somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব ম্যাঁওপ্যাঁও গোয়েবলসী ডোডোপাখি ক্রমিক প্রপাগান্ডা "চিনারা পদ্মাসেতু বানাইসে"

২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমেরিকার প্রধান বস্তি নিউইর্ক সিটিকে কোন আমেরিকান, এমনকি খোদ নিউয়র্কাররাও "আমেরিকা" মনে করে না, নিউইর্ক সিটি নিজেই একটা আলাদা গ্লোবাল সত্তা। ডিভি পার্টি, কুশিক্ষিত, আইটি বিজনেসের ফেক রিজুমির বাটপারি ব্যাবসা, নিউ জার্সির স্ক্যামারদের আড্ডাখানায় একটা বিশেষ শ্রেনীর প্রাধ্যানা দেখা যায়। বুড়ো বয়সে পারিবারিক বা আর্থিক কারনে মেন্টালি স্টেবল না বা সিরিয়াস মানসিক অবসাদে ভুগছেন এইরকম সোশীওপ্যাথ প্রচুর দেখা যায়, এদের জন্য মায়াও লাগে।

মানসিক অবসাদে ভোগা লোকজন তা ভুলতে নানাভাবে নিজেকে ব্যাস্ত রাখবেন, এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু একবার দুইবার তিনবার ১৪ বার করে যখন কেউ নিজের ব্যাক্তিগত আক্রোশ আর ভুয়া কথাকে "ফ্যাক্ট" হিসাবে পাব্লিক মিডিয়ার ক্রমাগত প্রচার করবেন , এটার বড় বিপদ। কিংবা দেশে প্রকৌশলবিদ্যা /বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ার সযোগ না পড়ার কারনে ক্রমাগত দেশীয় বিস্ববিদ্যলয় এর উপর সীমাহীন ক্ষোভ থেকে কুতসাপিডিয়া রচনা করে, সেটাও অনুচিত , (যাদের নিজেদের দৌড় নিউজার্সির পাড়ার মোড়ের বিল্ডীংস্বর্বস্ব কমিউনিটি কলেজ লেভেলের পলিটেকনিক থেকে কেনা সনদ) ।

পদ্মা ব্রিজ প্রজেক্ট এর গুরুত্বপুর্ণ ভিন্ন ভিন্ন কাজ বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের হাতেই করা। ( লেবেল বাংলাদেশি না হলেও)

EIA , মর্ফোলজিকাল স্টাডি , রিভার ট্রেইনিং ওয়ার্কস সব খাঁটি দেশি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের হাতে করা, (বাংলাদেশে পানিসম্পদ নিয়ে ২টা প্রতিষ্ঠান কাজ করে , একটু গুগল করলেই পাবেন).

স্ট্রাকচারাল ডিজাইন যে প্রতিষ্ঠানের করা, সেই প্রতিষ্ঠানে (এবং পদ্মা ব্রিজ প্রজেক্ট) এ প্রকার বাংলাদেশি প্রকৌশলী দাপটের সাথে কাজ করে. প্রজেক্ট এক্সিকিউশন, কনসাল্টিং এর বিভিন্ন ছোট ছোট টাস্ক অর্ডার যেসব কোম্পানি পেয়েছে সেগুলার কাজও হয় বাঙগালী, নাহলে বাঙালি মালিকানার কোম্পানি।

এমনকি উল্লেখ করা উচিত না, যে snc লাভালিন আর দুর্র্নীতি নিয়ে এত কিছু হয়ে গিয়েছিল, সেই snc লাভালিন এর হুইসেলব্লোয়ার ও বাঙালি ই ছিলেন

এবং আসি কন্সট্রাকশন এর কথাতে।

বাংলাদেশি পেপার এবং মিডিয়ার কাছে উপরে যা যা বললাম তার কিছুই মাথায় ঢুকে নাই এটাই স্বাভাবিক, ব্রিজ বানানো বলতে ঠিকাদার দিয়ে নির্মাণ কাজটাই বুঝে, সেটা পেয়েছে চাইনিজ সিনোহাইড্রো।

এই লেভেলের কন্সট্রাকসন এর কাজের পুর্ব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি কোন ফার্র্মের না থাকায় স্বাভাবিক, আব্দুল মোনেম বা অন্য কাউকে দিলে এই ইকুইপমেন্ট একুয়ার করতেই অনেক রেড টেপ পোহাতে হত। চাইনিজ ফার্র্ম না হয়ে অন্য কোন দেশি ফার্র্ম হলে সেখানেও দেশি ইঞ্জিনিয়ার থাকত

১- এত কথার মানে এই না যে এই প্রজেক্টে অপচয় আর লুটপাট হয় নাই
২- ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট (IEB ) এর কাজ কনসালটেন্সি নয়, যেমন IEEE ASCE এর কাজ ও কনসালটেন্সি নয়, দেশি IEB নাম প্রফেশনাল ফোরাম কামে অথর্

এবার বলি- কেন এই পোস্ট করলাম (পুরান কমেন্ট কে এখানে পেস্ট করে) এবং কেন ব্লগে আসিনা আসিনা করে এসে এই "হাউকাউ" পোস্ট দিচ্ছি ?

আমেরিকাতে ডিভি পার্টি, পারিবারিক ইমিগ্রেশন পার্টি, যারা চেইন ইমিগ্রেশনে আমেরিকা আসেন, (এবং জিয়া /এরশাদের আমলে সেনাবাহিনি ছেড়ে ইচ্ছা করে পালিয়ে আমেরিকায় রাজনীঊতিক আশ্রয় নেয়া ব্যাক্তিবর্গও), তাদের আমেরিকার ১ম জীবন কক্টে কাটে, অনেকে পরে পড়াশোনা করে হোয়াইট কলার জব নিতে সক্ষম হন। কিন্তু এর মধ্যে, বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ/ফুল ফান্ডিং নিয়ে আমেরিকাতে থিতু হয়েছে, এইরকম প্রফেশনালদের উপর উপরের এই প্রথম শ্রেণির সীমাহীন ক্ষভ থাকেই থাকে। সুযোগ পেলে বিশেষ করে দেশী প্রকৌশলী দের নীয়ে কুৎসাপিডীয়া এদের থামেই না।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৫৩
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×