ঘঠনাটি আমি যখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি। আমাদের এক নোয়াখালীর মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। ইসলামিক সুন্নতের জন্য আমরা কেউ হাফ প্যান্ট পড়ে স্কুলে আসতে পাড়তাম না। আর যদি আসছি তাহলে শুরু হয়ে যেত স্যারের শাস্তি। যেমন একদিন আমাদের ক্লাসের অভয় হাফ প্যান্ট পড়ে এসেছে এবং তা যথারিতী স্যারের চোখে পড়ে এবং উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় অভয় সহ উক্ত ব্যাঞ্চের সবাইকে এবং এরমধ্যে আমি একজন। কারন অভয় বলেছে স্যার হেও হাফপ্যান্ট পড়েছে এমনি শুরু হয়ে গেল পুরো ব্যাঞ্চে স্যারের ব্যাত্রাঘাত। অবশ্য বাকী সবারই পড়নে ফুলপ্যান্ট ছিল এবং স্যার তা খেয়াল করেন নি। কিন্তু স্যার আমাদের ক্লাসের হাফিজকে কখনোই এরকম শাস্তি দিতেন না এবং ছাত্র-শিক্ষক দুজনের মধ্যে ভাবও ছিল গলায়-গলায়। অত:পর যথারিতী প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার সময় এল এবং আমরা পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। তো, ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্রে মোট ১২টি প্রশ্ন আছে এবং তার মধ্য থেকে মোট ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আমাদের হাফিজ উক্ত বারটি প্রশ্নের মধ্যে ১২টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করনে। অবশ্য উক্ত কাজটি সে ভুলক্রমে করেনি, আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ক্রমেই করেছে। আমরা পরীক্ষা দিয়ে শেষ করলাম এবং অল্প কয়েকদিন ছুটি কাঠিয়ে আবার স্কুলে আসলাম আর হাফিজের পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
অত:পর আমাদের মৌলভী স্যার আমাদের পরীক্ষার খাতা নিয়ে ক্লাস রুমে আসলেন এবং যথাক্রমে পরীক্ষা খাতা দেখে ডেকে ডেকে নাম্বার দিচ্ছেন....
১। নওশাদ = ৯৮
২। আরিফ = ৮২
৩। ফরহাদ = ৭৫
৪। হাফিজ = ১২০
উক্ত হাফিজের ফল ঘোষনার পর আমরা সবাই একসাথে হেসে দিলাম কারন মোট পরীক্ষার নাম্বার ১০০ এবং স্যার আমাদের যথারিতী ধোলাই দিলেন। আজও আমার সেই কথা মনে পড়ে........................ বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখেও.....................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





