
২৪ এর গনঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বিপ্লবীরা নতুন রাজনৈ্তিক দল গঠনের পর পরই আমাদের দেশের মিডিয়া ঝাপিয়ে পড়ে এনসিপির নেতাদের উপড়। তাদের রাজনৈ্তিক দলের অর্থের উৎস কি? নেতারা দামী মোবাইল কোথা থেকে পেল? গাড়ী নিয়ে শো ডাউন করে কিভাবে? এই ধরনের নানাবিধ প্রশ্ন বিভিন্ন টকশোতে এনসিপি্র নেতাদের উদ্দেশে ছোড়া শুরু হয়। এ-সব প্রশ্নই অত্যন্ত যৌক্তিক প্রশ্ন। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন টার্গেট করা শুরু করেন বিএনপি নেতাদের। বিএনপি নেতাদের অর্থের উৎস কি? তাদের পেশা কি ? রাজনৈ্তিক দল চলে কিভাবে? এই জাতীয় প্রশ্নবানে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে পড়ে বিএনপি নেতা নেত্রীরা। খালেদ মহিউদ্দিন না থেমে গিয়ে এরপর আঘাত হানেন আসল জায়গায়। তিনি জানতে চান লন্ডনে তারেক রহমানের আয়ের উৎস কি ? মির্জা ফখরুলের জামাতা রেগে গিয়ে খালেদ মহিউদ্দিনকে বলেন যে, তারেক রহমানের আয়ের উৎস জানার কোন অধিকার কারো নাই!! এই এক কথাতেই ফেসে যান জামাতা ফাহাম। এখন আর সেই দিন নাই যে , রাজনীতিবিদের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। এনসিপির নেতাদের যদি প্রশ্ন করা যায় তবে বিএনপি নেতাদের নয় কেন?
দালাল মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার টার্গেট অবস্য কেবল এনসিপি। সাংবাদিক নামক মাফিয়া লুটেরাদের দালালেরা পরিবারতন্ত্রের মাফিয়া দূবৃত্তায়নের রাজনীতি বজায় রাখার জন্য এনসিপিকে রাজনীতির ময়দান থেকে ছুড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর। তবে সোস্যাল মিডিয়ায় জবাবদিহিতার ট্রেন্ড শুরু হওয়ায় কারনে মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার দৌড়াত্ব এখন দিন দিন কমছে। তারেক রহমানের ছবিটা সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জেনজি পোলাপান এই ছবি নিয়ে ব্যপক হাসি ঠাট্টা করে পোস্ট দিচ্ছে, মীম বানাচ্ছে। জেন-জি কাউকেই ছাড়ছে না। নব্য পলিটীশিয়ান নাহিদ সারজিস হোক বা বর্ষিয়ান পলিটিশিয়ান, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। ২৪ এর গনঅভ্যূত্থানের পর আমাদের দেশের রাজনীতিতে এসবই অত্যন্ত ইতিবাচক ট্রেন্ড বলেই মনে করি । জামাতের আমীর স্টান্টবাজির উদ্দেশ্যেই হোক , সিঙ্গাপুর বা লন্ডনে না গিয়ে দেশে চিকিৎসা করে প্রসংসায় ভাসছেন। বিভিন্ন জনসভায় মানুষজন এখন প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে যে, রাজনীতিবিদদের দেশে চিকিৎসা নেয়া বাধ্যতামুলক করতে হবে। জামাতের আমীর এর অপারেশন করা বিশিষ্ট চিকিৎসক , ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জামায়াত আমির ইউনাইটেড বা ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে অপারেশন করিয়েছেন, সেটা মুখ্য নয়। উনি বাংলাদেশে অপারেশন করিয়েছেন সেটাই মুখ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা যে রয়েছে, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
স্বৈরাচার পতনের পর আমরা আবারো কোন মাফিয়া স্বৈরাচারের উত্থান দেখতে চাই না। ক্ষমতায় যেই আসুক , তাদের জনগনের পালস বুঝতে হবে। তারেক রহমান এর পাবলিক বাসে চড়ার ছবি যদি লোক দেখানো কালচারের অংশ হয় তবে তা দিয়ে আগের মত মানুষকে আর ধোকা খাওয়ানো সম্ভব হবে না। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী গনঅভ্যূত্থান পরবর্তী রাজনীতিতে জনগন গুনগত পরিবর্তন দেখতে চায় যা আওয়ামিলীগের ভয়াবহ রেজিমের সাথে সুস্পষ্ট পার্থক্য রচনা করতে সক্ষম হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




