অদ্ভুত এক চক্করে সবাই। তথ্য প্রতি মুহুর্তে পালটাচ্ছে।
১। তারা বললেন বিমানের ব্ল্যাকবক্সের "পিং" পাওয়া গেছে। আমরা ভাবলাম এবার বুঝি রহস্যের উম্মোচন হল। এর পর কয়েকদিন নিরব। আমরা হতাশ হলাম।তারপর আবার অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী বললেন ২/১ দিনের মধ্যে সুসংবাদ দেবেন। সবাই অপেক্ষায়। এখন তিনি বলছেন মালয়েশিয়ার বিমানটির খোঁজ পেতে ‘দীর্ঘ সময়’ লাগতে পারে। তাহলে কেন এতো লুকোচুরি ?
২। বিমানের কোন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় নি। একদম না। অথচ বাংলাদেশের প্রায় ২ গুন আয়তনের এলাকা থেকে তারা "পিং" লোকেট করলেন। তাও আবার পানির ৫ কিলোমিটার নীচ থেকে। বিশ্বাস হয় ??
৩। আমার আগের পোস্টে লিখেছিলাম যে কোন দেশের আকাশসীমায় অচেনা বিমান দেখা গেলে তা ধাওয়া করার জন্য সব দেশের ফাইটার এয়ারক্রাফট রেডী থাকার কথা। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের কোন ফাইটার কি আকাশে উড়েছিল ? এখন আমরা জানতে পারলাম মালয়েশিয়ান এয়ারফোর্সের ফাইটারগুলো আকশে উড়েছিল যা নাকি সে দেশের সিভিল এভিয়েশন জেনেছে ৩ দিন পর আর আমরা জানলাম ৩০ দিন পর। কেন এই লুকোচুরি। এরকম আর কত তথ্য লুকানো হয়েছে ??
৪। গুড নাইট.....মালয়েশিয়া থ্রি সেভেন যিরো." এটাই ছিল শেষ বার্তা। এটা কে বলেছে ? পাইলট/কো পাইলট নাকি অন্য কেউ ? এখন বলা হচ্ছে এটা পাইলটই বলেছেন। যে মানুষ ৩০ বছর বিমান চালিয়েছেন তার ভয়েস কন্ট্রোল টাওয়ার বা তার সহকর্মীরা চিনবে না এটা বিশ্বাস হয় ????
আধুনিক ভয়েস আইডেন্টিফাই করার সফটওয়ার এর কথা বাদই দিলাম।
৫। মহাসাগরের ৫ কিলোমিটার নীচ থেকে ব্ল্যাকবক্স উঠিয়ে আনলেই কি আমরা সব জানবো ? না তা নয়। কারন ব্ল্যাকবক্সে ভয়েস/ডাটা রেকর্ড থাকে বড়জোর শেষ ২ ঘন্টার কথা। কিন্ত বিমানটি উড়েছিল প্রায় ৮ ঘন্টা। তাহলে হারিয়ে যাবার পর পর প্রথম ৪/৫ ঘন্টায় যা ঘটেছে তা অলরেডী মুছে গেছে। আমরা কোনদিন জানবো না পাইলটের ভুমিকা যার হাতে ২৩৮ জনের জীবন নির্ভর করছিল।
আমার ধারনা :
ক। যেখানে খোজা হচ্ছে.......বিমানটি সেখানে নেই।
খ। মালয়েশিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা........সবাই জানে কি হয়েছে।
গ। মিডিয়া (বিশেষ করে সি এন এন) আমাদের ঘোল খাওয়াচ্ছে
এভাবে মালয়েশিয়ান ফ্লাইট ৩৭০ হয়ে উঠেছে শতাব্দী'র (ইতিহাসের) সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা। তাই সবাই চোখ রাখুন ..... কি হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩০