somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ওদের ধর্মব্যবসায় ভালো সেলসম্যান।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামাতে মওদুদীদের অব্যাহত সহিংসতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। হামলা, গুলি, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের মধ্য দিয়ে তাদের ডাকা হরতাল পালিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়, থানা, স্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি, বাণিজ্য মেলা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। কুমিল্লা, কসবাসহ বিভিন্ন স্থানে রেল-লাইনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। পুলিশ-বিজিবি র্যা ব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপর তারা দফায় দফায় আক্রমণ করছে। এমনকি খোদ থানা আক্রমণ করে পুলিশ হত্যার মতো ন্যক্কারজনক কাজও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
জামাতে মওদুদীর অব্যাহত সহিংসতা আবারো প্রমাণ করে তারা একটি মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার লেশ মাত্র তাদের মধ্যে নেই। কারণ, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট ঘোষিত হয়েছে “একজনের দোষ-ত্রুটির দায়ভার অপরজন বহন করবে না।” যদি তাই হয় তাহলে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আইন প্রার্থী কথিত জামাতে মওদুদীরা কী করে সাধারণ মানুষকে প্রতিপক্ষ বানাতে পারে? তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করতে পারে? এটা কী পবিত্র দ্বীন ইসলামী কাজ?
ব্যাংক লুট, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন, স্টেশন হামলা, র্যা ব-পুলিশ-বিজিবির উপর আক্রমণ এসব কী পবিত্র দ্বীন ইসলামী কাজ! তাদের কুখ্যাত নেতা সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এসব ঘৃণ্য সহিংসতা, নাশকতা, আক্রমণ হত্যাকা- এসব কী পবিত্র দ্বীন ইসলামী কাজ?

বলাবাহুল্য, সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রক্রিয়ার প্রতি মওদুদী জামাতেরও সমর্থন রয়েছে। নচেৎ তারা এতদিন পর্যন্ত সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর প্রতি ট্রাইব্যুনালে আইনী লড়াই চালিয়ে আসলো কেন ? ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়ার প্রতি যদি তাদের অসমর্থন থাকতো তাহলে তারা প্রথম থেকেই একে অস্বীকার করতো। তাদের দৃষ্টিতে বাঘা বাঘা আইনজীবী দিয়ে লড়াই, সাফাই সাক্ষীর উপস্থিতি ইত্যাদি কর্মকা- তো মূলত ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সমর্থনই ব্যক্ত করে। এমনকি এখনও আপিল করার সুযোগটাও তারা নিচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া মানবে, বিচারপতি মানবে কিন্তু বিচার মানবেনা এটা তো প্রতারণামূলক। দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মওদুদী জামাতীদের এ প্রতারণা প্রচার করে দিতে হবে। পাশাপাশি জামাতে মওদুদীরা বর্তমানেও হত্যা-লুণ্ঠন চালিয়ে আরো ফাঁসির অপরাধী হচ্ছে। এ পবিত্র দ্বীন ইসলামী কথাও প্রচার করতে হবে।
মওদুদী জামাতীরা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দোহাই দিয়ে থাকে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে, “হদে ক্বিছাছ” সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হত্যার বদলে হত্যা।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুযায়ীই বিচার হবে। যে ভুল সাক্ষ্য দিবে তার গুনাহ তার উপর বর্তাবে।” এক্ষেত্রে বিচারক বা বিচারে কোনো ভুল হবেনা। এ দৃষ্টিকোণ থেকেও সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসি সম্পূর্ণ পবিত্র দ্বীন ইসলামিক। কারণ তার বিরুদ্ধে হত্যাকা-, লুণ্ঠন ইত্যাদি অভিযোগ সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণাদির উপর প্রতিষ্ঠিত। কাজেই এ রায় সম্পূর্ণ পবিত্র দ্বীন ইসলামিক। কিন্তু এই পবিত্র দ্বীন ইসলামিক রায়ের বিরুদ্ধে আজ জামাতে মওদুদীরা শহীদের নামে আত্মাহুতি দিচ্ছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ বর্তমানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী যে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলো, সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে নেয়া হলো তার প্রতিবাদে এই জামাতে মওদুদীরা ‘টু’ শব্দও করেনি। কিন্তু সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীকে দিয়ে ওদের ব্যবসা সচল থাকে। সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ওদের ধর্মব্যবসায় ভালো সেলসম্যান। তাই ওকে রক্ষায় ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ইস্যুতে তথা মওদুদী জামাতের সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার সময়োচিত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ পথে এগুচ্ছে না।
সরকারকে এজন্য সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মুখাপেক্ষী হতে হবে। একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজন পেতে পারেনা- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই আয়াত শরীফ অনুযায়ী জামাতী মওদুদীরা যে মহা অনৈসলামিক কাজ করছে সেটা ধর্মপ্রাণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশপাশি মওদুদী জামাতীরা যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে কাফের তাদের আক্বীদা কুফরীতে পরিপূর্ণ সে কথাও সরকারিভাবে প্রচার করতে হবে এবং সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী যে এই জামাতে মওদুদী তথা কুফরীর ধারক-বাহক তথা মহা কাফির সে কথাও ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে। পাশাপাশি শুধু সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারেই সন্তুষ্ট থাকলে চলবেনা- সে যে তাফসীরের নামে এদেশের ধর্মপ্রাণদের অধর্ম শিখিয়েছে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে কুফরী আক্বীদার প্রচার-প্রসার করেছে সর্বোপরি পবিত্র ইলমে তাছাউফ, ওলীআল্লাহগণ উনাদের বিরুদ্ধে চরম বিষোদগার করে এদেশে ৯৭ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত এনেছে সেজন্যও ধর্মদ্রোহী, ধর্ম অবমাননাকারী ও ধর্ম অপব্যাখ্যাকারী সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর বিচার করতে হবে।
মোদ্দাকথা, বর্তমান পরিস্থিতি সামলে নিতে সরকার যত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাহায্য নিবে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে চলবে ততই বিষয়টি সহজ হবে। দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন মিলবে।

৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×