কোন একটি লেখা বিশেষ করে চলমান ঘটনা নিয়ে কোন লেখার সময় শুরুতেই প্রথম কিস্তি লিখে এই বিষয়ে অন্য কারও লেখার ইচ্ছাটা দখল করে নিলাম। ইদানিং পত্র পত্রিকাতে যে ভাবে জমি দখল, বাড়ী দখল, নদী দখল, রাস্তা দখল সর্বোপরি স্ত্রী দখলের ঘটনা এসেছে, অনিচ্ছাতেই দখল শব্দটা থলে হতে বেড়িয়ে এল। থলের কথা যখন এলই, তখন বলতে হবে থলেতে আর কি কি আছে? সে না হয় পরে বলব, আজ শুধু বলি একটা মোবাইল আছে, দেশে থাকতে অনেক সখ করে কিনেছিলাম, টেলিটক মোবাইল। বিদেশীদের হাতে দেশের টাকা তুলে দিবনা, বিদেশী আগ্রাসন, সাম্রাজ্যবাদ আরও কত কঠিন শব্দ ছিল মনে এখন মনেও নেই। টেলিটক শুনেই আতকে উটলেন যে! আপনারও আছে? ও ছিল! মন্দের ভাল!
ঘটনার এ পর্যায়ে একটা ফ্লাস ব্যাক দিতে হবে, কারন অনেকেই শুরুর দিকের ঘটনা ভুলে গেছেন, ফ্লাস ব্যাক না দিলে সেই পাঠককুল এ লেখা খাবেন না, তাই বলছি, সংক্ষেপে, গল্পের ছলে। সিটিসেল জনগনকে উপেক্ষা করে আর ধনীদের বোকা বানিয়ে শুধু ধনীদের ড্রয়িং রুমেই বসে রইল। আকাশ ছোঁয়া দাম। এর পর এল গ্রামীন, পরে সেবা ও অ্যাক্টেল এল। সবাই শুধু সুবিধার কথা বলছে, সরকার বলছে, বলছে বোকা বাক্স। কেই বলছে না জাতিয় অর্থনীতির কথা। যাদের কথা বলার ছিল, তারা মুক হয়েছে, তাদের মুখ পঙ্গু হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে "অজানা" অজৈব কারনে! সবাই ভাবছে একটা দেশী কম্পানী থাকাটা দেশের অর্থনীতির জন্য কতটা জরুরী। এমন সময় হল টেলিটকের আবির্ভাব। মানুষের ভালবাসা আর বিপুল আগ্রহ ও উদ্দেপনার মধ্যে এল এই স্বপ্নের মোবাইল, এখন যারা স্বদেশী পণ্যের কথা বলেছে তারাও মোবাইল কিনতে উৎসাহিত হল। মানুষের এত আগ্রহ, এত ভালবাসা একটা রাস্ট্রিয় মোবাইল ফোন কম্পানির জন্য! আসলে আমাদের নিত্য ক্ষয়ে যাওয়া অহংকারের মাঝে ছিলই বা কী!
কিন্তু মানুষের এত আগ্রহ দেখে সবার কি ভাল লাগে। প্রথম ধাক্কাটা এল অকল্পনীয় ভাবে! সিম পাওয়া যাবে লটারির মাধ্যমে! বিশ্বাস হচ্ছে না! ঠিক তাই, আমারও বিশ্বাস হচ্ছে না। এর পরেই এল ফাঁক ফোঁকর। আর এল কোটা। কোটার যে কি মজা, এটা যে না উপভোগ করছে, সে বুঝবেনা। এত হাহাকারের মধ্যেও আমরা পেলাম দুইটা সিম! আরে এখনতো ঠাঁট দেখানো যাবে ভালই। নাহ, এত সোজা না। মোবাইল আছে কিন্তু কলের মান ভাল না। এসএমএস আসে না! এখন কি করি। অভিযোগ কেন্দ্র ফোন করলে ধরে না! এত কথা সব পুরান, এবার গুরু নতুন কিছু ছাড়। নতুন কিছু ছাড়তে গিয়ে যা বলব, তাও আমাদের অনেকটা সয়ে গেছে। ইত্তেফাকের খবরে এসেছে,
টেলিটকের শত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে
Click This Link
খবর এসেছে, মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, কোন জবাব নেই। এতদিন ধরে যন্ত্রপাতি গুলো ফেলে রাখায় যে ক্ষতি হল, তার দায় ভার কে নেবে? আসুন আমরা এক কাতারে দাড়াই, প্রশ্নকরি কে বা কারা এই নির্লজ্ল বেহায়া? সেকি আমাদেরও কারও ভাই, পিতা? আসুন বর্জন করি এদের, জেগে উঠি, গর্জে উঠি আর মুক্ত করি নির্লজ্জ বেহায়াদের হাতে বন্দি এই দেশ!