somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথাচ্ছলে মহাভারত - ৫৫

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দ্রোণের নিকট অর্জুনের প্রতিজ্ঞা এবং পান্ডব ও ধার্ত্তরাষ্ট্রগণের অস্ত্রশিক্ষাঃ

দ্রোণ সকল রাজপুত্রদের ডেকে একান্তে বসলেন। তিনি বলেন -সবাইকে আমি অস্ত্রশিক্ষা দেব এবং শিক্ষার পর আমার বাক্য সকলকে পালন করতে হবে।
দ্রোণ আরো বলেন, তার যা মনোবাঞ্ছা তা শিষ্যদের পূরণ করতে হবে। তিনি শিষ্যদের সত্যবচন করতে বলেন।

কিন্তু তার বাক্য শুনে সকল শিষ্য মৌন রইল। তখন অর্জুন এগিয়ে এসে বললেন, সে সত্যবচন করছেন দ্রোণের সকল আজ্ঞা তিনি পালন করবেন।
অর্জুনের বচনে দ্রোণ আনন্দিত হলেন। অর্জুনকে আলিঙ্গন করে তার মস্তক চুম্বন করলেন।
একান্তে দ্রোণ অর্জুনকে অঙ্গিকার করেন -তার মত শিষ্য আর কাউকে করবেন না।

এভাবে দ্রোণ সকল শিষ্যদের নানা অস্ত্রশিক্ষা দান শুরু করেন। তার শিক্ষাদানের সংবাদ ধিরে ধিরে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পরে। সকল রাজপুত্ররা তার কাছে শিক্ষা লাভের আশায় আসতে থাকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৃষ্ণি বংশ, যদু বংশ, অনু, ভোজ আরো রাজারা তাদের পুত্রদের পাঠালেন। কর্ণ মহাবীর অধিরথের পুত্র কিন্তু সে দুর্যোধনের অনুগত হওয়ায় দ্রোণের কাছে শিক্ষার সুযোগ পেল। এভাবে দ্রোণের প্রচুর শিষ্য হল এবং তারা সর্বদা শিক্ষা লাভে ব্যস্ত রইল।

দ্রোণ শিষ্যদের নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতেন যে নিজের পুত্রকে শিক্ষাদানের সুযোগ পেলেন না। তাই কপটতা করে তিনি সকল শিষ্যদের কমন্ডলু ভরে গঙ্গাজল আনতে পাঠাতেন এবং সেই অবসরে পুত্রকে শিক্ষাদান করতেন। এসকল বৃত্তান্ত কেবল অর্জুন জানলো। তিনি বরুণ নামে এক অস্ত্র ধনুকে দিয়ে সকল কমন্ডলু জলে ডুবিয়ে রাখলেন। সকল শিষ্য জল আনতে গেল সেই সময় ব্যবধানে অশ্বত্থামা ও অর্জুন অধ্যয়ন করত। অর্জুনের এতটুকু অবসর নেই, সকল সময় তার হাতে ধনুঃশর। সকল সময় গুরুর আজ্ঞা পালন করেন। বিনয় বচনে তার স্তুতি করেন। পার্থের এই সৌজন্যে দ্রোণ প্রীত হয়ে তাকে অপ্রমিত বিদ্যা দান করলেন।

একদিন দ্রোণের কাছে এক নিষাদ বালক শিক্ষার জন্য উপস্থিত হল। দ্রোণকে প্রণাম করে জানাল সে হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্য। যোড়হাত করে বিনয় বচনে সে দ্রোণের শিষ্যত্ব প্রার্থণা করল। কিন্তু দ্রোণ নীচজাতির পুত্র বলে শিক্ষাদান করতে চাইলেন না। অনেক অনুনয়-বিনয়েও দ্রোণ রাজি হলেন না।
দ্রোণের মুখে নিষ্ঠুর বাক্য শুনে দন্ডবৎ করে একলব্য অরণ্যে প্রবেশ করলেন। নিষাদের বেশ ত্যাগ করে ব্রহ্মচারী হয়ে, জটাবল্ক পরিধান করে ফলমূলাহার শুরু করলেন। মৃত্তিকার এক দ্রোণ মূর্তি রচনা করে তা নানা পুষ্প দিয়ে পূজা করতেন। নিরন্তর তীরধনুক হাতে একলব্য ধিরে ধিরে নিজেই সর্বমন্ত্র, অস্ত্রজ্ঞান লাভ করলেন।

কিছুকাল পর কৌরবরা সে অরণ্যে মৃগয়া করতে গেল। কেউ রথে, কেউবা গজে, কেউবা ঘোড়ায় চেপে এলো, সঙ্গে তাদের অনুচরেরাও চললো। সকলে মহাবনে মৃগয়া করতে প্রবেশ করল। এসময় পান্ডবের এক অনুচর, যার সাথে তার পোষা কুকুরটি যাচ্ছিল। যেখানে একলব্য মৃত্তিকার দ্রোণকে যোড়হাতে পূজা করছিলেন সে স্থানে কুকুরটি উপস্থিত হয়ে একলব্যকে দেখে ডাকতে শুরু করল। কুকুরটি ব্রহ্মচারীর চারপাশে ঘুরতে লাগলো। এভাবে একলব্যের ধ্যান ভঙ্গ হল। ক্রোধে তিনি কুকুরের মুখে সপ্তবান মারলেন। অদ্ভূত ব্যাপার ঘটল। কুকুরটি মরল না, কোন আঘাতও লাগল না, কিন্তু কুকুরটি আর ডাকতে পারল না। কুকুরটি নিঃশব্দে সপ্তবান মুখে অনুচরের পিছে পিছে চলল। অনেক্ষণ পর সকলে কুকুরটিকে লক্ষ্য করল।

এই অদ্ভূত ঘটনায় সকলে আশ্চর্য হল এবং কে এমন অসাধ্য সাধন করল তা অনুচরটিকে জিজ্ঞেস করল। কারো এবিদ্যা আয়ত্তে নেই দেখে তারা লজ্জিত হল এবং যে করেছে তার খোঁজে বের হল। অনুচরটি সেই ব্রহ্মচারী একলব্যের কাছে তাদের নিয়ে উপস্থিত হল। সকলে দেখল ধনুঃশর হাতে একলব্য বসে আছে। সকলে তার পরিচয় এবং তার শিক্ষা গুরুর নাম জানতে চাইল।

একলব্য নিজের পরিচয় দিলেন ও জানালেন তার গুরু দ্রোনাচার্য। শুনে সকলে অবাক হল এবং অর্জুন অত্যন্ত চিন্তান্বিত হলেন। সকলে মৃগয়া ছেড়ে দ্রোণের কাছে উপস্থিত হল। সকল ঘটনা তাকে জানান হল।

অর্জুন বিরস বদনে দ্রোণকে বলেন, তার সঙ্গে গুরুদেব কেন ছলনা করলেন। পূর্বেই তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন সকল বিদ্যা তাকেই শেখাবেন। অথচ তাকে ছলনা করে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য বিদ্যা তিনি শেষে এক নিষাদকুমারকে শেখালেন।

অর্জুনের বাক্যে দ্রোণ অবাক হলেন এবং কিছুক্ষণ চিন্তা করে অর্জুনকে সেই বালকের কাছে নিয়ে যেতে বললেন। একলব্যের উদ্দেশ্যে দ্রোণ ও অর্জুন বের হলেন।

দ্রোণকে দেখে একলব্য দুর থেকেই মাটিতে লুটিয়ে প্রণাম জানালেন। কৃতাঞ্জলি হয়ে গুরুর সামনে এসে নিষাদপুত্র একলব্য মধুর কন্ঠে জিজ্ঞাস করেন -গুরু কোন প্রয়োজনে তার কাছে এসেছেন।

দ্রোণ বলেন যদি একলব্য সত্যই তার শিষ্য হন তা হলে আজ তাকে গুরুদক্ষিণা দিতে হবে।

একলব্য বলেন তিনি আজ ধন্য হলেন, গুরু তার কাছে এলেন। আজ গুরু যা চাইবেন তাই তিনি তাকে দান করবেন। কেবল গুরু আজ্ঞা করুন তিনি কি চান।

দ্রোণ বলেন –সত্যি যদি তুমি আমায় খুশি দেখতে চাও তা হলে তোমার দক্ষিণ হাতের বৃদ্ধ বা বুড়ো অঙ্গুলিটি গুরুদক্ষিণা দাও।


বলার সঙ্গে সঙ্গে একলব্য গোটা অঙ্গুলিটি গুরুকে কেটে দান করলেন।
দ্রোণ ও ধনঞ্জয় তুষ্ট হল। অর্জুন জানল গুরু তার প্রতিই কেবল সদয়।
একলব্যের এরূপ কঠোর কর্ম দেখে দুজনেই তার প্রচুর প্রশংসা করে দেশে ফিরে গেলেন।

একদিন দ্রোণ শিষ্যদের বিদ্যা পরীক্ষা করতে চাইলেন। কাঠের একটি পাখি নির্মাণ করে তা বৃক্ষের উপর রেখে দিলেন। একে একে সকল শিষ্যকে ডাকলেন।

সবার প্রথমে যুধিষ্ঠির উপস্থিত হলেন। তার হাতে দ্রোণ তীর-ধনুক দিলেন। বৃক্ষের উপর পাখি দেখিয়ে তাকে লক্ষ্য করে ধনুক তাক করতে বললেন এবং নির্দেশ দিলেন যখন দ্রোণ বলবেন তখনই পাখিটির শির কাটতে হবে। যুধিষ্ঠির ধনুঃশর জুড়লেন এবং ভাস(মোরগ বা শকুন) পক্ষীর দিকে দৃষ্টি স্থির করলেন।

দ্রোণ যুধিষ্ঠিরকে প্রশ্ন করলেন – কি কি এখন তুমি দেখতে পাচ্ছ।

ধর্মপুত্র বলেন – বৃক্ষের উপর পক্ষি দেখছি আর ভূমির উপর দ্রোণগুরু ও সহোদরদের দেখতে পাচ্ছি।
তার উত্তর শুনে দ্রোণ তাকে ভৎসনা করে ধনুক কেড়ে নিলেন।

দুর্যোধনরা শতভাই, এমনকি বৃকোদর ভীম -সকলে একে একে এলেন, তীরধনুক তুললেন এবং সকলেই ধর্মপুত্রের মত একই কথা বললেন। দ্রোণ সকলের উপর অত্যন্ত রুষ্ঠ হলেন।


শেষে ধনুঃশর অর্জুনের হাতে দিয়ে বৃক্ষে পক্ষী দেখিয়ে বললেন তার আদেশের সাথে সাথে নিঃশব্দে পাখির শির কাটতে। গুরুবাক্য শুনে অর্জুন পাখির প্রতি দৃষ্টি স্থির করলেন তীর ধনুক নিয়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর দ্রোণ জিজ্ঞেস করেন অর্জুন কি কি দেখতে পাচ্ছেন।

অর্জুন বলেন তিনি কেবল বৃক্ষের উপর এক পক্ষী দেখতে পাচ্ছেন আর কিছু না।

হৃষ্ট হয়ে দ্রোণ পুনরায় প্রশ্ন করেন ভাস-পক্ষীর কোন কোন অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন।

অর্জুন বলেন – ভাস আর দেখতে পাচ্ছেন না, কেবল মুন্ড আর তার দুই চক্ষু।
দ্রোণ বলেন -অস্ত্রে পক্ষির শির কাট।
বাক্য নির্গত হওয়ার সাথে সাথে পার্থ পক্ষীর শির কাটেন।
দ্রোণ তা দেখে আনন্দিত হয়ে পার্থকে আলিঙ্গন করে পুনঃ পুনঃ তাকে চুম্বন করেন। অরজুনের এত প্রশংসা করতে দেখে অন্য সকল শিষ্য অবাক হয়।

আবার একদিন দ্রোণ শিষ্যদের নিয়ে গঙ্গাস্নানে গেলেন। শিষ্যরা তটে বসেছিল, তিনি জলে নামতেই এক বিরাট, বিকট কুমীর তাকে ধরল। নিজ শক্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি শিষ্যদের ডাকতে লাগলেন। চিৎকার করে তাকে উদ্ধার করতে বললেন। সকল শিষ্য তাদের অস্ত্র আনতে গেল।

সবার অলক্ষ্যে ফাল্গুনী/অর্জুন পঞ্চবাণ মারলেন। কুমীরের শরীর খন্ড খন্ড হয়ে গেল। কুমীরের মৃতদেহ জলে ভেসে উঠল। দ্রোণ জল থেকে উঠে এসে অর্জুনকে আলিঙ্গন করে চুম্বন দিয়ে তুষলেন বারবার।

অর্জুনের উপর সন্তুষ্ট হয়ে দ্রোণ তাকে ব্রহ্মশির নামে এক অস্ত্র উপহার দিলেন।
অস্ত্র দিয়ে গুরু বলেন -এ অস্ত্র কেবল দেবতা ও রাক্ষসের উপর ব্যবহার করবে। কখনও মানুষের উপর প্রয়োগ করবে না।

দ্রোণগুরু অর্জুনকে এত সন্মান দিচ্ছেন দেখে দুর্যোধন রেগে গেল।

এভাবে দ্রোণ শিষ্যদের নানা বিদ্যা শিক্ষা দিলেন অতি যত্নে। যুধিষ্ঠির রথ আরোহণে দৃঢ় হলেন। গদায় কুশল হলেন ভীম ও দুর্যোধন। নকুল অশ্বে এবং সহদেব কুস্তিতে। এভাবে সবাই বিদ্যাবন্ত হলেন।
ইন্দ্রের নন্দন অর্জুন তারই মত বীর। সকল বিদ্যায় পারদর্শি। রথ, গজ, অশ্ব, ভূমি সর্বত্র তিনি সাবলিল। ধনু, খড়্গ, গদা সবেতেই শ্রেষ্ঠ।
....................................
উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে
......................................
আগের পর্ব:

কথাচ্ছলে মহাভারত - ৫৪
Click This Link
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×