কোন এক অজানা কারণে আমি কারও মৃত্যুসংবাদ পেলে খুব একটা বিচলিত হই না। এর পিছনে কারন কি তা জানা নেই। আমার সমবয়সী ফুপাত বোন ক্যান্সারে মারা গিয়েছিল বছর চারেক আগে। ঢাকায় আমাদের বাসাতেই ওর চিকিৎসার সময়টা থাকত। কেমন কংকালসার হয়ে গিয়েছিল। কোন চিকিৎসাতে যে কিছু হবে না তা সে বুঝে গিয়েছিল। আসলে ক্যান্সারের শেষ স্টেজে ওর রোগটা ধরা পড়ায় বাঁচার কোন আশা ওর ছিল না। ফুপা-ফুপু বিদেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওর শারীরিক দুর্বলতার কারনে ডাক্তার সেটা করতে দেন নি। ওই দীর্ঘভ্রমনের ধকল সইতে পারার মত শারীরিক শক্তি তখন ওর ছিল না। ব্যাপারটা জানতে পারার পর আমার ডাক্তার মাকে জড়িয়ে ধরে ওর সে কি কান্না! "মামী আমি কি মারা যাব? কোন চিকিৎসাই কি আমার হবে না?" ফুপা ছিলেন আমার বাবার ক্লাসমেট। ফুপা এসব কথা সহ্য করতে পারতেন না। আব্বার সামনে বাচ্চা ছেলের মত হু হু করে কাঁদতেন। বাকি সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখত। কেন জানি আমি কখনই এসব ব্যাপারে বিচলিত হতাম না।
মৃত্যু সংবাদ বা পূর্বাভাস যে আমাকে বিচলিত করে না তার ভুরি ভুরি প্রমান আছে। আমার ছোট খালুর বাবা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। বিদেশে আসার আগে যখন উনাদের বাসায় যাই, পাশে বসিয়ে সে কি আদর-যত্ন। ওটাই ছিল উনার সাথে আমার শেষ সাক্ষাত। বিদেশের মাটিতে খবর পাই, উনি আর নেই। কোন অনুভূতির জন্ম হয় নি তখনও। বা ধরা যাক, আমার দাদীর কথা। বুড়ো মানুষ ধীরে ধীরে অসুস্হ হয়ে যাচ্ছেন। এবার দেশে ছুটি কাটিয়ে আসার পর কেউ একজন মনে করিয়ে দিয়েছিল দাদীর সাথে হ্য়ত ওটাই আমার শেষ দেখা। খুবই ইমোশনাল কথা। আমার পিতামহ জেনারেশনের মাঝে দাদীকেই সবচেয়ে বেশি কাছে পেয়েছি। এতকিছু সত্বেও এসব কথা আমার মনে বিকারের জন্ম দেয় না।
গতকাল দেশে ফোন দিয়ে শুনলাম রুশো মারা গেছে। রুশোর বাবা সেনাকর্মকর্তা। বাংলাদেশের প্রথম সারির নিউরোসার্জন। মেডিকেল কলেজে আমার বাবার জুনিয়র ছিলেন রুশোর বাবা। দেশে গিয়ে দেখা হয়েছিল ভদ্রলোকের সাথে। উনি বলছিলেন যে রুশো বিদেশে পড়তে যাবে।রুশোর সাথে এক স্কুলে বছর দু'য়েক পড়েছিলাম। ওর বাবার চাকরির সুবাদে দু'বছরের বেশি এক স্কুলে পড়া হয় নি। তবে আমাদের বাসায় যাতায়াত থাকার কারনে ওর সাথে পরিচিতি ছিল বেশ। আজকের খবরের কাগজের কল্যানে নিশ্চয়ই জানতে বাকি নেই আমি কার সম্পর্কে কথা বলছি। নিতান্ত নিরীহ গোছের ছেলে। ও যা করতে চেয়েছে, আমি হলেও হয়ত তাই করতাম। তাই বলে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা কি কোন মানুষের কাজ?
যথারীতি এই সংবাদে আমার মাঝে তেমন বিকার হয় নি। তবে মানুষ হত্যা করা কত ঘৃণ্য ও নিন্দিত কাজ প্রথমবারের মত উপলব্ধি করতে পারছি। খবরের কাগজে এসব খবর প্রতিদিন আসে। গুরুত্ব দেই না। নিজের পরিচিত কেউ এভাবে মারা গেলে তখন মনে হয় গুরুত্বটা ভালভাবে বুঝা যায়।
আলোচিত ব্লগ
লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা
ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।
মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিল্টন সমাদ্দার
অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন