নির্বাচন উত্তর বাংলাদেশের হাল হকিকত নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি। কেমন দেখছি এখন আমার দেশকে?
বাঙ্গালীরা খালি স্বপ্ন দেখতে জানে । কোথায় যেন কথাটি শুনে ছিলাম। অনেক স্বপ্ন ব্যবসায়ী তাই স্বপ্নের ফেরি করে বেড়ায় । বাস্তবে সেই স্বপ্ন সূর্যের মুখ দেখে না । প্রতিদিন তাই সকাল বেলা আমরা পত্রিকা পাতা উল্টাই নতুন স্বপ্নের খোজে । পরিবর্তণের ছোয়া খুজি।
আজ সকালে খবরের কাগজ উল্টিয়ে তাই খুজছিলাম নতুন কোন আশার স্বপ্ন। কিন্তু পেলাম নিরাশা পেলাম হতাশা।
"পুলিশ প্রশাসনে বদলি হচ্ছে আইজি প্রিজন বদলি "
খবরটি পড়ে মন খারাপ হল। দলীয় করন এর যে প্রথা আমাদের প্রশাসন কে পংগু করে রেখেছে তার থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই। অতীত থেকে নাকি আমরা এবার শিক্ষা নিয়েছি, আমরা চলব সঠিক পথে। কিন্তু আসলে কি দেখছি?
গনহারে এডিশনাল আইজি থেকে শুরু করে এডিশনাল ডি আইজি পর্যন্ত মোট ৫৭ জনকে বদলি করা হচ্ছে । ২৫০০ পুলিশ সদস্য কে ও এসডি করা হচ্ছে।
আসুন দেখি কিভাবে এর প্রভাব বাকি পুলিশ সদস্যদের উপর পরবে। যে সদস্যটি আজ দেখছে তার সহকর্মী আজ বিনা বিচারে চলে যাচ্ছে সে উপলব্ধি করছে হয়ত তারও দিন আসবে যে তাকেও চাকরি থেকে বের করে দেয়া হবে। নিরাপত্তা হীনতা তাকে সম্পদ আহরনে উৎসাহী করে তুলবে । কারণ ভবিষ্যত তার অনিশ্চিত । তাকে অসৎ করতে আর কি কোন মটিভেশনের প্রয়োজন আছে?
আমরা কেমন দেশ চাই? কেমন শিক্ষাঙ্গন চাই? কেমন পুলিশ প্রশাসন চাই? কেমন প্রশাসন চাই? কেমন পরিবেশ চাই? কেমন অর্থনীতি চাই? এ প্রশ্ন গুলো র উত্তর বোধ করি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও দিতে পারবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় টিভিতে এত কথা হয়েছে এ সম্পর্কে , এর উত্তর বোধ করি মুখস্তের মত আউরে যাওয়া যাবে । কিন্তু ক্ষমতা আহরণের ২০ দিনের মাথায় ভুলে গেছি আমাদের অতীত। আমরা আবার বুলি আওরাচ্ছি। আবার সত্য আড়াল করে মিথ্যাকে সামনে নিয়ে আসছি।
আমাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র আজ ভয়াবহ। আমরা ভুলে যাচ্ছি এখনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরে। রাজনীতিবিদ, আমলা,ব্যবসায়ী তাদের সন্তান রা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় না । প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হল দখলের নামে আসলে নেপথ্যে টেন্ডারবাজির একছত্র আধিপত্য বিরাজের চেষ্টা চলছে।
এ কথা গুলো নতুন কিছু নয় । এগুলো আমরা দেখে আসছি স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে। আমরা জানি এভাবেই আমাদের বড় হতে হবে । কারণ এভাবেই আমাদের ছাত্র নেতারা পরবর্তীতে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন হয়েছেন জন দরদী নেতা। আমরা আমাদের পূর্বসুরিদের অনুসরণ করছি।
শুধু ছাত্ররা কেন? প্রথম দিনের সংসদে সাংসদ দের কথা বার্তায় কি কোন পরিবর্তণ দেখেছেন? রাশেদ খান মেনন কে দুবার ফ্লোর দেয়া হল অথচ সময় সঙ্কির্ণতার জন্য অন্যদের কথার সুযোগ দেয়া হল না। রাষ্ট্রপতি ভাষণে শহীদ প্রেসিডেন্ট নাম উচ্চারিত হল না। এখন চলছে সামনে কে বসবে আর পেছুনে কে বসবে তার প্রতিযোগিতা । কিন্তু সামনে বসে চাটুকারীতা ত বোধ করি দেশবাসী শুন্তে চায় না। চার জোটের সরকার এর সময় ও একি দৃশ্য দেখা গেছে।
আমরা কি ফিরে যাচ্ছি আগের অন্ধকার পথে ? আবার কি কোন এক সময় আমাদের জীবনে ১/১১ আসবে? আবার কি দেখাবে কিছু নতুন স্বপ্ন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




