somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিপাইমুখ বাঁধঃ একটি পর্যালোচনা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশ এর নদীগুলোর বেশিরভাগের উৎসমূল হচ্ছে ভারতে । কিন্তু এই নদীতে বাঁধ দিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার অন্যতম উদাহরন হল ফারাক্কা । ফারাক্কা বাংলাদেশের প্রান,পরিবেশ,জীবন ও জীবিকার কি বিপর্যয় ঘটিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাক্ক করছে । টিপাইমুখ বাঁধ এদেশে কি বিপর্যয় ডেকে আনবে তা দেশের মানুষকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বোঝানোর দরকার নেই । ফারাক্কা বাঁধের ফলে কি হয়েছে তা বুঝলে এই বাঁধের ফলে কি হতে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমান করা যায় ।
ফারাক্কা ব্যারেজ সম্পর্কে Dr.MOHAMMAD SHAH তার "FARAKKA BARRAGE:PROBLEMS AND SOLUTIONS-BANGLADESH PERSPECTIVE" ARTICLE টিতে বলেছেন,
"The government of india undertook the construction of the Farakka Barrage in the 1960's,which was completed in 1971. The barrage is located at Farrakka in the district of murshidabad about 11 miles (18k.m)up stream of the bangladesh border."
ফারাক্কা বাঁধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন,
"The perpose of the construction of the barrage was to augment the flow of water in the Bhagirathi-Hugli channel in order to flush out the silt-desposits of the Kolkata port ,and make lt workable .A 26-mile long feeder canal was constructed to help diverting required proportion of water into the Hooghly.The barrage was built unilaterally by india without any agreement with the affected water course state."(১)
ফারাক্কা বাঁধের করাল গ্রাসে থেকে মুক্তি পায়নি বাংলেদেশের মানুষ । ক্রমান্বয়ে সেই গ্রাস মানুষের জীবনকে আরো শোচনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে ।তার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে টিপাইমুখ বাঁধ করার তোড়জোড় ।
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে টিপাইমুখ বাঁধের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার বলা হয় আবার কোন কোন পত্রিকায় বলা হয় যে,টিপাইমুখ নাকি বাংলাদেশ থেকে দেড়/দুই কি.মি. দূরে !ভারতের বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি ব্লগের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধের দূরত্ব ২১০ কি.মি. । মানচিত্রে বরাক নদীতে এই বাঁধের দূরত্ব জন্য চিহ্নিত অবস্থান মেপে দেখা যায় ২০০কি.মি. এর ওপর । এর অবস্থান হচ্ছে ভারতের মনিপুর রাজ্যের চুরাচান্দপুরে,বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে ।
প্রস্তাবিত এই বাঁধটির উচ্চতা হবে ১৬৮.৮ মিটার, দৈর্ঘ্য ৩৯০ মিটার । এতি হবে একটি বহুমুখি প্রকল্প । এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রনও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন । এই বাঁধ থেকে গ্রীষ্মকালে ১৫০০ এবং শীতকালে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে । ২০০২ এর ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী এই প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ৫,১৮৩.৮৬ কোটি ভারতীয় রুপী । (২)

'দুই '

সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায় । ফারাক্কা বাঁধ করার সময়ও ভারতের সাথে চুক্তি হয়েছিল । কিন্তু সেই চুক্তির সামান্য দাবীও ভারত পূরণ করেনি । ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ,জীব বৈচিত্র্যের বিপর্যয় ,সর্বোপরি মানিক বন্ধোপধ্যায়ের লেখা 'পদ্মা নদীর মাঝি 'তে উল্লেখিত সেই উত্তাল পদ্মা আর নেই। যে নদীর উপর নির্ভর করে পদ্মার চরের মানুষ জীবনধারণ করত ,একমুঠো অন্ন জুঠত পদ্মা থেকে সেই পদ্মা আর নেই,প্রমক্তা পদ্মার সেই উত্তাল ঢেউ আর নেই ।পদ্মাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস , কবিতা, গান , নাটক এখন শুধুই স্মৃতি ।
সেই ভারতের সাথে আবার একই ধরনের চুক্তি করে টিপাইমুখ বাঁধ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা লাভবান হবে ?এই প্রশ্নটাই সবার মুখে মুখে ফিরছে ।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×