somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অথ: সেরা পোস্ট এ্যান্ড/অর নির্বাচিত পোস্ট সমাচার

১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নির্বাচিত পোস্ট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে একটা ক্যাচাল বলবত আছে এইটা দেখলাম । দুইজন গুরুভার (ইংরেজিতে হেভিওয়েইট, হেভিওয়েইটের বাংলা "গুরুনিতম্ব"ও করা যেতো, কিন্তু সেইফ সাইডে থাকার জন্য এইটা করলাম না।) ব্লগার মানস চৌধুরী আর ব্রাত্য রাইসু এইটার বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি জানাইছেন । উনাদের গুরুভার বললাম এই অর্থে যে ইনাদের ব্লগের বাইরেও বাস্তব জীবনে দুই একটা লোক তাদের চেনেন । এই দুই গুরুভার ব্লগার ছাড়াও গোপনে অগোপনে এই পোস্ট লেখা পর্যন্ত ৬৬টা মাইনাস রেটিং (এর একটা আমার দেয়া) ব্রিগেড সিক্সটিনের পোস্টে দেয়া হইছে । মানস চৌধুরি যখন পোস্ট দেন তখন ঘরসংসারের কাজে ব্যস্ত থাকায় উনার পোস্টে আলোচনাটা চালিয়ে ওঠার সুযোগ হয় নাই । এখন ব্রাত্য রাইসুর পোস্ট দেখে মনে হলো এই বিষয়ে কিছু বলার দরকার ।

গুরুভার ব্লগারদ্বয়ের পোস্ট নিয়ে আলোচনার আগে আমরা চলুন দেখি ব্রিগেড সিক্সটিনের উদ্যোগের বিপক্ষে আপত্তির জায়গাগুলো কি কি । একটা সম্ভাব্য লিস্টি করা যাক ।

১. বর্ষসেরা লেখা বলতে আসলে কিছু নাই । ব্লগার কলিমুদ্দি ভুলভাল বানান-ব্যাকরণে যেইটা লেখে সেইটা যেমন এইখানে গুরুত্বপূর্ন । তেমনি প্রিন্টেড মিডিয়াতে যাদের লেখা দেখা যায় তেমন ব্লগার, যেমন ব্রাত্য রাইসু, ফারুক ওয়াসিফ, মানস চৌধুরি, ফাহমিদুল হক, মাহবুব মোর্শেদসহ শাহবাগোত্থিত তাবত নার্সিস্টিক কবিসাহিত্যিককুলের লেখাও গুরুত্বপূর্ন । দুইটা দুই সেন্সে গুরুত্বপূর্ন । বিষয়টা খিয়াল কৈরা । (এইমতটা আমার সমর্থন পাবে) ।

২. বর্ষসেরা লেখা নির্বাচন এইরকম একটা জমজমাট ব্লগে করা উচিত না । প্রচুর পোস্ট হয় এখানে প্রতিদিন । এই কারনে এইখানে অনেক ভালো লেখা শুধুমাত্র অন্য ব্লগারদের সাথে তাদের ইন্ট্যারাকশন কম এইকারনে আউট অফ ফোকাস থাকে । এই পোস্ট লেখা পর্যন্ত ৪৫৭টা লেখা নির্বাচন করা হৈছে । এর মানে গড়ে প্রতিদিন ১.৩টা বর্ষসেরা লেখা লেখা হৈছে ! ২ চামচ চিনি এক গ্লাস শরবতের জন্য যথেষ্ট কিন্তু দুই চামচ চিনির সাথে একজগ পানি পুরো মিস্টি ভাবটাই উধাও করে দিতে পারে । (কিছু অর্বাচীন যারা নিজেদের লেখা নিজ নিকে অথবা ভিন্ন নিকে নমিনেট করতেছেন তাগো কথা বাদ এইখানে । ক্যাচাল বাড়ায়া লাভ নাই । তাগোরে হেদায়েত করা আমার দায়িত্ব মনে করতেছি না । )

৩. ব্রিগেড সিক্সটিনের পোস্টের শেষ প্যারায় এই বর্ষসেরা লেখার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হৈছে । বলা হৈতেছে এইটা ব্লগার কৌশিকের সৌজন্যে প্রাপ্ত । এইটা কৌশিক দিতেছে নাকি সামহয়ার কর্তৃপক্ষ কৌশিকের মাধ্যমে এইটা দেওয়াইতেছে এই তর্কের মিমাংসা না করেই এইটাতে আপত্তি জানানো যায় । ব্রিগেড সিক্সটিন বলতেছেন এইটা নাকি ব্লগারদের উতসাহিত করতে করা হৈছে । উদাহরন হিসেবে এই প্রসঙ্গে উনি প্রিন্ট মিডিয়ার উদাহরন টানছেন । আমার মত এইখানে হৈলো টাকা পয়সার ব্যাপারটা প্রচলন করার মাধ্যমে একটা অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার সূচনা উনি করলেন । আজ কৌশিক এইটা দিবে (অথবা সামহয়ার কর্তৃপক্ষ/পক্ষী কৌশিকের মাধ্যমে) কাল ঐটা আরো বেশি টাকা আইনা লাক্স-সামহয়ার বর্ষসেরা লেখা নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে । সব ভালো কিছুর কর্পোরেটিকরণ হয়তো এইভাবেই হয় । (এই পয়েন্টেও আমার সায় আছে )

৪. কারো লেখা মনোনীত হয় নাই । তাই এইটা উনি পছন্দ করতেছেন না । বাস্তবে না থাকলেও থিওরেটিক্যালি এই ক্যাটাগরির অস্তিত্ব স্বীকার করা যায় । মানস চৌধুরি এইটারে "হিংসার থিয়োরী" নাম দিছেন ।

এখন দেখা যাক এই বিষয়ে আমাদের গুরুভার ব্লগাররা কি কি আপত্তি জানাইছেন । ব্লগার মানস চৌধুরি একটা নাতিদীর্ঘ ভূমিকা দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করছেন এইভাবে - আমার মনে পড়ে, ব্লগের "সাহিত্য" প্রিন্টবন্দি করবার উদ্যোগেই আমি খুব খুশি ছিলাম না । তা অখুশী থাকাটা তার নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে । কিন্তু পাঠক এখানে খেয়াল করেন এইখানে উনি "সাহিত্য" কথাটারে কোটকমা দিয়ে আবদ্ধ করছেন । উনি কি একটু ব্যঙ্গ করলেন ব্লগারদের লেখার সাহিত্য মান নিয়ে ? প্রশ্নটা বলবত রেখেই দেখি একটু পরে উনি বলছেন - ব্লগের স্বাধীনতা নিয়ে আমার কখনোই উচ্চকিত ভক্তিভাব ছিল না। ছিল না, কারণ এর অদৃশ্য মালিকানা নিয়ে আমি ভুলভুলানির খেলায় থাকি না। অদৃশ্য মালিকানা নিয়ে আমরা অনেকেই ভুলভুলানির খেলায় থাকি না । এখন আমাদের কি করা ? আমরা কি এজন্য হাবিজাবি যাই লেখি (বা অনলাইন এ্যাক্টিভিজম যা হয় এখানে যেইটার অস্তিত্বই অনেক তালেবরেরা স্বীকার করতে চান না) এখানে বা ওখানে সেগুলো বন্ধ করে দেবো ? পুঁজিবাদ পছন্দ করি না বলে সমাজতন্ত্রের নামে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা নাকি অবস্থার মধ্যে থেকে অবস্থারে পরিবর্তনের চেষ্টা করাই আমাদের দায়িত্ব ?

যাই হোক, নেক্সট প্যারায় উনি ব্লগের কোন জায়গাটা আসলে গুরুত্বপূর্ন সেইটা নিয়ে কথা শুরু করছেন । উনি বলছেন - এরপরও ব্লগের যে জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ তাহলো "সম্পাদকীয়" এখতিয়ারের নামে এখানে কর্তন/ছেদন প্রক্রিয়াটা মুদ্রণ-স্থাপনার মতো নয়। আমি এখানে লাইনটার সাথে একমত । কিন্তু এরপরের লাইনটা পড়ে আক্কেল গুড়ুম টাইপ অবস্থা । ব্লগ ও মুদ্রন স্থাপনার মধ্যে পার্থক্য নির্দিষ্ট করতে সে লাইনে মানস চৌধুরি বলছেন – এখানে (ব্লগে) স্বজনতোষণ আছে, দলাদলি আছে, আরও আছে গালাগালি। এইরকম বালখিল্য নার্সিস্টিক মন্তব্য নিয়ে বলার কিছু নাই । প্রিন্টি মিডিয়া স্বজনতোষণ, দলাদলি, গালাগালি (গোপনে আবডালে হলেও সেইটাও গালাগালিই) মুক্ত এই দাবি শুনলে জাবির ডেইরি ফার্ম গেটে মামুদের দোকানের আশেপাশের ঘুরঘুর করা ভবঘুরে কুকুরগুলোও হায়নার মতো খ্যাক খ্যাক হাসি হাসবে । এই ব্লগের সাথে প্রিন্ট বা অন্য মিডিয়ার সাংস্কৃতিক পার্থক্য আছে ও এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যটা নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে বিবর্তিত হচ্ছে নিজের নিয়মেই এটা আমি সবসময়েই বলি । কিন্তু এই বিবর্তনটা প্রাকৃতিক নিয়মে হবে কিনা সেই প্রশ্ন পরমুহুর্তেই মানস চৌধুরি উপদেশমূলক অবস্থানে চলে যান । বলেন - "কিন্তু এটা তো বিধাতার রাজ্য না যে আপনা-আপনি এরকম চলতেই থাকবে। ব্লগের শক্তিমত্তার জায়গাগুলো উদ্ঘাটন ও জারি রাখতে চাইলে এর ব্যবহারকারীদের দায়দায়িত্বও নিতে হবে। " কার দায়িত্ব কে নেয় ? বা "দায়িত্ববান" আচরনের সংজ্ঞা কি হবে ? সেইটা বিধাতার রাজ্যের মতো না হৈলে সেইটার গাইডলাইন কে কখন ঠিক করবেন ? মানস চৌধুরি ?

এইখানে একটু খেয়াল করে দেখেন ব্লগের সেরা লেখা নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানস চৌধুরি ধান ভাঙতে শিবের গীতের মতো ব্লগারদের লেখা ছাপানো নিয়ে কথা শুরু করেছেন । তিনি বললেন- "আমার মনে হয় এই বিস্কুট দৌড়ের মতো মুদ্রণ-স্থাপনার প্রতিষ্ঠিত চর্চাগুলো এখানে আমদানি করতে শুরু করে ব্লগের শক্তিমত্তার জায়গাগুলো খর্ব করতে বসেছেন সতীর্থরা।" আমি জানতে ইচ্ছুক "ব্লগের শক্তিমত্তার জায়গা" বলতে মানস চৌধুরি কি বোঝেন । যে লোক কোনদিন একটা লাইন নিজ থেকে লেখেনি সেই লোক ব্লগে এসে লিখতে শিখছে । সেই লেখক (ব্লগারদের কি মানস চৌধুরি "লেখক" হিসেবে স্বীকৃতি দেন?) যখন বই ছাপাতে চায় তখন "মুদ্রন স্থাপনার প্রতিষ্ঠিত চর্চাগুলোর ছোঁয়াচ থেকে নাদান ব্লগারদের বাঁচানোর নাম করে তাদের বিরত থাকার উপদেশ দেবার কারনটা আসলে কি ? আমরা নাদান পাঠকরা আরোও বুঝতে পারলাম না এই বিস্কুট দৌড় (টার্মটা ভালো হৈছে) বা এই বিস্কুট দৌড়ের কোন অনুসঙ্গ ব্লগের কি ক্ষতির কারন হলো । কোন উদ্যোগের সমালোচনা করতে "লিবারেল চিত্ত" (এইটাও ভালো টার্ম হৈছে) হা রে রে রে করে তেড়ে উঠবে স্বাভাবিক । কিন্তু সেই লিবারেল চিত্তকে বোঝানোর তেড়ে আসা থেকে বিরত করতে মানস চৌধুরির পাল্টা বক্তব্য কি ? মানস চৌধুরি বলছেন "আমি নিশ্চিত আছি, আপনাদের দোয়ায়, কী বিষয়ে আমি কথা বলছি।" এইটা আমিও বিশ্বাস করতে চাই ও আমি আশা করি মানস চৌধুরি আসলে কি বিষয়ে কথা বলছেন সেইটা সবাই বুঝতেও পারবে ।

এরপর আসি ব্রাত্য রাইসুর পোস্টে । উনি মানস চৌধুরির মতো ভূমিকায় না গিয়া প্রথম লাইনেই নিজের বক্তব্য পেড়েছেন । উনি মূলত: দুইটা "আবদার" জানিয়েছেন । আবদার এক - "ব্লগারদের চোখে সেরা লেখা নির্বাচনের ঘনঘটা"-র পরিসমাপ্তি । আবদার দুই - “নির্বাচিত পোস্ট" সংস্কৃতির অবসান হোক । প্রথমেই এই আবদার দুইটা আলাদা আলাদা ভাবে দেখলে বোঝা যায় দুইটা দাবি ভিন্ন । এর মধ্যে আবদার – দুই আমাদের আলোচ্য বিষয় না এখানে । সুতরাং সেইটা বাদ এই দফায় । নির্বাচিত বা পোস্ট বিষয়টা আমার মতে অপ্রয়োজনীয় মনে হয় ।
এবার আসি ব্রাত্য রাইসুর প্রথম আবদার বিষয়ে । উনি আমার মতোই "সেরা লেখা নির্বাচনের ঘনঘটা"র বিপক্ষে । আমি ব্রিগেড সিক্সটিনের পোস্টে আমার আপত্তির জায়গাটা পরিস্কার করলেও উনার কেন এইটাতে আপত্তি সেইটা পরিস্কার করেন নাই । তো তার এই অবস্থানের কার্যকারন পরিস্কার না করলেও এই কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলছেন - “ব্লগ কালচারের নামে চলিত ফোরাম কালচার থিকা ডিগবাজি দেওয়াই উত্তম হবে মনে হইতেছে।" মানস চৌধুরির মতো এইখানেও উনি একটা সরাসরি উপদেশমূলক অবস্থানে চলে গেছেন । উপদেশমূলক এই সেন্সে যে এই ব্লগ কালচার আসলে ফোরাম কালচার । ব্লগ হয়তো আরোও কুলীন কিছু একটা । বাংলাওয়েবেস্ফিয়ারের বিখ্যাত ছাগুরামও একসময় এইটারে-ব্লগ-কয়-না-টাইপ নসিহত করতো । আমার কথা হৈলো বাংলা ব্লগ তার একটা নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়া বাইড়া উঠতেছে । ব্লগ বলতে এইখানে যেইটা বুঝায় সেইটা অন্য দেশে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নাও বুঝাইতে পারে । যেমন আম্রিকাতে ব্লগ বলতে পাবলিক ব্লগস্পটের মতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো সাইট বুঝতে পারে । কিন্তু এইখানে আমরা কেন ঐ আমেরিকান ডেফিনিশন আমাদের ঘাড়ে তুইলা নিয়া ব্লগ করবো ?

শুধু এই দুইজন গুরুভার ব্লগারই না, আমি প্রায়ই কাগজভিত্তিক লেখকদের এইখানে এইটা করা দরকার ঐটা করা দরকার, এইটা কেন হয় না ঐটা না হয়ে ইত্যাদি গণবিচ্ছিন্ন উপদেশমূলক অবস্থানে যেতে দেখি । আপনাদের কাছে আমরা সত্য-সত্যিই এইবার পরিত্রান চাই । বাংলা ব্লগরে আপনারা তার নিজের রাস্তায় চলতে দেন । লেখালেখির তালুকের মালিকানা আপনারাই রাখবেন আর বাকিসবাই বসে বসে লেবেঞ্চুশ মুখে নিয়ে আপনাদের লক্ষ্য করে আহ-উহ প্রশংসামূলক শিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি করে তুলবে এই আশাটার গুড়ে বালি আছে এটা স্বীকার করে নিন ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
৭৬টি মন্তব্য ২০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×