নিউ ইয়র্কে জনাব সুলেমান একজন কন্ট্রাক্টর। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দালানকোঠা মেরামত, ছাদ বদলানো ইত্যাদি কাজ করেন আজ অনেকদিন। তার শ্রমিক টেকনিসিয়ান প্রকৌশলীদের প্রায় সবাই বাংলাদেশী। তাঁর সাথে সেদিন আলাপ হলো, তাঁর একজন শ্রমিকের কথা তিনি বললেন। নাম আবুশি, দেশের কোনো এক অজপাড়াগাঁয়ের সম্পূর্ণ নিরক্ষর লোক। দেশে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো। ডিভি লটারি পেয়ে নিউ ইয়র্কে আসে দুই যুগ আগে। এসে উনার কোম্পানিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করে। উনার কথামত আবুশি "ঘড়ি ও চিনতো না" অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটা দেখে কয়টা বাজে বুঝতো না ! আজ তার চার ছেলে নিউ ইয়র্কে লেখা পড়া করে ইঞ্জিনিয়ার! সুলেমান সাহেবের আরেক শ্রমিক সালাম, তার মেয়ে নিউ ইয়র্কে ডেন্টিস্ট ! বাবা মায়ের আয় রোজগার কম হলে বাচ্চাদের পড়াশুনায় খরচের ব্যাপারে টিউশন waive করা ছাড়াও সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
সুলেমান সাহেবের সাথে কথা বলে মনে হলো আমেরিকা সত্যি ল্যান্ড অফ অপর্চুনিটিস যদি একজন এখানকার সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ভালো করার চেষ্টা করে। সাবধান না হলে ছেলেমেয়েদের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পথও যেমন এখানে উম্মুক্ত, যারা সাবধান, উপযুক্ত যত্ন সহকারে ছেলেমেয়েদের বড় করছেন, তাদের জন্য রয়েছে বড় হওয়ার অবারিত সুযোগ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০