দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ অপচয়- একটি তাত্ত্বিকতা
১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণই হচ্ছে অপচয়। ব্যক্তিগত বা জাতিগত জীবনে নানা ধরনের অপচয় প্রবণতাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ঠেলে দিচ্ছে দারিদ্র, দুর্দশা আর ভোগান্তির মুখে। এ অপচয় শুধু যে ধনীদের ক্ষেত্রে তা নয়। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষের মধ্যেও রয়েছে অনেক অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর পণ্যের পেছনে অহেতুক খরচের প্রবণতা। বিজ্ঞাপন এবং মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে সীমিত আয়ের অধিকাংশটাই এভাবে খরচের ফলে বাড়ছে না তাদের সঞ্চয় ও বিনিয়োগ প্রবণতা। ফলে দরিদ্রের দারিদ্র আরো বাড়ছে, আর এসব পণ্য বিক্রি করে মুনাফা ভোগী ধনীর ধনও বাড়ছে আরো বহুগুণ বেশি হারে। এক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১৯৯১-৯২ সালে সবচেয়ে দরিদ্র ৫% জনগোষ্ঠীর তুলনায় সবচেয়ে ধনী ৫% জনগোষ্ঠীর আয় ছিলো ১৮ গুণ। ২০০০-২০০১- এ মাত্র ১০ বছরে এ তুলনা দাড়িয়েছে ৮৪ গুণ। অর্থাৎ ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
ঠুনকো ঠাঁটবাট বা তথাকথিত সামাজিক সম্মান বজায় রাখাই অপচয় প্রবণতার কারণ। অনেক ক্ষেত্রে বুঝতেও পারি না যে, আমরা অপচয়ে লিপ্ত। অথচ পৃথিবীর ইতিহাসে সে জাতিরাই সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে যারা হিসেবি, সংযমী ও অপচয়কে প্রশ্রয় দেয় না। আর যারা তা করতে পারে না, তারাই নিয়ন্ত্রিত পদদলিত শোষিত হয় অন্যের দ্বারা। তিনি বলেন, ইদানিং আমাদের সমাজে মোবাইল প্রবণতা এই অপচয়ের একটা উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। প্রয়োজনের চেয়ে অহেতুক গাল-গল্প এবং সময় নষ্টের জন্যে আমরা প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করি এই মোবাইল ফোনের পেছনে। এর সবচেয়ে করুণ শিকার ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ- তরুণীরা। জাঁকজমক দেখাবার জন্যে ব্র্যান্ড পোশাক এবং ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবারেও প্রচুর অপচয় করি আমরা। অথচ অর্থনাশ এবং স্বাস্থ্যহানি ছাড়া ওতে আর কোনো লাভ হয় না। আর অপচয়ের সবচেয়ে প্রচলিত প্রবণতা হলো সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে বিলাসবহুল সব আয়োজন এবং তাতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের দামী গিফট প্রদানে এক ধরনের বাধ্যতা। একটি সুস্থ, পরিকল্পিত এবং সমৃদ্ধ ব্যক্তি ও জাতীয় জীবন গড়তে হলে অবিলম্বে আমাদের এসব সামাজিক ব্যাধি ও ক্ষতিকর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কৃতজ্ঞতায়ঃ
http://www.quanfey.org/
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে
আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
...
...বাকিটুকু পড়ুন