ঢাকা : বিউটি পার্লার পারসোনার সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত। তবে বুধবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
কাজ শেষ করতে না পারায় বুধবার প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে কমিটি সূত্র জানায়, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই তা দাখিল করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান গুলশান ডিভিশনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নিজামুল হক মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত কাজ অনেকটা শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই তা জমা দেওয়া হবে।
পূজার ব্যস্ততার কারণে তদন্ত কাজ শেষ করতে একটু সময় লাগছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, গত তিনদিনে উচ্চ পর্যায়ের এ তদন্ত কমিটি পারসোনার স্বত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খান, অভিযোগকারী নারী ক্লায়েন্ট ও তার স্বামীসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সাথে কথা বলেছে বলে জানায় কমিটি সূত্র।
সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় পারসোনা কর্তৃপক্ষের দোষের পাল্লাই ভারী। ওই ঘটনায় জব্দ করা হার্ডডিস্ক থেকে ধারণ করা ভিডিওর কিছু অংশ মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত দল।
তবে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় এখনই এনিয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির অপর সদস্য গুলশান বিভাগের সহকারি কমিশনার (পেট্রোল) নুরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, তদন্তের সময় পারসোনার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ বাকি আছে। এগুলো শেষ হলেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তা জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পারসোনায় রূপচর্চা করতে আসা এক নারী ক্লায়েন্টের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে বনানীর ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত পারসোনা বিউটি পার্লারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে একটি সংবেদনশীল কক্ষ থেকে একটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করে পুলিশ।
পরের দিন বৃহস্পতিবার পারসোনার সত্ত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খান বাংলানিউজকে ফোন করে জানান, ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারণে একটি সিসি ক্যামেরার লেন্স ঘুরে যাওয়ায় কিছু ভিডিও চিত্র ধরা পড়ে। বিষয়টিতে পারসোনাকে ক্ষমা করে দেওয়ারও আবেদন জানান তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




