একজন গে, ধর্মেও তার আস্থা ছিল না। মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে গেছেন। তার সম্পদের ৭০০ ডলার তিনি দান করে গেছেন। তাও একজন যুদ্ধ অপরাধীকে। কারণ, ওমর খাদর এর কাহিনী তাকে নাড়া দিয়েছিল।
জ্যাক হ্যালাম, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লবন বসন্ত (সল্ট স্প্রিং) দ্বীপে বাস করতেন। বর্তমানে কানাডিয়ার নাগরিক ২৬ বছর বয়সের মানুষটি গুয়ান্তোনামো বন্দি শিবিরে নিদারুন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তার করুন কাহিনী পড়ে জ্যাক এই উইল করেছেন। ৮৪ বছর বয়স্ক জ্যাক কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, “'I think the young man has been treated abominably, 'His story just moved me. He was tortured, he was kept in solitary confinement, he had light deprivation”
২০০২ সালের ২৭ জুলাই। আফগানিস্তানের আইয়ুব খাল গ্রামে চার ঘন্টার বন্দুক যুদ্ধের পর আমেরিকার সৈন্যরা খাবরকে গ্রেফতার করে। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। ২০১০ সালে, সন্ত্রাসীদের অস্ত্র পৌঁছে দেয়া, নৃশংসভাবে হত্যা, যুদ্ধাপরাদ ইত্যাদি কারণে তার বিরুদ্ধে ৫ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সে জন্য তাকে আরো ৮ বছর জেল দন্ড দেয়া হয়। কিন্তু ইতোঃমধ্যে সে গুয়ান্তনামো বন্দিশিবিরে ৮ বছর পার করে ফেলেছে। কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে কানাডায় ফেরত পাঠানো হয়।
অবসর প্রাপ্ত জুলজিস্ট হ্যালাম আশা প্রকাশ করেন এই যোদ্ধা শিশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে টাকাগুলো সাহায্য করবে। হয়তো সে এগুলো আরো বাড়িয়ে তুলতে পারবে। খাদর এর আইনজীবী নরিস বলেন, “ prisoner will now be able to receive an education up to high school level. He has said in the past that he’s very interested in some kind of a medical career, a paramedic or something of that nature, and he remains committed to that idea. But I think as he continues to learn and is exposed to different things he may get other ideas”
কানাডীয়ান সরকারের সমালোচনা করে নরিস বলেন, সরকার খাদরকে গুয়ান্তোনামো বন্দি শিবিরের না পাঠানোর জন্য যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন না। আমেরিকার সমালোচনা করে নরিস বলেন, 'On the American side, they threw him into a place where no one belongs, an utterly illegal and illegitimate detention facility, But Omar particularly did not belong there because of the clear international consensus that children should not be prosecuted with anything in connection with a war or a war crime.'