আগের পর্ব
প্রিয় পাঠক গত পর্বের ধারাবাহিকতায় এই পর্বে থাকছে বেশ কিছু মজার মজার তথ্য। দেরি না করে চলুন দেখে ফেলি কেন আমাদের উচিত মা বোন দের সৌদিতে পাঠিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো।
১।
বেনিভলেনস ফাউন্ডেশন বা আলহারামেইনের মত দাতব্য প্রতিষ্ঠান চালিয়ে কোটি কোটি পেট্রো ডলার দিয়ে হাজার হাজার অরফানেজ আর মসজিদ বানিয়ে যেখানে জিহাদিজম আর অহাবিজ্মের মত পুত পবিত্র বিষয় চর্চা করা হয় এমন পুন্যভূমিতে আমাদের নারীদের পদধুলি পরবে তা ভাবতে শরীর ঘেমে যাচ্ছে।
২।
ইসলামে নারীরা ধর্ষিত হলে তা সাধারনত তারা প্রকাশ করতে চায়না। কর্বেইবা কেমনে যদি আপনার ধর্ষণের জন্য বিচার চাইতে লাগে চার জন সাক্ষী !! তারপর আবার প্রমাণিত নাহলে দোররা খেয়ে মরা । অতয়েব বেচেঁ থাকতে হলে ধর্ষিত হও তাও ভাল সৌদির পুত পবিত্র বান্ন্ধাদের কাছে বিচার চাইতে যাইওনা !! বান্ন্ধারা বিসমিল্লাহ বলে আপনার মা বোনদের এমন খেদমত করা শুরু করবে যা দিয়ে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন পাচ্মাশেই তারা বাদশাদের উত্তরসুরী ধারনের যোগ্যতা অর্জন করবে। এই বিদ্ধায় এত বিচ্ছক্ষণ কাউকে আপননি ইহ জগতে খুঁজে পাবেন না এটা চোখ বন্ধ করে বলা যাই।
৩।
সৌদিতে ওপেনলি কোনো ডিসকাশন করা আইনত নিষিদ্ধ.. কেন?? কারন তারা চাইনা অযথা লোকজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা ইতাদি করে সময় নস্ট করুক। তার চেয়ে বরং তারা মনে করে “প্রডাক্টিভ” কিছু করা অনেক ভালো। এজন্য তাদের কথা হল “প্রডাক্টিভ” কিছু করতে হলেতো পর্যাপ্ত রিসোর্স লাগবে। এ রিসোর্স কোথাই পাওয়া যাই?? কেন বাংলাদেশ !! তো বাংলাদেশের মতো এমন একটা দেশকে তারা তাদের রিসোর্স কালেকটর হিসাবে ভাববে এটা মনে হতেই সৌদিদের প্রতি কৃতজ্ঞতাই আমার লুঙ্গী ভিজে যাচ্ছে। আমরাও চাই তারা যাতে খামাকা মিটিং মিছিলের মতো ফালতু জিনিস নিয়ে পরে না থেকে “প্রডাক্টিভ” কিছু করুক আর রিসোর্স তো এদেশে আছেই !!! কি বলেন??
৪।
ওসামা বিন লাদেনের মত ইতিহাসের এতবড় দানবীর যিনি জন্মের পরথেকে দুঃস্থ মানুষের সেবাই নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। পিতার অদেল সম্পদ দিয়ে তৈরী করেচেন আলকায়দার মতো জনকল্যানমূলক সংথা যারা তাদের জনকল্যানের সত সত এমন কি হাজার হাজার নজির ইতিমধ্যেই আমাদের উপহার দিয়ে ধন্য করেছেন পুরো দুনিয়াবাসীকে। যার অদেল সম্পদ দিয়ে যিনি পুরু পৃথিবীতে শান্তির বার্তা বয়ে বেড়াচ্ছেন জিহাদিজ্মের মাধ্যমে। এই শান্তির ঢেউ হরকাতুল জিহাদের মাধ্যমে আমাদের দেশেও এসেছে। আমাদের দিয়েছে বাংলাভাই আর শায়ক রহমানের মতো মহাপুরুষদের। তো এমন শান্তির বার্তাবাহী ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের দেশে আমাদের অবলা অশিক্ষিত নারীরা যাবে ভাবতেই মুর্ছা যাওযার উপক্রম হচ্ছি।
৫।
সৌদিরা তেলের বাবসার পাসাপাসি চামড়ার বাব্সাও বেশ ভালো বুঝে। কিন্ত ইদানিং তাদের এই ব্যবসা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। কারণ চামড়া পুরান হয়ে গেলেনাকি তা দিয়ে ভালো খেলা যাই না। তাই তাদের এখন এই মৃতপ্রায় বাব্সাকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন চামড়ার দরকার। বন্ধু হিসাবে আমাদেরতো একটা কর্তব্য আছে তাই না?? তাই বন্ধুর এই দুর্দিনে আমরাই পারি পর্যাপ্ত চামড়া সবরাহ করে বন্ধুত্তের প্রতিদান দিতে।
৬।
উন্নিশ একাত্তরে আমাদেরকে সৌদি ভাইয়েরা রাজাকারদের হাত থেকে বাচতে অস্ত্র খাবারপানি ইত্যাদি দিয়ে কত উপকারই না করেছিলো... তারা সেদিন আমাদের পাশে এসে না দাড়ালে আমরা কি আজ মাতৃভাষা চর্চা করতে পারতাম?? তাদের এ অসামান্য অবধান কেমনে আমরা ভুলি?? তো তারা যখন আমাদের দুস্থ মা বোনদের সেবাই আবার নিজেদের উত্সর্গ করতে চাচ্ছে বন্ধু হিসাবে তাদের সেই চাওয়া তো আমরা আমান্য করতে পারি না তাতেও যদি তাদের একাত্তরের অবদানের কিঞ্চিত প্রিতিদান হয় তাহলে আমাদের বাংগালি জাতির প্রতিটি জীবন সার্থক হবে আমি মনে করি। সবাই বলুন আমিন।
তো আজ এ পর্যন্তই। পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১১ রাত ৯:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




