কোয়ান্টাম একটি চেতনার নাম।যে চেতনায় গত ১৮ বছরে লাখো লাখো মানুষ বদলে পেলেছে তাদের জীবন।খুজে পেয়েছে আশ্রয়,ভরসা।হতাশা কে আনন্দে,রোগকে সুস্থতায়,ব্যর্থতা কে সাফল্যে রুপান্তর করেছেন।
মেডিটেশন ঃমেডিটেশন জীবন যাপনের সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রদ্বতি।হাজার বছর ধরে মহামানব গন,সফল ব্যক্তিগন,কালজয়ী বিজ্ঞানি,চিকৎসক ,শিল্পি,সাহিত্যিক গন দের জীবনী বা ইতিহাস দেখলে তঁদের দৈন্যদিন কর্মসূচিতে নিয়মিত মেডিটেশনের দখল লক্ষ্য করা যায়।
মেডিটেশনের বাংলা 'ধ্যান' আরবীতে একে 'মরাকাবা''বলা হয় ।আত্ননিমগ্ন হয়ে আত্ননুসন্ধান,আত্নবিকাশ ও আত্নো্পলব্দি'র মাধ্যমে জীবন কে সাফল্যের স্বর্ন শিখরে নিয়ে যাওয়া।জীবনের সমস্ত চাওয়াকে পাওয়ায় রুপান্তর করা।
মেডিটেশন কোর্সের শিক্ষাঃ কোর্সের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে এক জন মানুষের সঠিক জীবন দৃষ্টি সৃষ্টি করা,কারন আমাদের অভাব,আমাদের দারিদ্রতা,রোগ ,শোক,হতাশা ,ব্যর্তথা সব কিছুর মূলে রয়েছে দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা।দৃষ্টি ভঙ্গি নেতিবাচক হলে যে কোন কাজ শুরুতেই থেমে যায়,ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহনের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি প্রশান্তি,সুস্বাস্থ ও সাফল্যের সন্ধান ।
বিশ্বাষ অর্জনঃ আসলে সাফল্য বলেন নিরাময় বলেন ,কিংবা ধন সম্পদ অথবা খ্যাতি-পতি পত্তি বলেন এর সব কিছুর মাঝ খানে যে দেয়াল টি বাধাঁ হয়ে দাঁড়ায় তার নাম বিশ্বাষ।বিশ্বাষ সাফল্য সৃষ্টি করে অবিশ্বাষ ব্যর্থতার জ্ম্ম দেয়,সংশয়ের জর্ম্ম দেয়,বিশ্বাষ রোগ নিরাময় করে ,দ্বিধা দন্দ্ব সংশয় রোগ গ্রস্ত করে তোলে।যুগে যুগে কালে কালে যারা স্মরনীয় হয়েছেন বরনীয় হয়েছেন তাদের সকলেই বিশ্বষী ছিলেন।
মেডিটেশন শৃঙ্কখল মুক্তির হাতিয়ারঃ
আমাদের সাফল্যের ক্ষেত্রে পারিপাশ্বিক শৃংক্ষল অর্থ্যাৎ আমাদের চার পাশের নেতিবাচক পরিবাশের প্রভাব অন্য তম বাধা তৈরী করে;ঠিক সার্কাসের হাতীর মতন; আমরা জানি
সার্কাসের হাতীকে ৬ মাস বয়সে যখন জঙ্গল থেকে ধরে আনা হয় তখন তাকে মোটা ৬ ফুট লাম্বা লৌহার শৃকল দিয়ে ৬ ফুট বৃত্তের মঝে বেধে রাখা হয়,প্রথম প্রথম বাচ্ছা হাতীটি মনে প্রানে চেষ্টা করে শৃখল ভাঙ্গার এক বার দু'বার তিনবার এভাবে একের পর এক চেষ্টা করার পর তার পা জখম হয়ে যায়, সেই পায়ে যখন আবার চেষ্টা করে তখন রক্তাত হয় এভাবে একের পর এক চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর তার ধারনা হয়ে যায় যে সে আর এই শৃংখল ভাংতে পারবেনা,এই ৬ ফুট বৃত্তের ভীতরই তাকে জীবন কাটাতে হবে।ধীরে ধীরে হস্তী শাবক পরিপূর্ন হাতীতে পরিনত হয়,অন্য দিকে তাকে শিখানো হয় সার্কাসের নানান কলাকৌশল।
এমনও দেখা গেছে যে ৬ফুট লাম্বা কুকুর বাধাঁর ছাগল বাধাঁর খুটির সাথে হাতীটিকে বেধেঁ রাখা হয়ছে,সার্কাসের অনুষ্টান চলাকালে কোন না কোন ভাবে আগুন লেগে গেছে, দর্শক ,মালিক,কর্মচারি,এবং অন্যান্য সকলেই যে যার মত প্রাণ বাচিয়ছে,আগুন দেখে হাতীটিও প্রাণ বাচাতে উঠে দাঁড়ায় কিন্তু ছুটতে গেলে যখনিই তার পায়ে শৃকলের টান পড়লো তখনি তার মনে পড়লো আরে ''এই শৃকল তো আমি ভাংতে পারবোনা,এই আগুনেই আমাকে মরতে হবে এই টিই আমার নিয়তি'' আবার বসে পড়লো ;আগুনেই পুড়ে মরলো।অথচ তখন সে যে শৃকলে বাধা ছিল ইচ্ছে করলে ওরকম ১০০টি শৃকল সে এক ঝাটকায় ভাংতে পারতো,কিন্তু তার নেতিবাচক ধারনা আর মনোজাগতিক দাসত্তের কারনে তাকে মরতে হয়েছে।
আমরা প্রতিটি মানুষই অসীম শক্তি ও মেধা নিয়ে জর্ম্ম গ্রহন করি,কিন্তু নেতিবাচক পারিপাশ্বিক প্রভাব আমাদের বন্দি করে রাখে মনোজাগতিক দাস্বত্তের শৃংক্ষলে অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও আমরা পড়ে থাকি দারিদ্রতা ব্যর্থতা, অসুস্থতা,গ্লানি-হতাশার গহীন অন্ধকারে।
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ন ভিন্ন।ব্যর্থতা দারিদ্রতা রোগগ্রস্ততার দুষ্ট চক্র কে ছিন্ন করে সফল হবার মত যে শক্তি স্রষ্টা আমাদের দেয়েছেন কোয়ান্টাম মেথড হচ্ছে সেই শক্তি কে জাগ্রত করার পরিক্ষীত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। কোয়ান্টাম মেথড
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




