বেয়াড়া ট্যাক্সি ড্রাইভার না শুনে না বুঝে গাড়ী চালিয়ে দিলো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে। আকাশ গুম হয়ে বসে থাকে। এই ট্র্যাফিক জ্যামের ঢাকা শহরে একটা রাস্তা মিস্ করে গেলে সেখানে ফিরে যাওয়া কম ঝক্কির ব্যপার নয়। বিরক্তির আলগা একটা আস্তর আকাশের মুখে লেগে থাকে ট্যাক্সি থেকে নেমে বন্ধুর অফিসে ঢোকার সময়ও।
রিসেপশনের বিশাল খোলা জায়গাটার মাঝখানে তরুণ তরুণীদের একটা মাঝারি গোছের জটলা। পাশ দিয়ে এগিয়ে যাবার সময় হঠাৎই আকাশের চোখ আটকে যায়, পদক্ষেপ শ্লথ হয়ে আসে। তারপর দিক পরিবর্তন করে মৃদু পায়ে পরীর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। বিস্ময়, কষ্ট, আনন্দ, অনিশ্চয়তা আর নির্লিপ্ততার বোধগুলো একে একে ফুটে উঠতে থাকে পরীর কপাল, চোখ, মুখ, ঠোঁট আর চিবুকের ভঙ্গীমায়। শেষে শুধুমাত্র অভিমানের তীব্র এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে আকাশের পানে। বলবার মত সঠিক শব্দমালা খুঁজে না পেয়ে আকাশ শুধু ইশারায় পরীকে আসতে বলে পা বাড়ায় অফিসের বাইরে। পাশাপাশি হাঁটতে থাকে দুজন। ব্যস্ত সড়কের মানুষ, গাড়ী, রিকশা পাশ কাটিয়ে চলে যায়। নিঃশব্দে হাঁটে ওরা। ফুটপাথের পাশে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে পরী, উচ্ছসিত। এই দ্যাখো… বেতফল। খেয়েছো কখনো তুমি? না বোধক মাথা নাড়ে আকাশ। এক থোকা বেতফল কিনে একটার খোসা ছাড়িয়ে বাড়িয়ে ধরে আকাশের মুখের সামনে। হা হা হেসে ওঠে আকাশ। পরীর হাতটা চেপে ধরে ফলটা মুখে নেয়। তারপর হাঁটতে থাকে। এক হাতে ধরা থাকে পরীর একটা হাত।
হঠাৎই ঘুমটা ভেঙ্গে যায় আকাশের। অন্ধকারে খোলা চোখের সামনে ভাসতে থাকে শেষ দৃশ্যটা। অজান্তেই পড়ে গভীর দীর্ঘশ্বাস। তারপর সুখের রেশটা শরীরে জড়িয়ে পড়ে থাকে একা বিছানায়। নির্ঘুম কেটে যায় বাকীটা রাত এই ভাবনায়… কতোদিন পর ধরা হলো ছেড়ে যাওয়া, ছেড়ে আসা হাতটা।
The Introduction
All about Pori & Akash

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




