সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারী নির্যাতন কিংবা ইয়েমেনে আগ্রাসন নিয়ে যখন খবর আসে তখন বাংলাদেশী অনেক মুসলমান সৌদি আরবকে গালি দেয়া থেকে বিরত থাকে। কারণ -
* সৌদি আরবের সাথে মুসলমানদের পবিত্র একটা সম্পর্ক আছে।
* সৌদি আরবে প্রায় ২০ লক্ষ বাংলাদেশী কাজ করে।
* সবচেয়ে বেশী রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে। তাই আওয়ামী লীগের মত অসাম্প্রদায়িক সরকারও চরম সাম্প্রদায়িক সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক রাখে সব সময়।
অপরদিকে, ভারতের সাথে আমাদের নাকি স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক। ভারত সরকারও দাবী করে বাংলাদেশ হল বন্ধু/ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। সেই ভারত গত কযেক বছর ধরে লাগাতার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশীরা নাকি সেখানে অবৈধ ভাবে যায়। বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন ব্যপক আকারে হয়। অমিত শাহ তো বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কারণেই তারা নাগরিকত্ব বিল পাস করিয়েছেন। অথচ এই মিথ্যাচার নিয়ে বাংলাদেশী হিন্দুদের কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, তারা ভারতকে গালি দেয়া থেকে বিরত থাকে। কারণ -
* ভারতের সাথে বাংলাদেশী হিন্দুদের পবিত্র একটা সম্পর্ক আছে।
* ঐতিহাসিক কারণে ভারতের শুধু একটা রাজ্যে অনেক বাংলাদেশীদের নাড়ির টান আছে।
* মনস্তাত্বিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সাথে অসুখী থাকায় নিজ দেশী হলেও মুসলমানদের অপমান ইনজয় করে।
পার্থক্য হল - ভারতে সৌদি আরবের মত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী কাজ করে না(বরং প্রচুর ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে)। বাংলাদেশী অনেক মুসলমান সৌদি আরবের সমালোচনা করলেও বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতের সমালোচনা করতে দেখাই যায় না। ব্লগ, ফেসবুকে বাংলাদেশী মুসলমানরা সৌদি বিরোধীতা করলেও বাংলাদেশী হিন্দুদের কোথাও ভারত নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬