শেখ মুজিবের ব্যাপারে কিছু বিখ্যাত উক্তিঃ(Collected From Amardesh Pathok Forum)
* কলকাতার এক মাওলানা সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালীর সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? তিনি খুব রাগের
সাথেই বলেছিলেনঃ
"আমরা বাংগালীরা চিরকালই বেকুব ছিলাম তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তোমরা বাংলাদেশি বাংগালীরা যেন একটু বেশিই বেকুব। শেখ
মুজিব যদি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালী হয়, তাহলে আব্দুল্লাহ বিন উবাই বা মিরজাফরের মত বিশ্বের সব ধোকাবাজরাই শ্রেষ্ঠ বাংগালী
হওয়ার যোগ্যতা রাখে"।
* আমার এক পাড়া-পড়শি চাচা, যিনি কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন। তাকে জিগ্গেশ করেছিলাম কোন সরকারের সময়টাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সময়
মনে করেন? তিনি উত্তরে বলেছিলেন,
"খন্দকার মোস্তাকের আড়াইমাস সময়টি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সময় এবং কর্নেল ফারুক, রশিদরাই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান।"
কারণ হিসেবে বলেছিলেন,
"শেখ মুজিব 30 টাকা মন চাল বাংগালীকে 400 টাকায় খাইয়েছিল। আর ফারুক, রশিদদের কল্যানে বাংগালী তা একদিনের ব্যবধানে
তিন টাকা কেজি দরে কিনতে পেরেছিল।"
* শোনা যায় মুজিবের জন্মের পর তার মায়ের অবৈধ প্রেমিকের নামের সাথে মিলিয়ে তার নাম রাখা হয়েছিল দেবদাস চক্রবর্তী। এই ঘটনার
ব্যপারে সরাসরি জানেন এমন এক প্রবীন ও প্রসিদ্ধ মাওলানাকে মুজিবের পকৃত ধর্মীয় পরিচয়ের ব্যপারে জিগ্গেশ করা হলে তিনি বললেনঃ
"যারা অগ্গতার বশে আওয়ামীলীগ করে তাদের কথা আলাদা, কিন্তু কেউ যদি জেনে-বুঝে শেখ মুজিবকে মুসলিম এবং আওয়ামীলীগকে
মুসলমানদের দল মনে করে তবে তার মৃত্যূ হবে অবশ্যই একজন কাফেরের মৃত্যূর সমতুল্য।"
* এক প্রবীন মুক্তিযোদ্ধার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আপনি নাকি ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন যে, কেউ যদি অযু করার পর মুজিবের নাম মুখে আনে
তাহলে তার অযু নষ্ট হবে? তা আপনি একজন নামকরা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এমন মুজিব বিদ্বেষী হলেন কি করে? তিনি বললেনঃ
"দেখ বাবা, তোমরা নতুন প্রজন্ম আজ যেমন বিভ্রান্ত হয়ে একুশ বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ানো এই বাকশালী ফকিরদের আবার
ক্ষমতায় আনলে, একসময় আমরাও তোমাদের মতই বিভ্রান্ত হয়েছিলাম এবং জীবনের সবচেয়ে বড় ভূলটি করেছিলাম। কতটা বিভ্রান্ত
হয়েছিলাম তার একটা নমুনা দেয়া যাকঃ শেখ মুজিব তখন পাকিস্তানী কারাগারে। সদ্য স্বাধীন দেশে বীরের বেশে প্রত্যাবর্তন করার কথা
জানুয়ারীর প্রথম দিন থেকেই। এক দুই করে করে কয়েক দিন কেটে গেল। বাংগালীর অপেক্ষার পালা যেন আর শেষ হতে চায়না। এদিকে
তিনি বেচে আছেন কি নেই তা নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়তে লাগল। এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে সারাদেশের উতকন্ঠিত গন মানুষের সাথে আমি
এবং তোমার কাকিমাও রোজা রাখা শুরু করলাম এবং প্রতিগ্গা করলাম- যতক্ষন পর্যন্ত না শুনব আমাদের মহান নেতা দেশের মাটিতে পা
রেখেছেন ততক্ষন পর্যন্ত রোজা ছাড়বনা। যাইহোক, চারদিন পর 10ই জানুয়ারী যখন শুনলাম তিনি দেশের মাটিতে পা রেখেছেন তখন দুই
রাকাত শুকরিয়া নামাজ পড়ে সবাইকে মিষ্টিমুখ করার মধ্য দিয়ে রোজা ছাড়লাম। কত বড় বেকুব ছিলাম, এখনো মনে হলে লজ্জা লাগে।
তারপরের ইতিহাস ছিল দীর্ঘ, ভয়াবহ, পাশবিকতায় ভরপুর বিভত্স ইতিহাস যা বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে ঘটেনি। সেটা দু-চার
কথায় বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু এই টুকু বলি- 75-এর 15-ই আগষ্টে যখন শুনলাম মুজিবের পুরা গুষ্টিকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেওয়া
হয়েছে তখন আবারও তিনটে রোজা রেখে আগের করা করা তিন রোজার কাফ্ফারা আদায় করেছি। এইবার শুধু নিজেরা মিষ্টিমুখ করিনি,
সারা গ্রামের মানুষকে গরু (উল্ল্যেখ্য তার পালের আটটা গরুর মধ্যে সাতটাই ইতিমধ্যে চুরি হয়ে গিয়েছিল)জবাই করে ভাত খাইয়েছি।"
* আমার মনে আছে হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর তার বাপের নামে এমন বন্দনা শুরু করেছিল যে এক পর্যায়ে তা রিতিমত হাস্য রসে
পরিণত হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম করনের পাশাপাশি সব যায়গায় তার বাপের ছবি টাংগানোর কড়া নোটিশ দেয়া হয়। সেসময় খুব্ধ হয়ে
অনেকে বাথরুমেও ছবি টাংগিয়েছিল। আবার অন্যদিকে বাংলাদেশী বিভিন্ন নোটের পাশাপাশি দশটাকার নোটের জলছাপেও মুজিবের ছবি দেওয়া
হ্য়। সেই কাগজের নোটের উপর ক্ষুব্ধ মানুষ কত বিশ্রী ভাষায় যে গালাগাল লিখে রাখত সেগুলো এখানে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমার হাতে
আসা দশটাকার জলছাপের উপর সবচেয়ে ভদ্র ভাষায় যে উক্তিটি লেখা ছিল তা ছিল এরকম-
"ছি ছি বাঘ মামা, তুমি নও
আজ থেকে বংগবন্ধুই জাতিয় পশু।"
শেষ পর্যন্ত টাকার উপর যেকোনো ধরনের লেখার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক আইন করেতে বাধ্য হয়। যদিও তাতে কোনো
লাভ হয়নি।
সেবার আমার এক বন্ধু হটাত্ কয়েকদিন হল কলেজে আসছেনা। পরে খবর নিয়ে জানলাম তার অতি সহজ-সরল চাচাকে তার গ্রামের
আওয়ামীলীগের গু্ণ্ডারা ধরে বেদম পিটিয়েছে। ফলে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তার চাচার পাশে। মারার কারণ জানতে চাইলে সে
হাসতে হাসতে বললঃ
"আমার চাচা কার থেকে না কি শুনেছে যে- কেউ যদি মুজিবের কবরে হিস্যু করতে পারে তবে তার জান্নাতে যাওয়ার জন্য এই একটি
আমলই যথেষ্ট। বেচারা এই কথায় বিশ্বাস করে কয়েকবার টুংগিপাড়ায় যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যেতে পারেনি বিভিন্ন কারণে। শেষ-
মেশ আর কি করা- কোথা থেকে মুজিবের একটা ইয়া বড় সাইজের ছবি সংগ্রহ করে তার উপরেই কাজ চালিয়েছে কয়েকদিন। তা
আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে। ভালকথা করবি গোপনেই কর। তা না করে নিজের সাথে আরও অনেক লোককে জান্নাতে নেওয়ার
খায়েশে অন্যদেরকে উত্সাহিত করা শুরু করে। আর এই খবর প্রচারিত হলে আর যায় কোথায়। আমাদের পাড়ারই যুবলীগের কালু
মাস্তান তার দল-বল নিয়ে এসে বেদম পিটায়।"
* আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন এক স্বনামধন্য শিক্ষককে জিগ্গেশ করেছিলাম, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জিয়া ও মুজিবের মধ্যে পার্থক্য
কি? দুই দলই দাবী করে, তারা নাকি বিদেশী ষড়যন্ত্রে নিহত হয়েছেন। তিনি অল্প কথায় যা বলেছিলেন তা আজও আমার মনে আছে। তিনি
বলেছিলেনঃ
"খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়- জিয়া নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের গ্রামে-গন্জে, ঘড়ে-বাইরে কান্নার রোল পরে গিয়েছিল,
অন্যদিকে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল ভারতে, যেন পচন্ড ক্ষরার পর দমকা হাওয়ার সাথে বহু প্রতিক্ষিত এক পশলা বৃষ্টি। আর তার
জানাজার জামাত ছিল বাংলাদেশের এ যাবত্কালের সর্ববৃহত্ জানাজার জামাত।
পক্ষান্তরে, মুজিব নিহত হলে মুসলমানরা বাদে গোটা ভারত যেন শোকে হতবিহবল হয়ে পড়েছিল। আর এদিকে বাংলাদেশের ঘড়ে-ঘড়ে
উত্সব ভরে একে অপরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছিল যেন বহুদিন পর বাংগালীরা ঈদের নাগাল পেয়েছে। আর তার জানাজায় নাকি লোক
হয়েছিল মাত্র 25 থেকে 30 জন। তাও আবার অধিকাংশই সাংবাদিক। তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা পর্যন্ত তার জানাজায় যাওয়ার সময়
পায়নি। তারা তখন খন্দকার মোস্তাকের মন্ত্রীসভায় শপথ নিতে ব্যস্ত।"
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




