somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ।ক।জ।ন । হ্যা।কা।রে।র । ডা।ই।রী

১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুভ আর অশুভর যে চিরায়ত দ্বন্দ, তা সকল ভুবনেই বিরাজমান।
অশুভ বা শুভ শক্তি যাই হোকনা কেন, কেউ যখন চেয়েছে সকল ক্ষমতা, জ্ঞান আর নির্বাণের পথকে রুদ্ধ করতে; তখনি বিরুদ্ধ প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়েছে কেউ না কেউ। সেই যে প্রমিথিউস, দেবতা জিউসের অগ্নিরথ থেকে আগুন চুরি করে এনে তুলে দিয়েছিল মানুষের হাতে, আর মানুষ এগিয়ে গিয়েছিল কতনা দূর!! প্রমিথিউস ঠিকই জানতো তাকে প্রতিদিন বিদীর্ন হতে হবে সহস্রবার, শকুনীর তিক্ষè নখরে। তবুও প্রতিবাদী হয়ে সে হলো কিংবদন্তী।

জ্ঞানকে যারা গন্ডীবদ্ধ করতে চেয়েছে, তাদের বিপরীতে সব সময়েই জন্মেছে প্রমিথিউসরা। তারা দেখিয়েছে মুক্তির পথ.... নির্বাণ। আর সেই সব কদর্য মানুষেরা, যারা অন্যদের পদানত করে রাখতে চেয়েছে সব সময়- তারা বরাবরই বড় কুটিল। সৌকর্ষের মুখোশে তারা ঢেকে রাখে সর্পিল মুখ। শুধূ অন্তরালে ছড়ায় লিকলিকে জিভের বিষ। মোহময়তার যে জগত তারা সৃষ্টি করে, সকলে তাতে নিমগ্ন হয় খুব সহজেই। ডুবে যায় অবরুদ্ধতায়। মোটেও উপলব্ধি করেনা- নিজেকে করছে ক্রীতদাস। অদৃশ্য দেয়ালের সীমানাটাও দেখতে পায়না জন্মান্ধ চোখে। সেই ঘোলাটে দৃষ্টিতে কদর্য মানুষগুলো যেন হয়ে ওঠে মহা-মানবের প্রচ্ছায়া।

এই অবগুন্ঠ চৌকাঠেও কেউ কেউ পেড়িয়ে যায় সীমানা। কিন্তু সবাই নিজেকে জয় করতে পারেনা। চিরায়ত যে লোভ মনের গহীনে উকি মারে, তাকে জয় করা যায়না খুব সহজেই। বোধের পার্থক্য আর লোভের হাতছানি তাদের ডেকে নিয়ে যায় সাময়িক প্রাপ্তির ক্ষুদ্র দ্বারে। কিংবদন্তী হবার বদলে তারাও হয়ে ওঠে কদর্য। প্রান্তর পেরুলেই মুক্তি নয়; বরং সেই সে সীমানার ওপাড়ে অপেক্ষা করে কত না ‘আরও বেশী অন্ধকার’। প্রাপ্তির অস্থিরতায় তারা পতিত হয় সেই অন্ধকারে।

কম্পিউটার জগতে যারা ক্রীতদাস.. তারা তাদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভালই আছে। যেহেতু তারা জানেনা তাদের শৃংখলের কথা.. তাই তারা সুখী না হোক.. অন্তত খুশী। আর যারা সেই সমতল কে অতিক্রম করেও লোভ আর বোধের শুদ্ধতাকে জয় করতে পারেনি.. তারা ক্রীতদাসের ও অধম...... শুন্য আর এক এর জগতের পরিভাষায় ক্র্যাকার.......সহজ কথায় ছিচকে চোর।

যারা অন্ধকারে আলোক জ্বেলেছে চিরকাল, তারা কখনো নিজের দিকে ফিরে দেখেনি। সকল আগল ভেঙ্গে তারা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে সেই আলোক। মুঠে ভরা জ্ঞান তারা কেবল নিজের মুঠোয় রাখেনি। জ্ঞানের মুক্তি, আত্মার মুক্তি আর দীপ্তমান নির্লোভ বোধের নিমিত্তে তাদের নীরব শ্লোগান। তারাই আজকের প্রমিথিউস.... বুদ্ধ....... কিংবা...... হ্যাকার।

সকল অবরুদ্ধতার বিপরীতে তাদের বিপরীত প্রতিবিম্ব। হাত বাড়ালেই যেখানে প্রাপ্তি অগুনতি, তখনো শুন্যতায় তাদের মুঠোবদ্ধ। শুধুমাত্র বিদীর্ন হবার জন্যই আগুন হাতে এক একজন প্রমিথিউস। আর তাই ক্র্যাকাররা কখনোই হ্যাকার নয়। একটি চোর কেবল কারো ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। আর একজন সত্যিকার সিদ্ধপুরুষ প্রবেশ করতে পারে কারো মনের গহীনে। পার্থক্যটা এখানেই।

জ্ঞানই এখন অলৌকিক শক্তি। যারা বিদ্যের বেসাতি করে, তারাই কদর্য। তাই আমাদের প্রয়োজন সেই সব সিদ্ধার্থদের। তারা কি ঘরের কোনে?? নাকি...

“মোহিনের ঘোড়াগুলি মোহিনের ঘরে ফিরে নাই
উহারা অলৌকিক জেব্রাদের পার্শ্বে চড়িতেছে”



* উৎসর্গ রিচার্ড স্টলম্যান
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১০
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×