somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীদের প্রতি সমাজের যে আইন বা দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত আছে তার পরিবর্তন দরকার

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা তৃতীয় প্রজন্মের মানুষ । আজকের এই তৃতীয় প্রজন্মে এসে আমরা কম্পিউটার পেয়েছি, পেয়েছি ইন্টরনেট, পেয়েছি প্রজন্মের সর্বাধুনিকতম আবিষ্কার ও প্রযুক্তি । এসেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্ত । এসেছে রাজনৈতিক ধারার নিয়ম কানুনেরও পরিবর্তন। এত কিছুর পরও আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলিত ও বঞ্চিত।

এইটা আমি মানি যে, আমাদের বর্তমান সমাজ তাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি দিবস দিয়েছে, তাদের জন্য সরকার করেছে আইনের ব্যবস্থা । কিন্তু নারীরূপী একজন মানুষের নিরাপত্তা ও মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার কি আমাদের নারীরা এখনও পেয়েছে।

এখনও আমাদের সমাজে একজন নারীকে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়। যার কোন প্রতিকার হয়নি । তাদের ব্যাপারে অতীত থেকে যা চলে এসেছে এখনও তাই চলছে । সমাজ আজ তাদের জন্য শুধু আইন আর দিবসের ব্যবস্থায় করেছে এর থেকে বেশি কিছু নয়।

বর্তমান সময়ে শহরে বসবাস করা নারীরা হয়ত কিছুটা আধুনিক হয়ে নিজেকে সময়ের সাথে মানিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সংখ্যাও হাতে গুনা কয়েকজন। গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থায় এখনও চলছে নারীদের উপর অমানবিক অত্যাচার । যার কোন বিচার নেই, নেই কোন শেষ।

একজন নারী যখন কোন পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য সমাজের সমাজপতিদের করেছ বিচার প্রার্থনা করে, তখন সমাজপতিদের বিচারে একজন নিরাপরাধ নারীর শাস্তি হয় বেশি। বেশ কিছু দিন আগে কোন এক পত্রিকায় পড়েছিলাম, " কোন এক গ্রামে এক ধর্ষিত নারীর বিচার করতে গিয়ে সমাজ পতিরা সেই ধর্ষিতা নারীর মুখে চুন কালি মাখিয়ে, মাথা কামিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরানোর শাস্তি দিয়েছে আর সেই পিশাচ পুরুষটি অল্প কিছু মুচলেকা দিয়েই ছাড়া পেয়ে গেছে।..." হায়রে এটাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। যেখানে আমরা শুধু মুখে নারী মুক্তির আন্দোলন করে করে মুখে ফেনা তুলে ফেলছি, আর তারই আড়ালে এক পৈশাচিক হিংস্র অত্যাচারীকে লুকিয়ে রেখেছি।

আগেকার সমাজ ব্যবস্থায় নারী চার দেওয়ালে বন্দি ছিল । যত অত্যাচার, সুখ- আনন্দ যাই তাদের ভাগ্যে ছিল তারা তা মুখ বুঝে সয়ে গেছে, এখনও যাচ্ছে। পার্থক্য শুধু এইটুকু যে, সেই সেময় তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের আপন জনদের মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েছে। আর এখন ঘর এবং বাহির সব জায়গাতে তারা অত্যাচারিত হয়ে যাচ্ছে ।

আমারা তাদের ঘরের সেই চার দেওয়াল থেকে বাইরে এনেছি ঠিক । কিন্তু ঘরের বাইরে তাদের জীবন আর সম্মানের নিরাপত্তা দিতে পারিনি।

সময় এসেছে আমাদের সেইসব চিন্তাধারা বদলানোর । সময় হয়েছে তাদেরও মানুষের মর্যাদা প্রদানের। সময় হয়েছে পক্ষপাতি বিচার ব্যবস্থা বদলানোর, ন্যায়-এর প্রতিষ্ঠা করার ।

সময় হয়েছে নারী পুরুষের পার্থক্যভুলে সবার একাত্ম হওয়ার।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×