
ডক্টর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হয়েছিল, তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক যার ১০% ও পুরন হয় নাই। এই সরকারের এক বছরের আমলনামা বিচার করলে দেখা যাবে ১০% এর মধ্যে ৯% ই ডক্টর ইউনুসের অবদান। বাকি ১% এর ক্রেডিট হয়ত স্বল্প কিছু উপদেষ্টামন্ডলিকে দেয়া যায়। বাংলাদেশের ধসে পড়া এক সেক্টরের নাম হচ্ছে স্বাস্থ্য সেক্টর। এই সেক্টরের দুর্নীতি প্রকাশ করতে গিয়ে এক মহিলা সাংবাদিক আওয়ামিলীগ আমলে চরম হেনস্তার শিকার হয়েছিল। আমাদের আশা ছিল নবগঠিত স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হয়ত দুর্নীতি ঝেটিয়ে বিদায় করে দৃষ্যমান কিছু পরিবর্তন করে দেখাবেন !
গ্রামীন ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নুরজাহান বেগমকে কিসের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বানানো হল , তা আমাদের অজানা। ডক্টর ইউনুসের সিলেকশনের বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে চাই না। নিশ্চই তিনি ভেবেছিলেন যে , নুরজাহান বেগম ভাল কিছু করে দেখাতে সমর্থ হবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নুরজাহান বেগম বিগত এক বছরে জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন ভাতা , সুবিধাদি কেবল নিয়েছেন বিনিময়ে কিছু না দিয়ে। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্ত এবং হতাহতদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা... এটার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনারা দেখেছেন উনার কার্যক্রম? উনি যে বেতনটা নেন, ওটা হারামভাবে। উনি যে গাড়িটা চড়েন সরকারের টাকায়, এটা হচ্ছে জনগণের সঙ্গে বেঈমানি। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, এটা কোনো কাজের না। উনি কিচ্ছু বোঝে না। উনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বোঝে না, উনি চিকিৎসা বোঝে না, যন্ত্রপাতি সম্পর্কেও তার কোনো জ্ঞান নেই। ওনার একমাত্র যোগ্যতা উনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছের মানুষ। এটাই ওনার যোগ্যতা।’
আজকে নুরজাহান বেগম আরেক দফা খবর হয়েছেন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে!!! স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হয়েও নিজ দেশ বাদ দিয়ে আরেক দেশে চিকিৎসা করানোর চুরান্ত বাজে এক উদাহরন তৈরী করলেন নুরজাহান বেগম। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , এবারই প্রথম নয়, তিনি প্রায়ই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করাতে যান!! সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ যে , উনার ঘন ঘন বিদেশে চিকিৎসার ব্যায় ভার , আবু সাইদ ইম্যামিনের রক্তের উপড় বসা ইন্টারিম সরকার বহন করছে কিনা দয়া করে খোজ নিন। এই সব উপদেষ্টাদের হারাম উপার্যন ও হারাম ব্যায় সীমা কতখানি তা জানার অধিকার আমাদের সবার। এত এত তরতাজা তরুন এই দিন দেখার জন্য রক্ত দেয় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




