somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর—–––

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার রাজনীতির হাতে খড়ি হয় ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের সময়। তখন আমি চট্টগ্রাম শহরের একটি হাই স্কুলের নবম অথবা দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমাদের স্কুলের পাশেই ছিলো চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ। ঐ সময় প্রায় প্রত্যেকদিনই স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ’শিক্ষা নীতি’ বাতিলের দাবীতে মিছিল করতো এবং বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত থাকতো রাজপথ। শ্লোগান শুনে আমিও শিহরিত হতাম। ইচ্ছে হতো মিশে যাই মিছিলের অরণ্যে। সারা বাংলায় শিক্ষা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পরই আব্বা আম্মা আমাদের বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন কোন অবস্থাতেই যেন মিটিং মিছিলে না যাই। কিন্তু আমার পক্ষে তাদের এ অনুরোধ রাখা সম্ভব হয় নি। এক ধরণের উম্মাদনায় নিজের অজান্তেই কখন যেন আমি ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিলে হারিয়ে যাই। আব্বা আম্মার নিষেধ সত্ত্বেও সভায় যোগ দিতে বাধ্য হই। দৈনিক দেশবাংলার সম্পাদক জনাব ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী তখন চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের ছাত্র এবং তুখোর ছাত্রনেতা। সম্ভবতঃ তিনি তখন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর সাথে আরও অনেকেই ছিলেন যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে বিজয় অর্জিত হয় এবং তৎকালীন সরকার ’শিক্ষা নীতি’ বাতিল করতে বাধ্য হয়। যাক্ তার পর এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হই। এখানে এসেও জড়িয়ে গেলাম ছাত্র রাজনীতিতে। তখন হতেই রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা শুরু করি। কার্ল মার্কস, এঞ্জেলস, বার্টান্ড রাসেল, লেলিন, ষ্ট্যালিন, মাও সে তুঙ্গ এবং আরও অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতার জীবনী, তাঁদের দর্শন, কর্মকান্ড, ইত্যাদি পড়তাম আর ভাবতাম আমি রাজনীতিই করবো এবং দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবো। পড়তে গিয়ে তখন অনেক সত্যই উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। জেনেছিলাম - কেমন করে সাম্রাজ্যবাদের কালো থাবা একটি স্বাধীন দেশকে পদানত করে সে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে, সামন্তবাদী আগ্রাসন সাধারণ কৃষককে শোষণ করে অন্যের ফসল কেড়ে নিয়ে নিজেদের গোলা ভরে, পুঁজিবাদী শোষণের মাধ্যমে এক শ্রেণী আরেক শ্রেণীকে নিঃস্ব করে। জেনেছিলাম - কেন শ্রেণী বৈষম্য কমাতে শ্রেণী সংগ্রামের উদ্ভব হয়। তারও অনেক পরে জেনেছিলাম - কেমন করে বাংলার মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ’লাহোর প্রস্তাব’ সংশোধন করে তখনকার কতিপয় স্বার্থান্বেসী রাজনৈতিক নেতা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্র সাথে আঁতাত করে ’দ্বি-জাতি’ তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামক আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে। এই ’দ্বি-জাতি’ তত্ত্বের ভিত্তিতেই ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিলো এবং এই স্বাধীনতা অর্জন করে তারা কার্যতঃ বাংলার মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো। তার প্রধান কারণ হলো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের দুইটি প্রদেশ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান হতে পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব ছিল এক হাজার মাইলেরও কিছু বেশী। এমন নজির পৃথীবির আর কোন দেশে আছে বলে আমার জানা নেই। অথচ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ’লাহোর প্রস্তাব’ কোনরকম সংশোধন না করেই যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হতো তবে উপ মহাদেশে দুইএর অধিক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হতো এবং তা হলে ১৯৪৭ সালের পর পুনরায় আমাদের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার প্রয়োজন হতো না। এ দেশে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মত আরও কিছু জনদরদী এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতার জন্ম হলে অনেক আগেই হয়তো আমরা একটা শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারতাম। দুঃখ হয় এই ভেবে যে আমরা আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শিতার জন্য আজও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। ১৯৪৭ সালের পরের ইতিহাস আরও কলঙ্কময়, আরও লজ্জার। পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলার অধিকাংশ রাজনীতিবিদই বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমাদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত থেকেছে এবং নিজেরা নিজেদের সাথে মারামারি করেছে, এমন কি জাতীয় পরিষদে চেয়ার দিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে, শুধু তাই নয় - একজন স্পীকারকে মেরেও ফেলা হয়েছিলো। কারা করেছিলো, সে কথা সবাই জানেন। আমাদের মহান রাজনীতিবিদদের (?) কেউ কেউ আবার আমাদের মুখের ভাষা কেড়েও নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনে তাদের সে আশা চরিতার্থ হয়নি। এখানেই শেষ নয়। আরও অনেক ঘটনার হোতা আমাদের দেশের মহান রাজনৈতিক নেতারা। গদীতে যাওয়ার লোভে তারা সর্বদাই রাজনীতির নামে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকতেন। তারা আন্দোলন করেছেন গদীর জন্য, মানুষের উন্নয়নের জন্য নয়। যাক্ এরই মধ্যে বিভ্রান্ত ডান রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাম রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হই। পরিচয় হয় কমরেড আব্দুল হক, কমরেড আব্দুল মতিন, কমরেড তোহা, কমরেড সিরাজুল হক খান, কমরেড দেবেন শিকদার, কমরেড বাসার, কমরেড বদরূদ্দীন উমরসহ নামী দামী সব নেতার সাথে। এ ছাড়াও কাজ করেছি জাফর আহমেদ, কমরেড টিপু বিশ্বাস, রাশেদ খাঁন মেননসহ তখনকার অনেক পাঁতি নেতার সাথে। এখানেও সেই দেউলিয়াপনা। বাম রাজনীতিবিদরা এ দেশের মানুষের মধ্যে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেন নি। তার প্রধান কারণ - তাঁদের রাজনীতি ছিলো বাস্তব বর্জিত তত্ব-ভিত্তিক, যা এ দেশের সাধারণ মানুষের বোধগম্য হওয়ার কথা ছিল না। তাঁরা সহজ করে জনগণের কাছে তাঁদের রাজনৈতিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শকে উপস্থাপন করতে পারেন নি। এরই মধ্যে এ উপ মহাদেশে নক্শালপন্থীদের উত্থান বাম রাজনীতিকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তার উপর রাশিয়া-চীন আদর্শিক বিভক্তি, বিভিন্ন বিষয়ে তাত্বিক দ্বন্ধ, সকলেরই নেতৃত্বে থাকার এক অসুস্থ প্রবণতার জন্য সৃষ্ট কোন্দলে ক্রমান্বয়ে দল ভাঙ্গন, ইত্যাদি কারণে দলগুলো বিভক্ত হতে হতে অসংখ্য উপদলে পরিণত হয়ে যায়। কিন্তু তাদের সমর্থকের সংখ্যা, কর্মী সংখ্যা একটুও বাড়ে নি। বাংলাদেশে আর কোনদিনই হয়তো বাম রাজনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এখন তাঁদের হয়তো আওয়ামী লীগ নয়তো বিএনপির সাথে মিলে মিশে অথবা জোট বেধে টিকে থাকতে হবে। এখন যে ভাবে পরগাছা হয়ে মতিয়া চৌধুরী, দিলীপ বিশ্বাস, রাশেদ খান মেনন এবং হাসানুল হক ইনু গং টিকে আছেন।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বেই পাকিন্তানকে খন্ড বিখন্ড করার ভারতীয়দের একটা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ সে প্রচেষ্টার নাম ’আগরতলা ষড়যন্ত্র’।’র’ (জঅড) এর গোপন যোগসাজসে ও প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত হতে যাওয়া একটি ব্যর্থ ’ক্যু’। প্রাথমিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান এ ষড়যন্ত্রে এ শেখ মুজিব শুরু থেকে এতে জড়িত ছিল না। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জম হোসেন ছিলেন এ ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক ও পরিকল্পনাকারী। তার নেতৃত্বেই কতিপয় সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিলো বিপ্লবী পরিষদ নামে একটি সংঘটন। তার সাথে আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে কর্নেল (অবঃ) সামসুল আলম বীর উত্তম, কর্নেল (অবঃ) শওকত আলী, সার্জেন্ট জহুরুল হক, সার্জেন্ট আব্দুল জলিল, কর্পোরেল আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সামাদ, নূর মোহাম্মদের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। তাদের লক্ষ্যই ছিল একটি আকস্মিক ’ক্যু’ এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা। ক্ষমতা দখলের পর টিকে থাকার বিষয়টি গুরুত্ব পেলে একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় এবং ঠিক তখনই ভারতের গুপ্তচর প্রধানের পরামর্শে শেখ মুজিবুর রহমানকে এ ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। ঘটনা যাই হোক না কেন, যে ভাবেই ঘটুক না কেন আইয়ুব খাঁন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার সফল এক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হয়। এর পর হতেই শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে যান বাংলার অবিসম্বাদিত নেতা। অন্যভাবে বলা যায়, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাই মূলতঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এ প্রক্রিয়ায়ই বাংলাদেশের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান।

যাক্ এতো গেলো স্বাধীনতার আগের কথা। এবার আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা প্রয়োজন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কার কি ভূমিকা ছিল এ সত্য সঠিকভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কখনই উঠে আসেনি। তাই মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নও করা সম্ভব হয়নি এবং হয়তো কোনদিন তা হবেও না। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ এর মধ্যরাত হতে পূর্ব বাংলার মানুষের উপর শুরু হয় তৎকালীন পাকিস্তানী সামরিক জান্তার নির্বিচার ও বর্বরোচিত সীমাহীন অত্যাচার। এ অত্যাচার হতে বাঁচার জন্যই মুলতঃ কেন্দ্রীয় কোন নেতৃত্ব ছাড়াই এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও এ দেশের শ্রমিক-কৃষক-জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুরেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছিলো। এখনও এ কথা অনেকেই বলেন যে পাকিস্তানী সেনা বাহিনী নির্বিচার ও বর্বরোচিত সীমাহীন অত্যাচার না করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন প্রায় অসম্ভব ছিল। প্রাথমিকভাবে বামপন্থীরাই বিচ্ছিন্নভাবে হলেও এ দেশের শ্রমিক-কৃষক-জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রভাবিত করেছিলো। তখন আওয়ামীপন্থীরা ছিলো অনেকটাই দিশেহারা। ২৫শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তিনি কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে এমনটি করেছিলেন - এ সত্য আর কোনদিনও কেউ জানতে পারবে না। তবে তাঁর আত্মসমর্পণ করাটা সঠিক ছিল কি না তা আজও বিতর্কিত। এ ব্যাপারে তিনি দল ও জাতির কাছে সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেননি, এমনকি আত্মসমর্পণ করার পূর্বে জাতিকে কোন দিক-নির্দেশনা দেননি বা দিতে পারেননি। এর ফলে আওয়ামী লীগের নেতারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলেন এবং জনগণ ছিল অনেকটাই অন্ধকারে। ঘটনা যে ভাবেই ঘটুকনা কেন, ভারত পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করার এ সুযোগ হাতছাড়া করলো না। তারা তৎকালীন ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু সেনা কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা যারা প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে যান, তাদের জামাই আদর দিয়ে লুফে নেন। তাদের সামনে রেখে ভারত বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় নামমাত্র ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে। অবশ্য তখনকার প্রেক্ষাপটে এ সুযোগও আমাদের চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী ছিল। জেনারেল ওসমানীকে সেনা বাহিনীর প্রধান করে স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গঠন করা হয়। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের যতটা না লাভ হলো তার চেয়ে অনেক বেশী লাভবান হয় ভারত। বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত সবদিক দিয়েই অনেকগুণ বেশী লাভবান হয়। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ হতে পালিয়ে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয় দিয়েই ভারত দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় এবং এ ব্যাপারে রাশিয়া সমর্থন দিলে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা ও বিপুল সমরাস্ত্র সাহায্য হিসেবে লাভ করে। ভারত এ সাহায্যের যৎকিঞ্চিত মুক্তিযুদ্ধে ব্যয় করে এবং বাকী অর্থ ভারতের ক্ষনভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দেশটি কমপক্ষে বিশ বছর এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সুযোগে ভারতের রথ দেখা এবং কলা বেচা দুইই হয়ে গেলো। তা ছাড়া পাকিস্তান নামক যে শত্রু সারাক্ষন ভারতের মাথাব্যাথার কারণ হয়েছিলো, তাকে দুর্বল করে এ উপ-মহাদেশে নিজেদের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। এখানে একটি সত্য তুলে না ধরলে আমার সত্য প্রকাশের ব্যাপারটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তখনকার আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের, যারা সরকারে ছিলেন, কেউই সম্মুখসমরে অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি কদাচিৎ তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে দেখা গেছে। তারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে থেকে আমোদ ফূর্তি করে সময় কাটিয়েছেন। যাই হোক, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন করলে দেখা যায় নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো এবং এর বিপরীতে অর্থনৈতিক অর্জন ছিল শূন্য। নিজের পায়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দেখা গেলো - বাংলাদেশ ব্যাংক হতে লুন্ঠনকৃত বৈদেশিক মূদ্রা, স্বর্ন, পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ নিয়ে সারি সারি ট্রাক এ দেশ থেকে চলে গেলো ভারতে। মেজর জলিল এবং কিছু দেশপ্রেমিক সৈন্য বাধা দিলেও তৎকালীন পুতুল সরকার এবং সেক্টর কমান্ডারগণের কেউ উচ্চবাচ্য করেননি বরং এ ব্যাপারটি দেখেও না দেখার ভান করেছিলো সবাই। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের সাথে জড়িত ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য পূত্র শেখ কামাল ও মুজিব বাহিনীর দেশপ্রেমিক (?) ছেলেরা। বস্তুতঃ এই একটিমাত্র কারণে মুক্তিযুদ্ধের পর অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেলো বিশ বছর। পক্ষান্তরে, ক্ষনভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ ভারত এগিয়ে গেলো বিশ বছর। এককথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের দূর্বল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দিলো, এনে দিলো অকল্পনীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। পক্ষান্তরে বাংলাদেশকে যাত্রা শুরু করতে হলো শূন্য হাতে।

আর একটি বিষয় সম্মানিত পাঠকদের গোচরে আনা প্রয়োজন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য ডানপন্থী দল এবং রাশিয়ানপন্থী বাম দলসমূহের জন্য কিছু করলেও এ দেশের অন্যান্য বামপন্থীদের জন্য কোনভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী রাজ্যসরকার বরং বাংলাদেশের বামপন্থীদের জন্য যৎকিঞ্চিৎ হলেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং কিছুটা সাহায্য করেছিল্। এ বিষয়ে আমার ধারণা মহাজোট সরকারের তল্পীবাহক রাশেদ খান মেনন আমার সাথে একমত হবেন। কারণ আমরা একই সাথে আগরতলার একটি ক্যাম্পে বেশ কিছুদিন ছিলাম। যাক, অনেক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বামপন্থীরা কৌশলগত কারণে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলো। এ বিষয়টি বুঝতে হলে ’মুজিব বাহিনী’ গঠন রহস্য জানতে হবে। এ কথা সকলেরই জানা আছে যে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ’র’ এর প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের যুব ও ছাত্র সংঘটনের পরীক্ষিত যুবক এবং ছাত্রদের সমন্বয়ে বামপন্থীদের উৎখাতের জন্য ’মুজিব বাহিনী’ গঠন করা হয়েছিলো। কিন্তু বিধি বাম! মুজিব বাহিনী গঠনের ফলে কিন্তু বামপন্থীদের সুবিধাই হয়েছিলো। কারণ যারা এ কাজে নিয়োজিত হয়েছিলো তাদের অপরিপক্ক যুদ্ধকৌশল ও অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ভাল ট্রেনিং না থাকার কারণে প্রায় সব অস্ত্রশস্ত্রই বামপন্থীদের হস্তগত হয়ে গিয়েছিলো। মুজিব বাহিনীর অপটু যোদ্ধাদের অনেক যুদ্ধাস্ত্র কৌশলে কেড়ে নিয়ে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য বামপন্থীরা প্রস্তুত হচ্ছিলো। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাও ছিল, তার কারণ তূলনামূলক বিচারে বামপন্থীরা ছিলো নির্লোভ, সৎ চরিত্রের অধিকারী এবং দেশপ্রেমিক। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে সাধারণ জনগণের সহায়তায় একে একে বিভিন্ন অঞ্চলে বামপন্থীরাই নেতৃত্বে চলে এসেছিলো। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে এ দেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকলেও তাদের হয়তো কোনদিনই ক্ষমতায় যাওয়া হতো না। আর এ সত্যটা আওয়ামী লীগ আঁচ করতে না পারলেও রাশিয়ানরা কিন্তু ঠিকই বুঝেছিলো। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতকে যতশীঘ্র সম্ভব বাংলাদেশ দখল করার ইঙ্গিত দিয়েছিলো। এরই ফলশ্র“তিতে মাত্র নয় মাসের মধ্যেই ভারতের সৈন্যরা তৎকালীন পূর্ব বাংলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে। অবশ্য তাদের সাথে আমাদের দেশের মহান মুক্তিযোদ্ধারাও ছিলেন। যদিও তাদের খুব একটা কিছু করার ছিল না। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে মিত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেঃ জেনারেল অরোরার কাছে পাকিস্তানীরা আত্মমমর্পণ করলো। এ আত্মসমর্পণ ছিল বাংলাদেশের নৈতিক পরাজয়। আমি মনে করি এ ছিল ভারতীয়দের একটি সুক্ষ্ণচাল। তারা সুকৌশলে পাকিস্তানী সেনাদের তাদের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলো।

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর মনে হয়েছিলো এ পথেই এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব। কিন্তু, হ্যা হতোস্মি! চারিদিকে দেখা গেল শুধু হতাশা আর হতাশা! তদানীন্তন সরকারের কল্যাণে আমাদের যাত্রা শুরু হলো একটি তলাবিহীন ঝুড়ি নিয়ে। কারণ, আমাদের যা কিছু ছিল তার সবই আমাদেরই চোখের সামনে লুট হয়ে চলে গেলো বন্ধুদেশের অর্থনীতিকে সামাল দিতে। তারপর একের পর এক সরকার এ দেশে এলেও দেশের উন্নতি করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। কারণ দেশ শাসন করার ব্যাপারে তাদের অদক্ষতা, মন্ত্রীদের প্রশাসনিক অযোগ্যতা, আমলাদের স্বেচ্ছাচারিতা, উন্নয়নের নামে লুটপাট, অবাস্তব পরিকল্পনা, অদুরদর্শী রাজনৈতিক কর্মকান্ড, পরনির্ভরশীল থাকার অসুস্থ প্রবণতা, ইত্যাদি নানাবিধ কারণে কালক্রমে ধ্বংস হয়ে গেলো আমাদের সকলের স্বপ্নের ’সোনার বাংলা’র গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি। আমাদের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার লক্ষ্যে রক্ষীবাহিনী গঠন, একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পাঁয়তারা, প্রতিহিংসার রাজনীতির উদ্ভব, ইত্যাদি অনিয়মতাস্ত্রিক কর্মকান্ড শুরু হওয়ায় দেশে চরম অস্থিরতা আর অরাজকতা দেখা দেয়। এরই মধ্যে সিরাজ সিকদারসহ অন্যান্য বামপন্থী নেতাদের বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যার ঘটনাও ঘটে গেল। শেখ মুজিবের সরাসরি নির্দেশেই ২রা জানুয়ারী ১৯৭৫ তারিখে সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হয়েছিল এবং এ গুপ্ত হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ ও মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল হক মনি, শেখ কামাল, সহ আরও অনেকেই জড়িত ছিল। মামলা হলেও এ বিচারকার্য বেশীদিন চলেনি, কারণ মামলার আসামীরা সকলেই তখন অত্যন্ত ক্ষমতাধর।

তারপর থেকে শুরু হয় হত্যার রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে কতিপয় বিক্ষুব্ধ সেনা অফিসার সপরিবারে শেখ মুজিবকে হত্যা করে। এর কয়েকদিন পর কারারুদ্ধ অবস্থায় তাদের গুলিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অবঃ) মনসুর আলী, কামরুজ্জামান ও তাজউদ্দিন নিহত হন। সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কতিপয় সেনা অফিসার লেঃ জেনারেল জিয়াকে হত্যা করে। তারপর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। এক গণ-অভুথ্যানের মাধ্যমে এরশাদের পতন হলে এ দেশে নারী নেতৃত্বের সূচনা হয়। কিন্তু এত সব ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও আমাদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মন-মানসিকতা, আচার-আচরণ, ইত্যাদি একটুও পাল্টায়নি। ফলে আমরা দিন দিনই অবনতির দিকে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড ও রাজনৈতিক দলসমূহের ক্ষমতায় টিকে থাকা কিংবা ক্ষমতা দখলের অরাজনৈতিক ও অসুস্থ প্রতিযোগিতার সুযোগ নিয়ে হীনমন্য নারী নেতৃত্ব গত দুই দশক ধরে দেশকে শাসন করার নামে ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে। প্রচুর সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাস আর দুর্নীতিতে শীর্ষ এক দেশ।

বর্তমানে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের কান্ডারী এবং মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের একজন বাবার উত্তরাধিকারীনি হিসেবে অন্যজন স্বামীর উত্তরাধিকারীনি হিসেবে রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কিংবা অন্যভাবে বলা যায় তাঁদের অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। যাঁরা করেছেন এ ছাড়া তাঁদের কোন উপায় হয়তো তখন ছিল না। হয়তো দলের সংকটকালীন সময়ে হাল ধরার বা দেশ চালানোর মত কোন যোগ্য পুরুষ নেতৃত্বই তাদের মধ্য হতে গড়ে উঠে নি। তার অন্যতম প্রধান কারণ সম্ভবতঃ অন্তর্দলীয় কোন্দল ও নিজেদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে অনৈক্য। এর ফলে মূল নেতার অবর্তমানে দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কোন ব্যক্তিত্ব দুই দলের কোন দলেই সৃষ্টি হতে পারে নি (অবশ্য এখনও সৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই)। ফলে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর শেখ শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে কৃত্রিম সংকট হতে দলকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁর অবর্তমানে বাধ্য হয়েই তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে দলে টেনে আনতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে এবং একই কারণে জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা বেগম খালেদা জিয়াকে দলে ভেরান। বলাই বাহুল্য যে বিএনপির মধ্যেও ঐ সময় দেশের বা দলের হাল ধরার মত সুযোগ্য কোন নেতা ছিল না। যাক যে ভাবেই তাঁরা ক্ষমতায় আসুন না কেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দুই নারী নেত্রী এখন সন্ত্রাসী ও মাসলম্যানদের সহায়তায় রীতিমত সুপ্রতিষ্ঠিত। সংগত কারণেই উভয় দলের নেতা ও কর্মীদের সবাই সামগ্রিকভাবে নেত্রী-নির্ভর হতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে এ দুইজনকে বাদ দিয়ে এ দেশের রাজনীতির কথা ভাবাই যায় না। বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল থাকলেও, এ দেশের রাজনীতিতে এদের নেতৃত্বাধীন দুই দলই গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে পালা বদল করে ক্ষমতায় আসা যাওয়া করেছে এবং বলাই বাহুল্য যে প্রতিবারই মূল নেতৃত্বে থাকছেন এরাই। এদের অঙ্গুলীর ইশারায় রাজনীতিতে অন্যদের উত্থান-পতন অর্থাৎ রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাঁদের ক্ষমতা এতটাই প্রবল যে ’ইসলামে নারী-নেতৃত্ব হারাম’ এ কথা বলার সাহসও এ দেশের কোন মুসলমানের নেই। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো ইসলামে নারী-নেতৃত্ব হারাম জেনেও উভয় দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে ইসলামপন্থী কিছু দল। মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁদের হেদায়েত নসীব করুন। তাই এ দেশের জনগণের সাথে আমারও প্রার্থনা, ”আল্লাহ, তুমি আমাদের হারাম নেতৃত্ব হতে নাজাত দাও। বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করার জন্য একজন সুযোগ্য নেতা পাঠাও। আমরা যেন ফিরে পেতে পারি আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে অনেক মানুষ, ইজ্জত বিলিয়েছে অনেক মা-বোন।”
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
১৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×