যখন আমি শরণার্থী শিবিরে বোমাযুদ্ধ দেখলাম, তখন মনে হল প্রথমবার মৃত্যু দেখলাম।
আগুনের গর্তে নিথর কবন্ধ পড়েছিল,
মুখবিহীন মানুষ, হারিয়ে যাওয়া করুণ চিৎকারের আকুতি নিয়ে পড়েছিল তারা।
আমি কখনো ব্যাথা বুঝিনি,
যতক্ষণ না পর্যন্ত সাত বছরের এক মেয়ে আমার হাত আঁকড়ে ধরেছিল
তার বাদামি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল উত্তরের প্রতীক্ষায়।
আমার কাছে কোন উত্তর ছিল না ওকে দেবার মত।
আমার নিঃশ্বাস আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম।
শুকনো কলমটাও রেখেছিলাম পেছনের পকেটে।
মানব-সভ্যতার বোঝাবুঝির জন্য ওই কালিশূন্য কলমটি যথেষ্ট মনে হয়নি আমার কাছে।
মেয়েটির অন্য হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিল ওর দাদীর ঘরের চাবি।
পাশেই পড়েছিল এক প্রকৌশলীর নিথর লাশ।
ওর ঘাড় ভেদ করে ওর কন্ঠনালী দিয়ে বের হয়ে গেছে দশমিক পঞ্চাশ।
মেয়েটি বলছিল, "এই আমার জন্মভূমি"।
ওর কোন ইতিহাসের পাঠ্য দরকার নেই, কিংবা দরকার নেই কোন শিক্ষকের।
ওর কাছে এই আকাশ, এই শরণার্থী ক্যাম্প...কোন কিছুরই সঠিক কোন হিসাব নেই।
ও তাকিয়ে থাকে আমার শুকনো কলমটির দিকে।
আমার উত্তরের জন্য আর ও অপেক্ষা করে না।
(রেমি কানাজি একজন প্যালেস্টাইন কবি)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




