাই? আদৌ কি বন্ধ হবে এই তেলেসমাতি! ফয়সল ভাই আপনার জ্ঞাতার্থে একটি বিষয় দিতে চাই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ই মার্চ নারী পর্ষদ নামে একটি নারীবাদী সংগঠন রয়েছে যতদূর জানি। এখন তাদের কি কার্যক্রম তা আমার জানা নেই। সামনে ৮ ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এই সংগঠন শুনেছি প্রতিবছরই কিছু না কিছু করে থাকে। তো, ৮ ই মার্চ নারী দিবসে রাহেলার জন্য ওরা কোনকিছু করছে নাকি জানতে পারলে খুব খুশী হতাম। নাকি ছাত্রী না হওয়ার কারণে রাহেলাকে নিয়ে ওদের কোন কর্মসূচী নেই!!! আর কর্মসূচী মানেই তো প্রচার-প্রসার। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবার মনের নরম জায়গাটাকে খেয়ে ফেলাটাই যেন প্রধানতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এটাই ভালো লাগছে। মাঝখান দিয়ে স্বার্থান্বেষী কিছু সংগঠন যেন এসব না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
সবার শেষে একটি কথাই বলতে চাই। শুনেছি নারীবাদের রং বেগুনী। কেউ কি আমায় বলতে পারবে রাহেলার কষ্টের, অমানবিক কষ্টটার রং কি? এই প্রশ্নটা সবার কাছেই রইলো।
ফয়সল ভাই আপনার লেখাটা (যদিও পুরোনো কিন্তু সবসময়ই নতুন থাকবে আমার কাছে) আমাকে আবারও একবার ভাবালো কি সময়ের ভেতর দিয়ে আমরা বয়ে চলেছি!!!
ধন্যবাদ আপনাকে ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




