somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুখোশের আমিসমূহ!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১।
যা কিছু বলতে চাই তা আদতে বলা হয়ে উঠে না, যা কিছু করতে চাই সেগুলোও করা হয়ে উঠে না। এইসব না বলা কথা, কাজ বুকের ভিতর নিদারুণ আঁচড়, বরফকাটা আগুন। আমি কী আর আছি সহজ আঁধার, সমুদ্রপ্রেমী? এই সব নীরবতার সাথে হিরোসিমার দূরত্ব বড়জোর দুই জোড়া হাত পরস্পর সম্পর্কহীন হওয়ার সমান। আমরা প্রত্যেকে চুপচাপ রকমের কমেডিয়ান, যাপন করি স্যাটায়ার জীবন।

২।
তোমাকে পাওয়া বা না পাওয়া, চাওয়া বা না চাওয়ার বিভ্রম নিয়ে আজকের সন্ধ্যা রীতিমত প্রেম - প্রেম ঠান্ডা বাতাসে উড়তেছিলো। আর শহরের মোড়ে মোড়ে যানজটচোখ নিয়ে জানালায় চুল ছেড়ে দিয়েছিলো কোন বিষণ্ণ তরুণী। দ্যাখো হেমন্তের নীল আকাশ, এখানে মন খারাপের স্যানোটোরিয়াম। আমিও চশমা মুছে রাতের কার্নিভালে ব্যালে নর্তকের ঘুঙুর এঁকে দেই, অসর্তকতায় শহরে ভাসতে থাকে স্তনস্পর্শ, চুমুর দাগ - এমন দৃশ্য এবং দৃশ্যায়নের যোগসাজসে চপল হয়ে উঠে শহর, রেস্টুরেন্ট, সিনেমাহল আর বিভাজনের সূত্র ধরে আমরা চোখে চোখে রাখি বিস্মৃত কোন নদীর নাম।


৩|
যা হতে চেয়েছি, যা পেতে চেয়েছি সমস্তটাই আকাশের! বলো পংখিরাজ, বলো পাখি - কে চিনিয়ে দিবে এই পরিহাস্যময় কবরখানা? এই জাগতিক বিদ্রুপের ভিতর কে চেপে ধরে জীবন ও বাস্তবতার ট্রিগার? ইদানিং শিশুর হৃদয় নিয়ে গৈরিক জানালা দিয়ে দেখি - সাহস ও মৃত্যুদৃশ্য, গোলাপ ও অন্ধকার!

এখন দরজা খুলে ছোট ছোট স্বপ্নের পাশে দাড়াই - দেখি একটি মার্জিত এপিটাফ আকাশে ঝুলে রয়েছে!!

৪।
আজকের ঝলমলে চাঁদ দেখে মনে হলো এমন দৃশ্যের বিপরীতে রক্তবর্ণ রাতের ব্যক্তিগত মনোলোভা বিষাদের কোন যৌথছবি রাখার মানে হয় না। মানে হয় না সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোৎস্নার জন্য বসে থাকা, এরচেয়ে ঢের ভালো সামান্য এলকোহল, গোপনীয় নারীর দিকে ছুড়ে দেওয়া ফ্লাইং কিস, ফিসফাস। আজকের রাতে ঢের ভালো একটি গোলাপ যার বিনিময়ে তুমি বিলিয়ে দিবে উরুদ্বয়, উর্বর স্তব্ধতা।


৫।
বিকাল ভেঙ্গে পড়লে সন্ধ্যা আসে, আসে ঝড়া পাতার মর্মবেদনা। যারা রোদের অসুখে গা ধুইয়ে নিয়েছে তারা আজ সন্ধ্যাপাখি। যারা জোৎস্না ও চাঁদ ব্যতীত কারো নাম জানেনি, তাদেরও ঘন ঘন কুয়াশার ছক কেটে শীতবিভ্রম চেনার সময় এসেছে।

আজ আমরাও ভাস্কর চক্রবর্তীর মত কোন অপ্টিমাম শীতের জন্য অপেক্ষা করছি, তিন মাস ঘুমিয়ে থাকব অথবা জীবনের যাবতীয় সারকাজমের দিকে মুচকি হেসে পৃথিবীকে অবজ্ঞা করে চলে যাব।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×