ড. মোজাফফর আহমেদ- সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে। বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছিলেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার তার যৌবনের সোনালি সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবায় অতিবাহিত করেছেন। আকস্মিক পারিবারিক দুর্ঘটনায় সবকিছু হারিয়ে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেলে শেষ বয়সে দেশ সেবার নামে জনমানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি মার্কিন অর্থপুষ্ট হ্যাঙ্গার প্রজেক্ট, সুজন ইত্যাদি এনজিওর মূলব্যক্তি-এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কী গণতন্ত্রের চর্চা ও আর্থিক স্বচ্ছতা আছে? তিনিও তো বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমর্থক হিসেবে জাতির ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের পক্ষে দালালি করেছেন। সেই সময়ের সংবাদপত্রগুলোতে এর ভূরি ভূরি প্রমাণ মিলবে। গণতন্ত্র, সুশাসন স্থানীয় সরকার বিষয়ে প্রতিনিয়ত তিনি মুখে ও কলমে ফেনা তুলে ফেলছেন অথচ একটি অগণতান্ত্রিক, প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী সেনাসমর্থিত সরকারের পক্ষে নিকট অতীতে ভূমিকা পালন করেছেন।

ড. তোফায়েল আহমেদ ইউএনডিপির পরামর্শক হিসেবে প্রতিনিয়ত স্থানীয় সরকার বিষয়ে সবক দিচ্ছেন। তিনিও তো বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং তার পরামর্শেই মইন উ আহমেদ গং উপজেলা পরিষদে নারী ক্ষমতায়নের পথ রুদ্ধ করে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের স্থলে দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান অর্থাত্ একজন নারী ও একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা রাখেন—এতে নারীর ক্ষমতায়ন তো হয়নি বরং নারীকে আরও বৈরী পরিবেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাদের ক্ষমতায়নের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এ সমাজে এখনও নারীদের জন্য রক্ষাকবজের প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




