somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

উন্মাদ বালক
পথহারা পথিকের মত আমি খুজে চলেছি স্বপ্নের গলি....স্বপ্নের গলির সন্ধান পেতে ছুটে চলেছি শহরের এ গলি থেকে ও গলি, এমন কি বাদ রাখিনি কানা গলি গুলোও। দিন শেষে বিষাদ আর ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফিরে যাই আপন নীড়ে...

জেনে নিন পৃথিবী বিখ্যাত অভিশপ্ত ৫ টি জিনিস সমন্ধে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু জিনিসকে ঘিরে পারিপার্শ্বিক কিছু ঘটনা ঘটে যার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না এবং যার ইতিহাস খুঁজে দেখা যায় জিনিসটি কোনো না কোনো কারণে অভিশপ্ত হয়েছে। আজ পর্যন্ত এমন অনেক কিছুরই নজির পাওয়া গিয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। দেখে নিন এই সকল অসংজ্ঞায়িত অভিশপ্ত ৫ টি জিনিস।

বাসানো ভাসঃ
১৫ শতাব্দীতে এই শক্ত রূপার তৈরি ভাসটি একজনকে তার বিয়ের উপহার হিসেবে দেয়া হয়। এই ভাসটি তখনই অভিশপ্ততা লাভ করে যখন এর মালিককে সেই বিয়ের রাতেই খুন করা হয়। এরপর থেকে এই ভাসটি যার হাতেই পৌঁছেছে, ডেকে এনেছে মৃত্যু। এরপর হারিয়ে যাওয়া এই ভাসটি ১৯৮৮ সালে উদ্ধার করা হয় একটি নোট সহ। যাতে লেখা ছিল, ‘সতর্ক থাকুন... এই ভাসটি মৃত্যু ডেকে আনে’। একটি নিলামে এই ভাসটি বিক্রয় করা হয় এবং ক্রেতা ৩ মাসের মাথায়ই মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আরও ৩ জন এই ভাসটি কিনে নেন এবং প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করেন। এরপর এই ভাসটি কোনো অজানা স্থানে পুতে ফেলা হয়।



দ্য হ্যান্ড রেসিস্ট হিমঃ
এই অদ্ভুত ধরণের পেইন্টিংস টি কেন আঁকা হয়েছিল তা আজও অনেক বড় প্রশ্ন। এই ছবিটি এঁকেছিলেন বিল স্টোনহ্যাম নামক একজন অখ্যাত আঁকিয়ে ১৯৭২ সালে। কিন্তু এই ছবিটি এবং আঁকিয়ে দুজনেই অনেক খ্যাতি অর্জন করেন যখন ছবিটি ২০০০ সালে eBay’তে বিক্রিয় করার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। যে জুটিটি এই ছবিটি বিক্রি করার জন্য তুলেছিলেন তাদের মতে, ছবির শিশুদুটি রাতেরবেলা নড়াচড়া করে এবং যেই এই ছবির দিকে তাকান অনেক অসুস্থতা অনুভব করেন। ইতিহাস আরও বলে, এই ছবিটির যিনি সমালোচক ছিলেন এবং যে আর্ট গ্যালারীতে এই ছবিটি দেখানোর জন্য রাখা হয়েছিল দুজনেই আর্ট-শো এর ১ বছরের মাথায় মৃত্যুবরণ করেন।



ড্যায়ব্বাক বক্সঃ
একজন ইহুদি হলোকাস্ট সারভাইভার উইজাবোর্ডের মাধ্যমে ‘ড্যায়ব্বাক’ নামক একটি পিশাচ ডেকে আনতে সক্ষম হয় এবং পিশাচটি এই কেবিনেটে বন্দী করতে পারে বলে জানা যায়। এরপর এই কেবিনেটটি দূরে কোথাও রেখে আসা হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এই কেবিনেটটি কিনে নেন একটি এস্টেট সেল থেকে কেভিন ম্যানিস নামক এক ব্যক্তি এবং কেনার পর থেকেই তার সমস্যা শুরু হয়ে যায়। ম্যানিস এবং বাড়ির অন্যান্যরা সকলেই এই কেবিনেটটি ঘরে আনার পর থেকে একজন ডাইনির স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। ম্যনিসের মা স্ট্রোক পর্যন্ত করেন। এরপর সবশেষে যিনি এই কেবিনেটটি মালিক হন তিনি অনেক অদ্ভুত মারাত্মক কোনো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। এরপর এই কেবিনেটটি লুকিয়ে রাখা হয়েছে যাতে কেউ খুঁজে না পায়।



কোহিনূর হীরাঃ
কোহিনূর হীরার কথা শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি পৃথিবীর সবচাইতে বড় হীরা ছিল যা বিভিন্ন সময়ে কেটে ছোটো করার কারণে বর্তমানে এর আকার ১০৫ ক্যারট। ইতিহাস বলে এই হীরার সাথে জড়িত নানা রাজা বাদশাহ অনেক বিপদ এবং মৃত্যুমুখ পতিত হয়ছিলেন শুধুমাত্র একটি অভিশাপের কারণে, ‘যে এই হীরের মালিক হবে সে বিশ্বজয় করতে পারবে, কিন্তু সে দুর্ভাগ্যও বয়ে আনবে। শুধুমাত্র ঈশ্বর ও নারী এই অভিশাপ ব্যতীত হীরেটি পড়তে পারবেন’। ১৮৭৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই হীরেটি ব্রিটিশদের মুকুটে শোভা



দ্য ওমেন ফ্রম ল্যাম্ব স্ট্যাচুঃ
সাইপ্রাসে ৩৫০০ বি.সি. তে তৈরি এই স্ট্যাচুটি ১৮৭৮ সালে ইস্টার্ন ইউরোপে উদ্ধার করা হয়। এই স্ট্যাচুটি এতো বেশি মৃত্যুর সাথে জড়িত যে এই স্ট্যাচুটিকে আখ্যায়িত করা হয় ‘দ্য গডেস অফ ডেথ’ হিসেবে। এই স্ট্যাচুটির প্রথম মালিক ছিলেন লর্ড এলফোন্ট। এই স্ট্যাচুটি তিনি পাওয়ার ৬ বছরের মধ্যে তার পরিবারের ৭ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আইভর ম্যানুচ্চি এই স্ট্যাচুটির মালিক হন এবং ৪ বছরের মধ্যে তিনিসহ তার পুরো পরিবার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর এটি লর্ড থমসনের কাছে পৌছায় এবং দুর্ভাগ্য এই যে তিনি ও তার পুরো পরিবার মৃত্যুমুখে পতিত হন। এরপর এই স্ট্যাচুটি হারিয়ে যায়। তারপর আবার উদ্ধারের পর এটি আসে স্যার অ্যালান বিভারব্রোকের কাছে এবং স্ট্যাচুটি পাওয়া কিছুদিনের মধ্যেই তার স্ত্রী ও দুই কন্যা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তিনি ও তার দুই ছেলে এই স্ট্যাচুটি রয়েল স্কটিশ মিউজিয়ামে দান করে দেন।


২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×