somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (পঞ্চম পর্ব- প্রথম যুদ্ধ)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




নেপোলিয়ন আর হিটলার দুইজন এর মধ্যে কে বেশি সৌভাগ্যবান? এটা অবশ্যই একটা গবেষণার বিষয়। হিটলার যে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এতো অল্প সময়ে এতো যুদ্ধ জয় করা নায়ক কম। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তিনি তার সিদ্ধান্ত দ্রুত পরিবর্তন করে যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করতেন। একই কৌশল পর পর দুই যুদ্ধে ব্যবহার করতেন না। সবচেয়ে বড় কথা সাধারনতঃ সেনাপ্রধান কখনো নিজে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন না। সৈনিকরাই যুদ্ধ করেন। কিন্তু নেপোলিয়ন মতো সেনাপ্রধান হয়েও সাধারণ সৈনিকের মতো যুদ্ধ করেছেন অসংখ্য যুদ্ধে। কামান গোলার মধ্যে ছুটে চলেছে তার ঘোড়া। এক সময় তিনি নিজেই হয়তো বিশ্বাস করতেন তিনি অমর। যুদ্ধে তিনি প্রাণ হারাবেন না। আহত হয়েছেন, অনেক বার। প্রথম দিকে খুব বাজে ভাবেও আহত হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে কখনো দমে যায় নি।

হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একজন সৈনিক। তার কাজ ছিলো এক ট্রাঞ্চ থেকে আরেক ট্রাঞ্চে তথ্য (Message ) সরবরাহ করা। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। যুদ্ধকালীন সময়ে এই তথ্য পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য হয়। এই সময় যে গোলাবৃষ্টির মধ্যে হিটলার কাজ করেছেন এবং জীবন বাজী রেখে কাজ করেও বেঁচে ছিলেন এতেও তার মনে হতেই পারে, তিনিও হয়তো নেপোলিয়নের মতো সহজে মারা যাবেন না।

সে কথা থাক। আসুন আজ আমাদের সামনে কি আছে দেখা যাক। প্রথম যুদ্ধ বা প্রথম সুযোগ।

নেপোলিয়নঃ
১৭৯৩ সালে ২৭-২৮ অগাস্ট ইংরাজরা ফরাসি বন্দর তুঁল (Toulon) অধিকার করে নেয়। ফরাসি বিপ্লব, সম্রাট ষোড়শ লুই- এর গিলোটিনে শিরোচ্ছেদ এবং সর্বোপরি ফ্রান্সের প্রজাতন্ত্রী সরকার প্রতিষ্ঠা ইউরোপের ক্ষমতাশীন রাজা ও সম্রাটদের চোখ যেয়ে পড়ল ফ্রান্সের উপর। তারা ভাবলো, এই অন্তর্দ্বন্দের মধ্যে ফরাসি জাতিকে এইবার কব্জা করা যাবে। ফ্রান্সের সেই অস্থির সময়ের সুযোগ নিয়ে ইংরেজ ও স্পেন এর মিলিত যুদ্ধ জাহাজ তুঁল আক্রমন করে এবং তুঁল নগরী দখল করে নেয়। এই তুঁল বন্দরটি ফ্রান্সের নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর হারালে ফ্রান্সের জন্য নৌবাহিনীর উন্নয়ন এর সমস্ত আশা শেষ হয়ে যাবে। ফলে ফ্রান্সের শত্রু ইংরেজদের বিরূদ্ধে ফ্রান্সের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। সমুদ্র দখল এর যুদ্ধে চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে ফ্রান্সের অন্যান্য স্থানেও বিদ্রোহের দানা বেঁধে উঠতে পারে।

তাই, কারটুর নেতৃত্বে চল্লিশ হাজার ফরাসি বাহিনী তুঁল উদ্ধার করার জন্য পাঠানো হয়। এই সময় গোলন্দাজ বাহিনীতে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন নেপোলিয়ন। তুঁলর ভূপ্রকৃতির চিত্র নেপোলিয়নের নখদর্পণে। তিনি পাহাড়ি ধাপে কামানগুলো বসিয়ে ইংরেজ রণতরীগুলির দিকে গোলা ছুড়তে থাকেন। এর ফলে ইংরেজ রণতরীগুলো পিছু হটতে বাধ্য হল। এই সময় জ্যাকবিন সরকার গোয়েন্দার মাধ্যমে তুঁল'র যুদ্ধের খবরাখবর রাখছিলেন। তাদের কাছে সেনাপতি কারটুর যুদ্ধক্ষেত্রে দোদুল্যমনতা দেখে তাকে সরিয়ে নেন। পাঠানো হয় ইটালির যুদ্ধক্ষেত্রে। এদিকে নেপোলিয়নের বীরত্বে, কৌশল এবং সাফল্য সৈন্যদের মনে উৎসাহের সৃষ্টি করে। তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। নেপোলিয়নের পাশের যুবক গুলিতে মারা গেলে তিনি সেই সৈনিকের বন্দুক নিয়ে ফরাসিবাহিনীর সাথে যোগ দেন। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিজেদের পাশে পেয়ে সেনারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে।

একদিন সমুদ্রতীরে ইংরেজ-জাহাজের সামনে দাঁড়িয়ে নেপোলিয়ন তার সৈনিকদের জিজ্ঞাস করলেন, -তোমাদের মধ্যে কার হাতের লেখা ভালো? একজন তরুণ সার্জেন্ট এগিয়ে এলেন। গোলন্দাজ বাহিনীকে কামানগুলো কীভাবে সাজাতে হবে সে বিষয়ে নেপোলিয়নের একটা নির্দেশ দিচ্ছিলেন এবং সেই নির্দেশ লেখবার দায়িত্ব দিলেন সেই তরুণ কে। নেপোলিয়ন দেখলেন অসাধারণ দক্ষতায় সে ছবির মতো লিখে চলেছে। এমন সময় ইংরেজ জাহাজ থেকে একটা গোলা এসে পড়ল তাদের সামনে। শুকনো বালিতে লেখার কাগজটা ভরে গেল। সেই লেখক সৈনিক বলল, - ভালোই হলো, আমাকে আর ব্লটিং পেপার ব্যবহার করতে হবে না। নেপোলিয়নও ঠিক এই কথাটাই আশা করছিলেন। যুবটির নাম জুনো। জুনোকে তিনি তার ব্যক্তিগত সেনাবিভাগে অন্তর্ভূক্তি করেন। এরপর বহু যুদ্ধে নেপোলিয়নের বিশ্বস্ত ও প্রিয়পাত্র জুনো তার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। নেপোলিয়নের এই এক মস্ত গুণ- লোক চিনবার ক্ষমতা। কাকে দিয়ে কোন কাজটা করাতে হবে এটা বুঝে নিতে সময় লাগতো না।

তুলোর যুদ্ধের দায়িত্ব পান দুগোমিয়ের (পুরো নাম Jacques François Dugommier)। তিনি নেপোলিয়নের তুঁলর যুদ্ধে নেপোলিয়নের কৃতিত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, I have no words to describe Bonaparte's merit: much technical skill, an equal degree of intelligence, and too much gallantry..." তিনি নিজেও নেপোলিয়নের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অবশেষে নেপোলিয়নের পরামর্শে পদাতিক ও গোলন্দাজ বাহিনীর মিলিত শক্তিতে, দুই পক্ষের সঙ্গে দু-ঘন্টা ধরে হাতাহাতি যুদ্ধে ফরাসি বাহিনীর জয় হয়। রাতের অন্ধকারে নিজেদের জাহাজগুলো ফেলে ব্রিটিশ নৌ-সেনাপতি স্যার সিডনি স্মিথ ও সেনাপত হুড প্রাণ নিয়ে তুঁল ছেড়ে পালান। ইংরেজ জাহাজ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। নিজেদের জাহাজটি নিজেরাই পুড়িয়ে দেয় তারা। নেপোলিয়নের জীবনে এটাই প্রথম যুদ্ধ জয়।

এখানে বলে রাখা ভালো এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন তার উরুতে (Thigh) এ গুরুতর আঘাত পান। এবং যুদ্ধের অসীম সাহসিকতার জন্য ‘Brigadier General’ হিসেবে পদোন্নতি পান। শুধু তাই নয় এই সময় জাতিয় নিরাপত্তা কমিটির নজরে এলে অগাস্টিন রোবেস্পিয়ার এর কাছাকাছি আসার সুযোগ পান। এতে তার উপরে উঠার সিড়ি প্রশস্ত হয়।

হিটলারঃ
আগেই বলেছিলাম, মা মারা যাবার পর হিটলার আবার ভিয়েনায় ফিরে আসেন। ১৯০৮ সালে ভিয়েনায় একাডেমী অব ফাইন আর্টস এ আরাক বার ভর্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার প্রাথমিক বাছাই পর্বেই বাদ পড়েন। জীবিকার জন্য ছবিকেই বেছে নেয়ার প্রয়াস চলতে লাগলো। কিন্তু একদিন সেই টাকাও শেষ হয়ে আসে। হিটলার লিখেছেন, এই সময় তাকে মজুরের কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে হয়েছে। এক রাতে তার দেখা হয় গ্রাফিক আর্টিস্ট রিনহোল্ড হ্যানিশের সাথে (Rienhold Hanisch)। হ্যনিস একজন বোহেমিয়ান জার্মান। তিনি, এক প্রস্তাব দিলেন হিটলার কে। ভিয়েনার ছবি গুলো টুরিস্টদের কাছে বিক্রি করবেন হ্যানিশ। এতে যা আসবে, তার অর্ধেক পাবে হ্যানিশ আর অর্ধেক পাবে হিটলার। হিটলার সানন্দে এ প্রস্তাবে রাজী হলেন। এতে অর্থ উপার্জন ও মন্দ হচ্ছিলো না। আর এমন জীবনই তিনি চেয়েছিলেন। একজন শিল্পীর জীবন।

১৯০৯ সালে অস্ট্রিয়ার কর্তৃপক্ষ তাকে বাধ্যতামূলক ভাবে সামরিক বাহিনীতে নাম অন্তর্ভূক্ত করতে নির্দেশ দেয়। হিটলার ভিয়েনা ছাড়ে চলে আসেন জার্মানীর মিউনিখ শহরে। মিউনিখেও তার ছবি ভালো বিক্রি হতো। তবে জীবনযাত্রার মানের তেমন কোনো পরিবর্তন হলো না। কিন্তু ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়ান পুলিশ তাকে ধরার জন্য মিউনিখের পুলিশকে অনুরোধ জানাল। হিটলারের বিরূদ্ধে অভিযোগ, সে সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক ভাবে কাজ করার জন্য তালিকাভুক্তি হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে জার্মানিতে আশ্র্য় নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে চিঠি জার্মান পুলিশকে তারা পাঠায় তাতে হিটলার কে চিত্রশিল্পী হিসেবে অভিহিত করা হয়। হিটলার সেনা অধিদপ্তরে এলে তার জীর্ন-শীর্ণ দুর্বল দেহ দেখে সেনাবাহিনীতে কোনো কাজে আসবে না বলে মত দেন। এতে আবার সে ছবি আঁকায় মনোযোগ দেন।

১৯১৪ সালে জার্মানী রাশিয়ার বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। যে হিটলার নিজেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিবে না বলে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সেই হিটলার এবার মৃত্যূভয়কে তুচ্ছ করে জার্মানীর জন্য প্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে ১৬ নম্বর ব্যাভেরিয়ান ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি কেন জার্মান এর হয়ে প্রাণ দিতে চেয়েছিলেন। সে এক লম্বা ইতিহাস। সে নিয়েও হয়তো একটা পর্ব লেখা সম্ভব কিন্ত আমার মূল বিষয় তো সেটা নয়। তাই সে পথে আর পা বাড়ালাম না।

এবার আসা যাক হিটলারের প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ কেমন ছিলো। তিনি প্রথম যুদ্ধে ডিসপাচ রানার (Dispatch Runner) বা বার্তা বাহক হিসেবে যোগ দেন। রানার এর কাজ হলো এক ট্রাঞ্চ থেকে আরেক ট্রাঞ্চে ইনফরমেশন বা তথ্য (Message) পৌছে দেয়া। সেই দিনগুলো কেমন ছিলো তা নিয়ে হিটলার চিঠি লিখতেন তার বাড়িওয়ালা মিঃ পপের (Popp) কাছে। জলে-কাদায় পা ডুবিয়ে মাসের পর মাস এক মস্ত জলা জমিতে দাঁড়িয়ে তারা ব্রিটিশের বিরূদ্ধে লড়েছেন। আবহাওয়া খুব খারাপ থাকতো। ট্রেঞ্চের মধ্যে কাদায় পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রাতভোর। কখন যে হঠাৎ শত্রুর বন্দুকের নল থেকে গুলি ছুটে আসে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। যুদ্ধে নির্ভীক যোদ্ধার মতো হিটলার তার দায়িত্ব পালন করেছেন। যুদ্ধে তার ঐকান্তিকতা এবং নির্ভীকতা সেনা-অফিসারদের নজরে আসেন। তারা তার প্রশংসা করলেন হিটলার সেনাদলে কর্পোরাল পদে উন্নীত হলেন। যুদ্ধে যেয়েও হিটলার অবসর সময়ে আঁকতে লাগলেন। যুদ্ধ বিষয়ে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নানা কবিতা লিখেন। প্রতিটি কবিতা আশ্চর্য ভাবে মানবিকতার রসে সমৃদ্ধ। এক কবিতায় তিনি দেখালেন, কেমন করে ফরাসি এবং জার্মান সৈনিকরা নিজেদের রাইফেল ফেলে দিয়ে একজন জার্মান সৈনিককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। হিটলার যখন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন জার্মান নার্সদের প্রশংসা করে সুন্দর কবিতা লিখলেন, নাম দিলেন ‘Still Heroism’। ১৯১৬ সালে লা-বার্কে (Le-Barque) যুদ্ধ করতে করতে হিটলার আহত হন। বাম উরুতে এমন আঘাত লাগল যে প্রায় চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। বার্লিনের কাছে বিলিৎজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পাঁচ মাস শয্যাশায়ী ছিলেন। তার পর হিটলারকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মিউনিখের রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে।

আঘাত সেরে গেলে হিটলার আবার যুদ্ধে যান। ১৯১৮ সালের এপ্রিলে আভারেতে যুদ্ধ করেন। । আগস্ট মাসে যুদ্ধে তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তিনি ‘আয়রন ক্রস’ পেলেন। যুদ্ধের কৃতিত্বের জন্য হিটলার দুইবার ‘আয়রন ক্রস’ পান। একবার দ্বিতীয় শ্রেনী পেলেও পরেরবার প্রথম শ্রেনীর ‘আয়রন ক্রস’ পান। এটা একজন সামান্য সৈনিকের জন্য অনেক কিছু। কেননা অনেক উচ্চ শ্রেনীর সেনাকর্মকর্তারাও এই সম্মানের যোগ্যতা দেখাতে পারেন নি। হিটলার সারা জীবন এই ‘আয়রন ক্রস’ এর মেডেল তার জামায় পড়তেন। এটা অবশ্যই একটা গর্বের ব্যাপার ছিলো। আসলে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন জার্মান জাতির জন্য।

১৯১৮ সালেই জার্মানি যখন ফ্রান্সের কাছে চূড়ান্ত পরাজয়ের মুখে তখন তিনি আবার আঘাত পান। এবার তার চোখে বিষাক্ত গ্যাস ( Mustard Gas) লাগে। হিটলার সাময়িক ভাবে অন্ধ হয়ে যান। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে হিটলার ভীষণ ভেঙ্গে পড়েন। তখন চারদিকেই বিপর্যয় নেমে আসছে। কিন্তু তাতে যত না ভেঙ্গে পড়েন তার চেয়ে বেশি ভেঙ্গে পড়েন জার্মানির পরাজয়ের খবর পেয়ে। জার্মানি আত্মসমর্পণ করেছে শুনে হিটলার একেবারে বিহ্বল হয়ে পড়েন। যুদ্ধে পরাজয়ের অভিজ্ঞতা লেখবার সময় হিটলার বলেছেন, ‘মা’র মৃত্যূর পর, মা’র কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদেছি, আর তারপর যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানিতে আমার চোখে জল এসেছে। আমার দুঃখে মনে হয়েছে যেন আবার আমি অন্ধ হয়ে যাব।‘ এ সময় হিটলার যে কবিতা লেখেন তার নাম- ‘পাসওয়াকের বনভূমিতে সম্মানের শ্মশানভূমি’।

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (প্রথম পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (দ্বিতীয় পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (তৃত্বীয় পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (চতুর্থ পর্ব বা প্রেম পর্ব)
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×